পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - محد - {{ SOBG জজ এবারে ভাল করিয়া বীণার মুখের দিকে ब्रास्ना জঙ্করের কি গভীর সরলতা এবং সত্যনিষ্ঠ হইতে সে এই কথা-কয়টি বলিল ভাবিয়া বিস্ময়ে শ্রদ্ধায় তাহার মস্তক অবনত হইয়া আসিল । ইহার অস্তরে কোথাও কোনও আত্মপ্রবঞ্চনা নাই, যাহাৰে সত্য বলিয়া জতুভব করে তাহাকে অকুষ্ঠিত ভাবে প্রকাশ করাই ইহার স্বভাব। ইহার নিকট হইতে কোন অকল্যাণ অজয় আশঙ্কা করিতেছে ? যেখানে সত্য অনাবৃত সেখানে কোনও অকল্যাণ প্রচ্ছন্ন থাকিতে পারে না । ৰীশার সঙ্গে তাহার সম্পর্ক যাহাই হউক, সেই-সম্পর্কের মধ্যে কোনও অসত্য, কোনও অন্যায় কোনওদিন প্রশ্রম পাইবে না, ইহা অহুভব করিয়া সে আশ্বস্ত হইল। সমস্ত মন সাহসে ভরিয়া বলিল, “তেমন সম্পর্ক আমাদের মধ্যে এখনই কি কিছু নেই ?” বীণা বলিল, “আছে নিশ্চয় । সেইটেরই একটা নাম খুজে বের করবার চেষ্টা করছি।” অজয় বলিল, “বন্ধুত্বের সম্পর্ক ?” বীণা চুপ করিয়া রহিল। কিছুক্ষণ কাটিয়া গেলেও সে যখন কোনও কথা কহিল না তখন অজয় মৃদুস্বরে জিজ্ঞাসা করিল, “ আপনার বুঝি মনে ধরছে না ?” বীণাও মৃদুস্বরেই কহিল, “মনে ধরা না ধরার ত কেবল কথা হচ্ছে না। আমি ভাবছিলাম, পৃথিবীতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবচেয়ে কঠিন সম্পর্ক, আমাদের জীবনে আমরা তার মর্যাদা রাখতে পারব কিনা। বন্ধুত্বের ওপর দাবী যা তার কথা বোঝ সহজ, কারণ তার কোনো সীমা নেই। কিন্তু বন্ধুত্বের অধিকার বলতে যে কোনো জিনিসকেই বোঝায় না, তা কি সব সময় আমরা মনে রাখতে পারব ?” অজমুণ্ড কিছুক্ষণ চুপ করিয়া ভাবিল। বীণা বন্ধুত্বের এমন একতরফা ব্যাখ্যা কেন করিতেছে তাহা কিছু বুঝিতে না পারিয়াও সে কহিল, “চেষ্টা ত করতে পারব ?” বীণা উঠিয়া পড়িয়া বলিল, “ আচ্ছা বন্ধু, আজ থেকে চেষ্টা করা যাবে।” অজাও উঠিল। কিন্তু হঠাৎ একটা বিভ্ৰাট ঘটিল। কিছুক্ষণ হইতে আকাশে মেঘসঞ্চার হইয়া জ্যোংস্কা মান হইয়া জাসিতেছিল, হঠাৎ গাঢ়বর্ণের মেঘে তাহ সম্পূর্ণভাবে আবৃত হইয়া গেল। বীণা বলিয়া উঠিল, “ঐ যায়।” অন্ধকারের মধ্যে হইতে অজয় বলিল, “যেখানে আছেন দাড়িয়ে থাকুন, মেঘ কেটে যাওয়া পৰ্যন্ত ।" কিন্তু মেঘ কাটিল না। অন্ধকার গভীর হইতে গভীরতর হইতে লাগিল । বীণা বলিল, “এখন উপায় ?” . - অজয় বলিল, “বৃষ্টি যদি স্বরু হয় তাহলেই ৰিপদ । তার আগে যেমন করে হোক বেড়িয়ে পড়তে হবে ? কিন্তু কথাটা শেষ হইতে না হইতে প্রবল বাতাসের সঙ্গে ফোট ফোটা করিয়া বৃষ্টি পড়িতে স্বরু হইল । . অন্ধকারে বীণাকে অস্পষ্ট একটু আভাসের মত দেখা যাইতেছিল, গামের চাদরটা লইয়া তাহার দিকে বাড়াইয়া ধরিয়া বলিল, “এইটে ভালো করে মুড়ি দিন ।” বীণা বলিল, “আপনি ?” অজয় বলিল, “আমার জন্যে ভাববেন না।” কিন্তু বীণার জন্য ভাবিয়াও অজয় কিছুই স্ববিধ করিয়া উঠিতে পারিল না। বুষ্টির বেগ বাড়িয়া চলিল, এবং বেশ বোঝা গেল অবিলম্বে কোথাও আশ্রয় না লইলে তাহাঁদের দুৰ্গতির একশেষ হইবে। বীণার গায়ের চাদর দেখিতে দেখিতে ভিজিয়া উঠিল। হঠাৎ বিদ্যুতের আলোয় দেখা গেল, ঘাটের চাতাল হইতে ভাঙা বাড়ীটার সিড়ি পৰ্য্যন্ত অস্ফুট একটি পথের রেখা রহিয়াছে। অজয় আর কিছুই চিন্ত| করিল না, অন্ধকারে বীণার দিকে দক্ষিণ হাত বাড়াইয়া বলিল, “আমার হাতে হাত দিন ।” বীণা তাহার প্রসারিত হাতে নিজের হাতটি স্থাপন করিলে, তাহাকে টানিয়া লইয়া সে দ্রুতবেগে সেই ভাঙা বাড়ীটার আশ্রয়ে গিয়া উঠিল। বৃষ্টি মুষলধারে নামিল। গা হইতে ভিজা চাদরটা খুলিতে খুলিতে বীণা কল্যান্ত করিয়া উঠিল । বলিল, “বাবা, একে এই পেছল পথ, তার ওপর যা করে আপনি টান দিলেন, আর একটু হলেই মুখ থুবড়ে পড়তে হত ।” অজয় বলিল, “মাপ করবেন, আপনাকে ভিজতে দেখে আমার বুদ্ধিগুদ্ধি লোপ পেয়েছিল। কোথাও লেগে যায়নি ত ?” বীণা বলিল, “না। আপনি নিশ্চয় আমায় মনে মনে খুব গাল দিচ্ছেন।” অজয় বলিল, “কেন, আপনাকে গাল দিতে যাৰ কেন "ি,