পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 娥 a u》 # *. विविष अनलमजबáीस्त्रभ७ जाडौबिखर తీసి বটে, কিন্তু উৎপাদন বিষয়ে ৰাংলা অনগ্রসর থাকায় বোম্বাইয়ের মিলওয়ালার কাপড় বেচিয়া বাংলা দেশ হইতে কোটি কোটি টাকা পাইয়াছে। বেশী দাম দিয়া বোম্বাইয়ের কাপড় কিনিয়া বাঙালীরা বোম্বাইকে ধনী করিয়াছে। লেডী সরকার তাহার অভিভাষণে বলেন, আর্থিক ছুৰ্য্যোগের তীব্র পেষণে নিষ্পেষিত হইয়া আমাদের দেশের কত হতভাগ্য নরনারী অভাবে, অনাহারে, অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হইতেছে, তাহা অবর্ণনীয়। ইহার একমাত্র প্রতিকার শিক্ষার বিস্তার এবং শিল্পের প্রসার । বিদেশী পণ্য বর্জনই স্বাদেশিকতার যথেষ্ট পরিচয়-নয় । স্বদেশী জিনিষ প্রচুর পরিমাণে প্রস্তুত করিয়া লোকের মনে উৎসাহ বৰ্দ্ধন করা এবং অলস ও অকৰ্ম্মণ্য জীবনের দুর্দশা দূর করাই আসল স্বাদেশিৰত । স্বদেশী প্রচারই শিল্পপ্রদর্শীর মুখ্য উদ্যে । আমাদের জীবনমরণের এই সন্ধিক্ষণে আমাদের সকলেরই বিলাসসামগ্রী পরিত্যাগ করিয়া মায়ের দেওয়া মোট ভাত আহার করিয়া ও মোট কাপড় পরিধান করিয়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থোল্পতি করার জন্ত দৃঢ় মনে কৰ্ম্মক্ষেত্রে অগ্রসর হইতে হইবে। স্বদেশী ব্যতীত অন্ত পথ নাই । ভারতীয় কুটিরশিল্প সম্বন্ধে তিনি বলেন – বিদেশী বণিকদের লুণ্ঠননীতির ফলে আর্থিক জগতে যে দুৰ্য্যোগের স্বষ্টি হইয়াছে, আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিগ্রহ, ধনিক ও শ্রমিকদের অবরাম বিবাদ তাহার অবশ্যম্ভাবী ফল । আমাদের অর্থ নৈতিক প্রতিষ্ঠানের আদর্শ ও কাৰ্য্যপ্রণালীর মধ্যে অপর দেশের বাজার লুণ্ঠন করিবার প্রবৃত্তি পোষিত হয় । । ভারতের কুটারশিল্পে শ্রমিকের জন্তর্নিহিত সৌন্দৰ্য্য জারাধনা করিবার ইচ্ছা পূৰ্ণবিকাশ লাভ করিয়াছে । আমাদের দেশে ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প প্রভৃতির যে বিস্তার-প্রচেষ্টা আরম্ভ হইয়াছে তাহার মূলীভূত কারণ হইতেছে দেশের দারিদ্র্য দূর করা, দেশকে অবনতির পথ হইতে রক্ষা করা । অপরের অনিষ্ট না করিয়া.নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখাই আমাদের বৈশিষ্ট্য, আমাদের উদেষ্ঠ । তিনি ঠিকৃই বলিয়াছেন, যে, বাঙ্গালীকে বাঙ্গালী রক্ষা না করিলে কে রক্ষা করিবে ? আমাদের ভবিষ্কখংশীয় তরুণতরুণী:দিগকে ইস্থাই বলিতে চাই, যে, তাহারা যেন ব্যক্তিত্ব ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখিয়া স্বাধীনভাবে জীবনসংগ্রামে জীবিকানিৰ্ব্বাহের উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিতে শেখেন। অন্ধ অনুকরণের যুগ চলিয়া গিয়াছে। এই ভীষণ প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বস্থিতার