পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. See & 5 సారBO সমিতিতেও তাহার নিন্দ হইতেছে। তাহা সত্বেও ডেলী মেল ও মর্নিং পোষ্টের দল উপরে রিকৃত সন্দেহ করে বলিয়৷ আমাদের মনে হয়। আমরা এরূপ সন্দেহ বর্তমান অবস্থাতে ভিত্তিহীন মনে করি। ভবিষ্কতে যদি জনসাধারণ যথেষ্ট রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতা পায়, তাহ হইলে উহার অমূলক সম্পূর্ণরূপে প্রমাণিত হইবে। রিলাতী ম্যাঞ্চেষ্টার গার্ডিয়ানের মতে রাজনৈতিক হত্য কাও, শাসনসংস্কারের প্রতিকূল কোন যুক্তির হায্যত প্রমাণ করে না । ম্যাজিষ্ট্রেট-হত্য সম্বন্ধে মহাত্মজীর মত মেদিনীপুরের ম্যাজিষ্ট্রেট বার্জ সাহেবের হত্যা সম্বন্ধে মহাত্মা গান্ধীর মত জিজ্ঞাসা করায় তিনি এসোসিয়েটেড, প্রেসের প্রতিনিধিকে ৩রা সেপ্টেম্বর বলেন – “It is needless for me to redeclare my absolute faith in non-violence and my utter disbelief in violence was a method for gaining political rights or political freedom. I, therefore, cannot but deeply deplore the assassination of the District Magistrate of Midnapur.” তাৎপৰ্য্য। “রাষ্ট্রনৈতিক অধিকার কিংবা রাষ্ট্রনৈতিক স্বাধীনতা লাভ কল্পিনার প্রণালী ও উপায়রপে অহিংসাতে আমার একান্ত ও পূর্ণ বিশ্বাস এবং বলপ্রয়োগ ও হিংসার সম্পূর্ণ অবিশ্বাস পুনৰ্ব্বার ঘোষণা করা আমার পক্ষে जनक्छक । अङ4द, बोभि cभनिनैौशूtब्रब्र cछशा-भाॉछिड़ेफ़ेब्र हङाॉब्र छछ গভীর দুঃখ প্রকাশ না কুরিয়া থাকিতে পারি না।” । তিনি ঠিকৃইবলিয়াছেন । , এসোসিয়েটেড প্রেসের লোককে তিনি এই কথাগুলি ছাড়া আরও কিছু বলিয়াছিলেন। তাহ বাংলা দেশের কাগজগুলিতে বাহির হয় নাই, অন্যান্য প্রদেশের কাগজগুলিতে বাহির হইয়াছে দেখিতেছি। সেই কথাগুলিতে রাজনৈতিক হত্যার বিন্দুমাত্রও, সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ, সমর্থন বা দোষক্ষালন ছিল না—তাহা গান্ধীজীর পক্ষে অসম্ভব। তাহাতে ছিল, সন্ত্ৰাসবাদের কিছু উৎপত্তিব্যাখা ও গবষ্মেণ্টের কিছু সমালোচনা। তাহা মুত্রিত করা ব্রিটিশ ভারতীয় আইন আচুসারে বেআইনী হইলে কোন প্রদেশেই মুদ্রিত হইত না, কিন্তু কেবল বাংলা দেশেই তাহা মুদ্রিত .