পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डिम्ब शनि श्वाश् जशन् र स्न वि দিকে আর তাকাইতে ইচ্ছা করিল না । যেন সেখানেe নঙ্গ ঘুমাইতেছে, তাহার ঘুম সে ভাঙাইতে চাহে না। এবারে তাহার ভিতরের এবং বাহিরের আকাশ জুড়িগ্ন বীণার জলভারাচ্ছন্ন চোখের দৃষ্টি নিবিড় হইয়া আসিল। " বরানগরের বাগান অজয়ের অজানা ছিল না। শেষ পৰ্য্যন্ত সেইখানেই আসিয়া সে পৌছিল। - নীচে গেটের কাছে রমাপ্রসাদ দাড়াইয়া অতিথিদের স্বাগত-সম্ভাষণ করিতেছিল, অজয়কে দেখিয়া এত উৎসাহিত হইল, যে নিজের কৰ্ত্তব্য ৰূদ্ধ ভুলিয়া গেল। বাগানের পথে, দীঘির ধারে ধীরে কাকর বিছানো সবটুকু পথ অতিক্রম করিয়া সে অজয়কে উপরের বসিবার ঘরে পৌঁছিয়া দিয়া গেল । পুরু গালিচ বিছানো ঘর। চেয়ার, টেবিল, সোফা, প্রভৃতি আসবাবগুলিকে দেয়ালের গা ঘেসিয়া সরাইয়া রাখিয়া সকলে মেঝের উপর গোল হইয়া বলিয়াছে। চিরাচরিত প্রথা মত এক দিকে মেয়েরা ও অপর দিকে ছেলেরা বসিয়াছে, এ-দলের সঙ্গে ও-দলের কথার আদানপ্রদান চলিতেছে না । এক কোণে একটু স্থান করিয়া বসিয়া অজয় বিপুল জাগ্রহে সেই জন-সমাবেশের মধ্যে তিনিটি পরিচিত প্রিয় মুখের সন্ধান করিতে লাগিল। কিন্তু বীণা, ঐন্দ্রিলা, স্বভদ্র, এ তিনের কাহাকেও কোথাও সে দেখিতে পাইল না। বসিয়া বসিয়া দেয়ালে বিলম্বিত বিলাতি তৈলচিত্রের নকল এবং বিগত শতাব্দীর ধরণের বেলোয়ার ঝাড় লণ্ডন দেখিয়া যখন ক্লাস্তি ধরিয়া গেল তখন উঠিয়া দ্বতলার খালি ঘরগুলিতে সে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল। একটা ঘরে প্রিয়গোপাল জন-কয়েক লোক জুটাইয়া ব্রিজের আড্ডা জমাইয়াছেন, ইচ্ছা করিয়াই সেই দিকে গেল না। একটা ছোট ঘর একেবারে দীঘির ঠিক উপরেই জলটুঙ্গির ধরণে তৈয়ারী, সেইখানে জাসিয়া ছাপ ছাড়িল। দীঘির ওপারে খানিকট ঘাসের জমি, সেইখানে ছেলেদের কেহ কেহ প্যারালাল বারের উপর চড়িয়া বসিয়াছে, কেহ কেহ দোলনায় দোল খাইতেছে। এপারে রান্না-বাড়িতে একদল মেয়ে রন্ধনে ব্যস্ত, তাহাদের মধ্যে স্বলতা রহিয়াছেন, উপরের জানালায় অজয়কে দেখিয়া মৃদ্ধ হাস্তে তাহার সম্বর্জন করিলেন। ఱ ১২১.’ কোলাহা গুনিয়া ফিরিয়া তাকাইল । স্বভয়, ঐজিলা ও স্বাছ উপরে জালিয়াছিলেন, কছিলেন, “ও কি, বণি কোথ{?” ” পারলেন না।” - - * মেয়ের আবার কোলাহল করিয়া উঠিল। স্থলত তারপর শরীর ভাল নেই কি রকম ? কি অস্থখ রে ইলু!” ঐন্দ্রিলা বলিল, “আমায় কিছু জিজ্ঞেস কোরো না স্বলতাদি, আমি বাপু জানি টানিন কিছু।" স্বলতা বলিলেন, “বেশ ত মজা। অন্থখ যদি কিছু হয়েও থাকে, তাই নিয়েই ত তার আসা দরকার। আমি যাচ্ছি। তাকে আনতে।" বলিয়া হঠাৎ অধোমুখ অজয়ের দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “অজয়বাবু, আপনি চলুন আমার escort হয়ে ।” অজয়ের সেখানে উপস্থিতি একেবারে অকল্পনীয় বলিয়াই স্বভদ্র বা ঐজিলা দুজনের কেহই তাহাকে প্রথমে লক্ষ করে নাই, তাহার নাম হইতেই উভয়ে সচকিত হইয়া ফিরিয়া তাকাইল। কিন্তু অজন্ম চকিত দৃষ্টি তুলিয়াই নামাইয়া লইল বলিয়া উহার পর আর কিছু দেখিতে পাইল না। - ঐন্দ্রিলার সঙ্গে কল্যকার প্রথম সাক্ষাতের ক্ষণটির মত আজও তাহার মন কি এক নামহীন বেদনার ভারে অবসন্ন হুইয়া রহিল। মুখ হইতে বাক্যনিঃসরণ হইল না। স্বলতা যে কি মনে sfni escort স্বরূপে তাহাকে সঙ্গে লইতে চাহিতেছেন, তাহা অপর কেহ না বুঝিতে পরিলেও সে বুঝিতে পারিয়াছিল। তাহার ভয় হইতেছিল, যদি ঐজিলাও তাহা বুঝিতে পারিয়া থাকে। কিন্তু উত্তেজন-ৰিত্ৰত মেহমন लहेब cनषादन थाब्र ७क ब्रूडूé नैफ़िांश्लेष्ठe ठाइब्र हेव्ह করিতেছিল না। স্বলতা আর একবার জাহান করিতেই তাহার সঙ্গে সে নীচে নামিয়া গেল। তাহার জীবনে অষ্টের আর-এক নিষ্ঠুর পরিহাস স্বল্প হইয়া গেল । কিন্তু ৰীণাকে অবলম্বন করিয়া তাহার জীবনে একটি জযাত্মক নিষ্ঠুর নাট্যরচনাৰে স্বল্প হইতে পারে ইহা অঙ্কুটভাবে । অঙ্গভব করা সত্বেও বীণা তাহার চিত্তকে কিছুমাত্র শিল্পী