দিনে আত্মপ্রতিষ্ঠার চেষ্ট: একান্ত জীবগুক । আলোআর রাজ্যে অস্পৃশ্বতা দূরীকরণ আলোজারের মহারাজা স্বীয় রাজ্য হইতে অস্পৃষ্ঠত উঠাই দিয়াছেন। ইহা স্বসংবাদ। ইহার বিস্তারিত বৃত্তান্ত জানিতে কৌতুহল হয়। বঙ্গে নারীহরণ ও নারীনিগ্ৰহ । ১৯৩২ সালের ২৫শে আগষ্ট বদীয় ব্যবস্থাপক সভায় জীযুক্ত কিশোরীমোহন চৌধুরী মহাশয়ের প্রশ্নের উত্তরে তখনকার স্বরাষ্ট্রসচিব রীড সাহেব বঙ্গে নারীহরণ সম্বন্ধে একটি বিস্তারিত বর্ণনাপত্র সভার লাইব্রেরীটেবিলে স্থাপন করেন। প্রত্যেক জেলার সংখ্যাবিশিষ্ট এরূপ সরকারী বর্ণনাপজ পরে বা পূৰ্ব্বে আর কখনও দেওয়া হইয়াছে বলিয়া আমরা অবগত নহি। দুঃখের বিষয় উহা বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সরকারী কাৰ্যবিবরণ পুস্তকে মুদ্রিত হয় নাই, উহার কোন কোন অংশ সমসাময়িক খবরের কাগজে দেওয়া হইয়াছিল। উহা হইতে সন ১৩৩৯ সালের ১৬ই ভাত্রের "পঞ্জীবনীতে উদ্ধৃত একটি তালিকা হইতে জানা যায়, যে, ১৯২৬,১৯২৭, ১৯২৮,১৯২৯,১৯৩০ ও ১৯৩১ সালে বঙ্গে মোট নারীনিগ্রহের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৮২৬, ৯১৫, ৯৭৯ ১৭৪৩, ৯৭৪ ও ৯৩৫ । বর্তমান বৎসরের ২২শে আগষ্ট বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে বর্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব প্রেষ্টিল সাহেব বলেন, যে, ১৯৩২ সালে মোট ২৬০টি নারীত্বরণের অভিযোগ পুলিসের নিকট পৌঁছে। কিন্তু তাহাঙ্ক আগের ছয় বৎসরের কোন বৎসরেই এইরূপ অভিযোগের সংখ্যা ৮২৬এর কম ছিল না । ১৯৩১ সালে ছিল >७४; उशब পর বৎসরই কমিয়া একেবারে ২৬৯টা। ইহা কি প্রকারে হইল ? আর যদি প্রেটিস সাহেবের প্রদত্ত ১৯৩২ সালের নারীহরণ-অভিযোগের সংখ্যা ঠিকই হয়, তাহা হইলে যখন এ-বৎসর ঐ দিনই ২২শে আগষ্ট ঐযুক্ত সতীশচন্দ্র চৌধুরী মহাশয় বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রশ্ন করেন, “Is the Hon’ble Member aware that . this class of crime is cn the increase in Bengal 7" ~ * “মাননীয় সভ্যমহোদয় কি জানেন, যে, এই শ্রেণীর অপরাধ ৰঙ্গে বাড়িতেছে ?” তখন প্রেটিস সাহেব উত্তরে কেন বললেন, “The figures fluctuate. They do not justify the definite conclusion that this class of crime is on the increase.” “সংখ্যাগুলা বাড়ে কমে। তাছা হইতে স্পষ্ট এই সিদ্ধান্ত করা যায় না, যে, এই শ্রেণীর অপরাধ বাড়িতেছে।” । প্রেটিস সাহেবের বলা উচিত ছিল, “১৯২৬ হইতে ১৯৩১ পর্যন্ত প্রতি বৎসর অভিযোগের সংখ্যা ছিল আট শতের উপর, ১৯৩২এ হইয়াছে ২৬• ; অতএব দেখা যাইতেছে, যে, অভিযোগের সংখ্যা খুব কমিয়াছে।” তিনি তাহা না বলায় এরূপ অকুমান করা অসঙ্গত হইয়ে না, যে, তিনি হয় রীড সাহেবের প্রদত্ত সংখ্যাগুলির বিষয় অধগঞ্জ