পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমর্পণ করিল। তাহার সেখানে প্রণয়ী নহে, পুরুষ এবং নারী নহে, অথচ একটি দৃঢ় কিন্তু অলক্ষ্য সখের বন্ধনে তাহাদের দুইটি চিত্ত পরস্পরের সঙ্গে স্থচ্ছেদ্য বন্ধনে বাধা পড়িল, একটি অপূৰ্ব্ব স্নিগ্ধ মাধুর্য তাহদের আচ্ছন্ন করিয়া জাগিয়া রছিল। в» স্থলত যখন নীচে নামিয়া আসিলেন, তখন কিছুতেই আর দেরি করা চলিতে পারিত না। অজয় এবং বীণা বুঝিতে পারিল, এত দেরি করিয়া চড়িভাতির নিমন্ত্রিতদের প্রতি তাহারা সত্যই অবিচার করিয়াছে। সকলে মিলিয়া তাড়াতাড়ি বাহির হইয়া পড়িল। পথে আসিতে স্থলত বীণার কানে কানে কহিলেন, “আচ্ছ, সত্যি করে বল ত, আসবি না বলে পাঠিয়ে আসবার জন্যেই তৈরি হয়ে ছিলি কেন ?” বীণাও তাহার কানে কানেই বলিল, “আমি জানতাম তোমরা আসবে।” স্বলতা বললেন, “ইস, গুনতে স্বৰু শিখেছিল?” অজয়কে যে তিনিই ডাকিয়া সঙ্গে আনিয়াছেন, সে কথাটা অপ্রকাশ থাকিয়া গেল । তৈলচিত্রে ভারতীয় চিত্রকলার নহে, কিন্তু ভারতীয় তক্ষণশিল্পের আদর্শ অনুসরণ করিতে হইবে, একদল শ্রোতা জুটাইয় বিমান এইরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিতেছে এমন সময় সদলবলে বীণা আসিয়া উপস্থিত হইল। এবার আর কেবল মেয়েরা নহে, তাহাদের সঙ্গে ছেলেরাও কোলাহল করিয়া উঠিল । বিমান অগ্রসর হইয়া আসিয়া মৃদ্ধ হাস্তে কহিল, “অন্থখ করলেই আপনার চেহারা খুব ইম্প্রভ করে দেখছি ” বীণা বলিল, “আপনি বলতে চান অমুখের কথাটা বানানো, এই ত ? এত সহজে জিততে পারবেন না। অস্বৰ্থ করেছিল, কিন্তু স্বীকার করছি সেরে গিয়েছে।” বলিয়া অপাঙ্গে অজয়ের দিকে চাহিল। বিপদ হইল অজয়ের। সে আলিয় অবধি ঐজিলাকেই লক্ষ্য করিতেছিল। তাহার জন্য ঐজিলার মনের কোনও কোণে এতটুকুও যে স্থান আছে ইহা সে কখনও মনে করিত না, কিন্তু সে বীণাকে ভালবালে এ ধারণাও কিছুতেই প্ৰাণ ধরিয়া ঐন্দ্রিলার মনে সে জন্মাইয়া দিতে পারে না। অথচ আজ সমস্ত-কিছু এমন ভাবে ঘটতেছে যে ঐজিলা কিছু বুঝিতে চেষ্টা করিলেই ভুল 1. এই স্কুলৰে কি বলিয়া, ৰি ধৰিলে ভাজি দিবে ? কিছু বলিবার উপলক্ষ্য ত ঘটে নাই, কেহ কিছু বলে নাই, শুনিতেও চায় নাই, যাহা কিছু ঘটবার অত্যন্ত অস্পষ্ট আভাসে ইঙ্গিতে ঘটিতেছে। বীণাকে আঘাত করিয়া সে জানাইতে পারে, কিন্তু এই সদাহাস্যময়ীকে কোন অপরাধে সে আঘাত করিবৈ? তাহাকে উপেক্ষা করিয়াও আর লাভ নাই, আজ সমস্ত সদ্ধা যে ব্যবহার তাহার নিকট হইতে বীণা পাইয়াছে, তাহার পর কোনও উপেক্ষাকেই সে আর উপেক্ষা বলিয়া বুঝিতে পারবে না। খুব ইচ্ছা করিতে লাগিল, ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ব্যবহারে আজ অন্ততঃ নিজেকে পরিপূর্ণ করিয়া প্রকাশ করে। কিন্তু সে সময় ত আসে নাই। তাহার এই পরাজয়-চিহ্নিত দারিদ্র্যলাস্থিত মূৰ্ত্তি দেখিয়া সে যদি ঘৃণায় মুখ ফিরাইয় লয় ? যদি তাহার সেই আত্মপ্রকাশকে অকল্পনীয় স্পৰ্দ্ধা মনে করিয়া কলকণ্ঠে সে হাসিয়া উঠে ? ...ঐজিলাকে সে নমস্কার করিল; দুটি হাতকে কপালেঠেকাইৰ মৃদ্ধ হাসিয়া ঐজিলা নীরবে প্রতিনমস্কার করিল। । স্বভদ্র এককোণে দাড়াইয় রমাপ্রসাদের সহিত কৰা বলিতেছিল, অগ্রসর হইয়া বলিল, “এসমস্ত একেবারে চলবে না ।” সকলে একটু সচকিত হইয়া উঠিল। বীণা জিজ্ঞাসা করিল, “কি চলবে না ?” - স্বভদ্র বলিল, “এভাবে সব আলাদা হয়ে বসে থেকে কি লাভ ? আজ পর্যন্ত দেখলাম না, সবাই সবাইকার সঙ্গে মিশছে, গল্প করছে। মাঝখানকার এই বৈতরণীটাকে বেঁধে দিতে হবে।” ছেলেদের বা মেয়েদের কাহারও মুখের দিকে চাহিদা আৰ কিন্তু মনে হইল না, যে এই বৈতরণী পার হইতে কাহারও সত্যই কিছুমাত্র আপত্তি আছে। বীণা মৃত্নশ্বরে স্বলতাকে বলিল, “গরজ থাকলে স্বভক্রবাবুকে কাগুারী না করেও বৈতরণী পার হওয়া যায় ।” স্বলতা বলিলেন, “তোর মত গরজ সবার নেই লেটা कि ।” বীণা বলিল, “গরজ না থাকে ত যে যেমন আছে খাৰু नां ” স্বলতা বলিলেন, “গরজটা সকলের হয়ে স্থডজের জাজ