পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سفید গল্প শুনাইঞ্জ থামাইয়া রাখিতে লাগিলেন । বলিলেন, দিকে এবং মাখাটা পিছনে। কথাটা শুনিতে খুবই অদ্ভুত শোনাইল কিন্তু রাহু অনেক ভাবিয়াও স্থির করিতে পারিল না, সত্যিই এই বাবটা কি হিসাবে অন্ত বাঘগুলির হইতে আলাদা। সাক্ষীস্বরূপে বীণাকে উপস্থিত করিবার জন্ত টীৎকার করিয়া ভাকিল, “দিদি ।” স্বলতা অত্যন্ত জোরের সঙ্গে স্বীকার করিলেন, কথাটা সৰ্ব্বৈব তাহার বানানে, ধীশার সাক্ষ একেবারেই অনাবগুক, কিন্তু রাহুর ডাক শুনিয়া অজয় এবং বীণা খামিয়া গিয়াছিল, স্বতরাং চারজন আবার একসঙ্গে হইতে হইল। স্বলতা বীণার কানে কানে কহিলেন, “ৱাছকে আমি সাম্‌লাচ্ছি, তোরা একটু এগিয়ে গিয়ে ডান দিকের একটা রাস্ত ধ’রে বেরিয়ে যাস।” বীণা বলিল, “তার পরে ?” স্বলতা বলিলেন, “আমি রাহুকে নিয়ে এগিয়ে যাবার পর ইচ্ছে হয় এই পথ দিয়ে ফিরবি, নয়ত ডানদিকের কোনো রাস্ত দিয়েই ঘুরে যেতে পারিস।” অজয়কে লইয়া একলা হইয়াই বীণা কহিল, “রাস্তাট চেনেন ?” অজয় কহিল, “না।” বীণা করতালি দিয়া বলিয়া উঠিল, “বেশ হয়েছে। যেমন ভোরবেলা আসেননি, এখন তার শাস্তিস্বরূপ রাত দশটা অবধি আপনাকে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াব।” বীণার এই শাস্তি-ব্যবস্থাতে তাহার কোনও দুঃসাহসিকতা ষে আছে, তাহার সাবলীল হাসি শুনিয়া এবং তাহার স্নিগ্ধ সরল মুখের দিকে চাহিয়া অজয়ের তাহ একবারও মনে হুইল না। বলিল, “ওরকম করে যদি শাস্তি দেন, তাহলে ক্রমাগতই যে অপরাধ করতে থাকৃব।” বীণা বলিল, “অপরাধ আপনি অমনিতেই অনেক করবেন, তা বেশ বুঝতেই পারছি, তার জন্তে কোনো প্রলোভনের আপনার দরকার হবে না।” নানা কথায় সময় বহিয়া চলিল, কোন পথ দিম্বা কোন পথে আসিয়া পড়িল, কাহারও সেদিকে লক্ষ রাখিবার জামার খুব জানা। বাকি দিয়ে বেরিয়েই খুৰ পুরনো __3:శtise... - リ ・ ; リ - مهم િ - 浣。 F-r E uर्क शैषि, उब्र भारब ४कÉ फांक| cभाrछ वाऊँौ । छाब्रि রোমাটিক জায়গা। চারদিকে বন । চলুন, জায়গাট দেখিয়ে আনি ।” অজয় বলিল, “বাঘটাঘ নেই ত?” । - বীণা বলিল, “আপনার মতে বীরপুরুষ লঙ্গে খাতে বাঘকে ভয় কি ?” বড়রাস্ত হইতে নামিয়া কাটাবনের মধ্যে দিয়া ক্ষীণ পথের রেখা ধরিয়া চলিয়া তাহারা তরুচ্ছায়াসমাচ্ছন্ন নিভৃত অন্ধকারের মধ্যে ঢুকিয়া পড়িল। বীণা পথ দেখাইয়া আগে আগে চলিল, অজয় নিঃশব্দে তাহার অনুসরণ করিল। অন্ধকারের মধ্যে দিয়া বেশ কিছুক্ষণ চলিয়া হঠাৎ জ্যোংস্কদীপ্ত একটি প্রকাও দীঘির পারে আসিয়া বীণা বলিয়া উঠিল, “Thalata ! Thalata !” অজয়ের কবিচিত্তে সমস্ত জিনিষটি একটি অপরূপ সৌন্দৰ্য্যস্বপ্নের মত হইয়া দেখা দিল । সে বিস্ময়ে নিৰ্ব্বাকৃ হইয়া দাড়াইয়া এই সৌন্দর্ঘ্যের অনাবিল রসে তাহার অন্তর ভরিয়া লইতে লাগিল । দীঘির যেদিকৃটাতে তাহারা আসিয়া পড়িয়াছিল, সেদিক হইতে একটু দূরেই পুরানো ভাঙা একটা বাড়ী বনের অন্ধকারের গা ঘেঁসিয়া দাড়াইয়াছিল। তাহার প্রায় সবকটা দেয়ালই খসিয়া পড়িয়াছে, একদিকের খানিকট দেয়াল ভাঙা একটুখানি ছাত মাথায় লইয়া কোনওপ্রকারে খাড় আছে মাত্র। বাড়ীটির ঠিক সন্মুখেই একটি বাধান আধভাঙা ঘাট। বীণা নৃত্যচপল পায়ে ছুটিয়া গিয়া ঘাটের একটা পৈঠার উপর বসিয়া পড়িল । অজয়কে এবার সে ডাকিল না ! হঠাৎ তাহারও মনের উপর স্তন্ধ জোৎস্নাস্তিমিত রাজি, জনসমাবেশ হইতে দূরে সেই নিস্তৃত বনের রহসমাজুল মায়া কি এক গভীর প্রভাব বিস্তার করিল। করতলে চিবুক দ্যস্ত করিয়া সে মন্ত্রমুগ্ধের মত নিশ্চল হইয়া বসিয়া রছিল, অজয় কখন নিশৰে জালিয়া তাঁহার অনতিদূরে আর একটি পৈঠায় বসিল তাহা স্বন্ধলে বুৰিতে পারিল না। অজয় বলিল, “সত্যিই জরি চমৎকার জায়গা । কাছেই কোথাও বেলফুল ফুটেছে, গন্ধ পাচ্ছেন ?” . বীণা বলিল, “বাড়ীটার পেছনে প্রকাও বেলকুলের ঝাড় । গন্ধরাজ, রঙন, এলম্বন্তও আছে । করে কে