পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ ৷ - জন সঙ্গেও এসেছিলেন। ১৯৩২ সালের এপ্রিল মাসে গলটন পার্কের লোকনৃত্য উৎসবে বহু গণ্যমান্ত ব্যক্তির সম্মুখে ঐ নৃত্য দেখান হয়। সকলেই এর সৌন্দর্ঘ্যে বিস্মিত ও মুগ্ধ হয়েছিলেন। বিখ্যাত কলাবিং ক্রযুক্ত অৰ্দ্ধেন্দ্রকুমার গাঙ্গুলী মহাশয় এই নৃত্য দেখে আমাকে লিখেছিলেন— We are really indebted to you for revealing to us a phase of cultural life of Bengal of which we had not the slightest idea before you discovered them. —আপনার এই আবিষ্কারের পূৰ্ব্বে বাংলার সংকৃষ্টিগত জীবনের একটা SO8O দিকের সম্বন্ধে আমাদের কোন ধারণাই ছিল না। আপনি সেটি উদঘাটিত করায় আমরা সত্য সতাই আপনার কাছে ঋণী হয়ে রইলাম । কিন্তু কেবল সৌন্দর্য্যের দিক দিয়ে নয়, শারীরিক ব্যায়াম হিসাবে এই নৃত্য মেয়েদের মধ্যে প্রচলিত সকল নৃত্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে আমি মনে করি। স্বৰ্গীয় জগদানন্দ রায় মহাশয়ও এই উপকারিত উপলব্ধি করে বাংলার বালিকবিদ্যালয়গুলির মধ্যে এর প্রচলনের ব্যবস্থা করবার জন্ত আমাকে বিশেষ অনুরোধ করে চিঠি লিখেছিলেন । ক’নে দেখা খ্রীসীতা দেবী রোমান্স জিনিষটা অনেকটা যেন অতর্কিত দুর্ঘটনার মত, ইংরেজী ভাষায় যাহাকে বলে য়্যাক্সিডেণ্ট (আকস্মিক ঘটনা ) । কখন যে কাহার জন্য কোন পথে ওখ পাতিয়া বসিয়া আছে তাহার ঠিকানা নাই। আমাদের অতিবেরসিক ডাক্তার পুর্ণেন্দু মিত্রেরও এই দশা হইল। মেডিক্যাল কলেজ হইতে বাহির হইয়। অন্ততঃ তিন-চার বছর ‘ভেরেও ভাজিয়া দিন কাটাইতে হয় না এমন সৌভাগ্যবান বাংলা দেশে বিরল কিন্তু পূর্ণেন্দুর প্রতি লক্ষ্মীঠাকুরাণীর শুভ দৃষ্টি ছিল। পাড়ার বিখ্যাত পদারওয়াল ডাক্তার মহেন্দ্র চৌধুরীর স্বনজরে সে হঠাৎ পড়িয়া গেল। ডাক্তারীতে মহেক্স বাবুর নাম যেমন, বদমেজাজের জন্য খ্যাতিও তেমন । তিনি কেস লইয়াছেন জানিলে জুনিয়ার ডাক্তার, নাস প্রভৃতি মনে মনে অনেকেই দুর্গানাম জপ করে । রোগী এবং রোগীর বাড়ির লোককে উচিত সত্য কথা বলিতে কোনো দিনই তিনি পশ্চাৎপদ নন, তবুও তাহার পসার দিনের দিন বাড়িতেছে, এবং ফিস্ ১৬২ টাকা হইতে সম্প্রতি ৩২২ টাকায় গিয়া উত্তীর্ণ হইয়াছে। সেবা-শুশ্রুষায় কোনো ক্রটি বা রোগীর ঘরে কোনো অপরিচ্ছন্নতা দেখিলে মহেন্দ্র ডাক্তার একেবারে মারমুখে হইয় ওঠেন, এই স্থত্রেই পূর্ণেন্দুর সঙ্গে তাহার পরিচয় । পূর্ণেন্দুর দাদার শ্বশুরবাড়িতে সেদিন একটা শক্ত ‘অপারেশনের কথা । শ্বশুর বৃদ্ধ মামুয, কয়েক দিন হইতেই পায়ে একটা ফোড়া লইয়া ভুগিতেছিলেন । না কাটিলে যখন চলিল না, তখনই বড় ডাক্তারের ডাক পড়িল। জিনিষপত্র গুছাইয়া দিয়া সাহায্য করিবার জন্য ডাক পড়িল পূর্ণেন্দুর। পূর্ণেন্দু এমন নিখুঁত করিয়া সব ব্যবস্থা করিল যে, অমন যে ডাক্তার মহেন্দ্র চৌধুরী তিনিও রাগ করিবার বা গর্জিয়৷ উঠিবার কোনো স্থযোগ পাইলেন না। মোটের উপর ছোকরার সম্বন্ধে অতি উচ্চ ধারণা লইয়াই তিনি প্রস্থান করিলেন এবং ইহার পর প্রায় সৰ্ব্বত্রই নিজের সহকারী রূপে তাহাকে লইয়া যাইতে আরম্ভ করিলেন। পূর্ণেন্দু নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিল । মহেন্দ্র বাবুর পূর্ণেন্দুর সম্বন্ধে উচ্চ ধারণা হইবার আর একটা হেতু ছিল । তাহা আর কিছুই নয়, পূর্ণেন্দুর চেহারা এবং বেশভূষা। মহেন্দ্র চৌধুরী নিজে ছিলেন পুরাদস্তুর কুৎসিত। এজন্য না-কি যৌবনকালে তাহাকে বিশেষ ভূগিতে হইয়াছিল, প্রায় চিরকুমার থাকিয়া যাইতে হয় আর কি ! সেই হইতে সুন্দর চেহারা দেখিলেই তিনি চটিয়া যান। পূর্ণেন্দু একে ত স্বনার নয়, তাহার উপর বেশভূষার বাহার তাহার , এমনিই ষে দেখিলে আর কেহ দ্বিতীয় বার