হয় নাই। ইহা হইতে অনুমিত হয়, যে, আইন বহিতে যাহা লেখা জাছে তাহা পুথিগতভাবে সব প্রদেশের জন্য অভিপ্রেত হইলেও, প্রয়ােগের বেলায় বাংলাদেশে কঠোরতর প্রয়োগ হয়। । . . . রাজনৈতিক হত্যার জন্য মেদিনীপুরের নাম হইয়াছে। তাহা তাহাকে ভূগিতে হইবে। অহিংস অসহযোগ করিয়া সহায়সম্বলহীন সুদক্ষ নেতৃহীন বহুসংখ্যক গ্রামালোক মেদিনীপুর জেলায় বারদোলী অপেক্ষাও ষে অধিক দুঃখ ভোগ করিয়াছে, তাহার জন্য সহানুভূতি তাহারা কাৰ্য্যতঃ মহাত্মা গান্ধীর নিকট হইতেও পায় নাই। পাইলে হয়ত মেদিনীপুরে সন্ত্রাসবাদ এত প্রবল হইত না । কলিকাতায় স্বদেশী প্রদর্শনী গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর কলিকাতার ওএলিংটন স্কোয়ারে স্বদেশী জিনিষের প্রদর্শনী খোলা হইয়াছে। উহা এক মাস খোলা থাকিবে । দেখিতে খরচ কেবল চারি পয়সা । সুতরাং সকলেরই অন্ততঃ একবার গিয়া দেখা উচিত। পূজার বাজার করিবার সুবিধাও সেখানে আছে। ডাঃ স্তর নীলরতন সরকারের এই প্রদর্শনী খুলিবার কথা ছিল। ডুমরাওনের মহারাজার চিকিৎসার জন্য র্তাহাকে হঠাৎ চলিয়া যাইতে হওয়ায় তাহার সহধৰ্ম্মিণী এই কাজ করেন। র্তাহাকে তাহা করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া কলিকাতার মেম্বর ঐযুক্ত সন্তোষকুমার বস্তু বলেন -- স্বদেশী মন্ত্রের সাধন এই বাঙ্গল দেশেই প্রথম সুরু হয় ] বিগত ১৯০৬ সালে এই বাঙ্গলাই একান্তভাবে স্বদেশী দ্রব্য ব্যবহারে অীক্ষ্মনিয়োগ করিয়াছিল : ভারতের অন্যাস্থ্য দেশ তখন তাহাঁর সঙ্গে একত্র গমন করিতে পারে নাই। বলিতে কি ‘স্বদেশী ব্ৰত বাঙ্গলার নিজস্ব সম্পদ । বৰ্ত্তমানে এই প্রদর্শনীর যেরূপ বিরাট আয়োজন হইয়াছে, তেমন জার বহুকাল হয় নাই। পুজার পূৰ্ব্বে যখন প্রত্যেকেই অল্পবিস্তুর নুতন দ্রব্যাদি ক্রয় করেন, তখন এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন অতীব সময়োপযোগী হইয়াছে । স্বদেশী প্রদর্শনীতে স্বদেশী মস্ত্রের প্রচার, স্বদেশীর আলোচনা এবং স্বদেশী দ্রব্য ও ব্যবসারীর সছিত পরিচয়,—সকলই সহজ হয় । বর্তমান প্রদর্শনীতে প্রায় ২২৪টি ষ্টল খোলা হইয়াছে, প্রত্যেকটিই সুসজ্জিত । শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের দিক হইতে এই প্রদর্শনীর মূল্য অনেক ; চার্ট এবং মডেল সাহায্যে তাহা বুঝাইয়া দিবার স্ববশোবন্ত হইয়াছে। বেকার-সমস্ত সমাধানেও এই প্রদর্শনী সাহায্য করিবে ; কি করিয়া অতি সহজে অতি অল্পব্যয়ে কুটীয়শিল্পের বস্তার করা যায়, তাহা এই প্রদর্শনীতে বুঝাইয়া দেওয়া হইবে । সকলের আশীৰ্ব্বাদ এবং সহযোগিতা একান্ত আবস্তক । স্বদেশী জিনিষ ব্যবহারের ও উৎপাদনের, উভয় চেষ্টাই বাংলা দেশে হুইয়াছে, কিন্তু কোন চেষ্টাই এখনও যথেষ্ট পরিমাণে হয় নাই। তাহার মধ্যে আবার ব্যবহারের চেষ্টা যত হুইয়াছে, উৎপাদনের তত নয়। ব্যবহার’ সম্বন্ধে অন্যান্য প্রদেশ অন্ততঃ প্রথম .প্রথম বাজার সমকক্ষ হয় সাই