পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিলেন না, কিংবা নিজের প্রদত্ত সংখ্যার উপর তাহার নিজেরই আস্থা ছিল না। আমাদের ক্ষম হয়, রীত সাহেব যখন কোন একটা বৎসরের সংখ্যা দেন নষ্ট, ক্রমায়ে ছয় বৎসরের সংখ্যা মিছিলেন এবং সেই ছয় খসরের সর্বনিম্ন সংখ্যা ৮২৬ ও সৰ্ব্বোচ্চ সংখ্যা ১০৫৩ এবং প্রেটিস্ সাহেব কেবল এক বৎসরের (১৯৩২ এর ) সংখ্যা দিয়াtছন ও তাহ ১৯৩১এর সংখ্যা ৯৩৫ হইতে কমিয়া একেবায়ে ২৬০এ नाम्नांदेशप्इ, उशन डैशब्र. eनख गरशीव्र उचॐ नश* সন্দেহু করিবার যথেষ্ট কারণ আছে । অনেক দিন হইতে খবরের কাগজে বার-বার বলা হইতেছে, যে, নারীহরণের সংখ্যা বাড়িতেছে এবং বর্তমান ফৌজদারী কাৰ্যবিধি ও দণ্ডবিধি আইনের ব্যবস্থায় পুলিগের দ্বারা ঐরূপ অপরাধের দমন ও নিবারণ যথেষ্ট রূপ হইতেছে না। এ অবস্থায় উচ্চতর রাজপুরুষদের কাছে আসল সংখ্যার চেয়ে কম সংখ্যা পৌছা আশ্চর্য্যের বিষয় হইবে না। খবরের কাগজে এই অভিযোগ অনেকবার পড়িয়াছি, যে, অনেক জায়গায় অনেক সময় পুলিল এরূপ অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে না । ব্যবস্থাপক সভায় প্রদত্ত সংখ্যা প্রকৃত সংখ্যা অপেক্ষ কম হইবার ইহাও একটা কারণ হইতে পারে । কারণ যাহাই হউক, ব্যবস্থাপক সভায় কথিত সরকারী সংখ্যা নিশ্চয়ই ঠিক হইবে, ভিন্ন ভিন্ন নারীরক্ষাসমিতিগুলি যেন এরূপ মনে করিয়া নিশ্চিন্ত না-থাকেন। প্রত্যেকটি সমিতি তাহদের এক এক জন কৰ্ম্মীর উপর এই ভার দিয়া রাখুন, যে, তিনি প্রত্যহ দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হুইতে নাম ধাম সহ এরূপ অভিযোগের একটি তালিকা প্রস্তুত করিবেন। তম্ভিয়, খবরের কাগজে উঠে নাই, কিংবা পুলিসের ভায়েরীতে লিখিত হয় নাই, এরূপ ঘটনার তালিকাও ভারপ্রাপ্ত কৰ্ম্মী যেন প্রস্তুত করেন। - নারীহরণের প্রতিকার । গবল্পেটির আন্তরিক সহায়তা ব্যতিরেকে নারীহরণের যথেষ্ট প্রতিকার দুঃসাধ্য এবং সেরূপ. সহায়তা পাইবার জন্ত বিধিমত চেষ্ট বরাবর করিতে..হইবে। কিন্তু কেবল গবশ্লেষ্টের চেষ্টাতেই সম্পূর্ণ ফল গাওয়া, ধাইবে না। সৰ্ব্বসাধারণের সাক্ষাৎ ও পরোক্ষ চেষ্টার একান্ত আৰগুক । হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়কেই চেষ্টড হইতে হইৰে । উভয় সম্প্রদায় একযোগে কাজ করিলে আগু ফললাভের সম্ভাবনা । কিন্তু একযোগে কাজ করিবার অপেক্ষায় বসিয়া থাকিলে চলিবে না। প্রত্যেক শ্রেণী ও সম্প্রদায়ের লোকেরা চেষ্টা করিতে থাকুন। অনেক মোকদম হইতে অন্তঃপুরে অনেক বধূর উপর পৈশাচিক অত্যাচারের সংবাদ পাওয়া যাইতেছে। ইহার সামাজিক প্রতিকার কি হইতেছে ? হিন্দু সমাজের সামাজিক শাসন সম্বন্ধে আমাদের কিছু জ্ঞান আছে। এই জন্য আমরা যাহা বলিতে যাইতেছি, তাহা হিন্দু সমাজ সম্বন্ধে। আমাদের মধ্যে দেখা যায়, কোন পুরুষ মানুষ ব্যভিচার ও নারীহরণাদি দোষে দোষী হইলে তাহার সমাজবহিষ্কার ও পাতিতা সব স্থলে স্বনিশ্চিত নহে ; তাহার দোষ আদালতে প্রমাণিত হইয়া গেলেও সব স্থলে স্বনিশ্চিত নহে । আর, যদি দোষী ব্যক্তির নামে কোন মোকদ্দমা না হয়, বা মোকদ্দমায়, দোষ সত্ত্বেও, যদি আইনের মারপ্যাচে লোকটা খালাস পায়, তাহা হইলে ত কথাই নাই। সে বুক ফুলাইয়৷ সমাজে বিচরণ করিতে পারে। দোষী ব্যক্তির ধনবল থাৰিলে ত তাহার সাতঘুন মাপ। হিন্দু সমাজেরই কেবল এইরূপ দোষ আছে, এমন নয়। কিন্তু সকলেরই নিজেদের দোষ সংশোখন সৰ্ব্বাগ্রে কৰ্ত্তব্য । অন্ত সমাজের মধ্যে যে-দোষ আছে, আমাদের সে-দোষ থাকিলে তাহা দোষ নয়, এমন মনে করা গুরুতর ভ্ৰম । পুরুষদের পক্ষে ত ঐক্কপ ব্যবস্থা। নারীদের পক্ষে ব্যবস্থা ঠিক্‌ ইহার বিপরীত। দোষী অথচ অমৃতপ্ত কোন স্ত্রীলোককে ক্ষমা করিম সমাজে রাখিবার কথা আমরা এখন তুলিতেছি না। তাহাদিগকেও সমাজে রাখা উচিত। আমরা এখন বলিতেছি, সেই সকল বালিকা ও নারীদের কথা যাহাঁদের কোন দোষ নাই, ছলে বলে কৌশলে যাহাঁদের উপর দুৰ্বর্ত লোকের অত্যাচার করিয়াছে । এরূপ বালিকা ও নারীদিগকে সমাজচ্যুত করার মত অধৰ্ম্ম ও কাপুরুষতা আর নাই। প্রথমতঃ ত তাহাদিগকে অত্যাচার হইতে রক্ষা করা সমাজের একান্ত কৰ্ত্তব্য। তাহষে আমরা অনেক স্থলেই করিতে পারি, ন, তাহ আমাদের একটা লজ্জাকর দোষ। তাহার উপর, যাহারা অজাচরিত হইল, তাহদেরই দগুবিধান