পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st جم - উপবাসভঙ্গ করিয়া প্রাণরক্ষা করিবেন না, মৃত্যু বরণ করিবেন। - * - জামরা এই সভাবিত কারণে সম্ভাবিত আমরণ প্রায়োপবেশনের পযর্থন করিতে পারিব না। গত আধিনের প্রবাসীর ৮৮৩ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত “অক্ষরতহিসেব সম্বন্ধে গান্ধীজীর মনোভাব” শীর্থঙ্ক নিবন্ধিক পড়িলে আমাদের অসামর্থের কারণ বুদ্ধ বাইৰে। পুনরুক্তি জনাবগুক । পণ্ডিত জওআহরলালের জ্ঞাপনপত্র পুনা হইতে ১৪ই সেপ্টেম্বর পণ্ডিত জওআহরলাল গন্ধে তাহার ও গান্ধীজীর মত আদানপ্রদান চিঠি-লেখালেখির আকার, ধারণ ক্ষরিবে, এবং উভয়ের চিঠিগুলি প্রকাশিত হইবে। কিনি বলেন, তিনি সব বিষয় রাজনীতি ও অর্থনীতির ৰুি দিয়া সৰ্ব্বদা দেখিয়াছেন, ধৰ্ম্ম বা তদ্বিধ কিছুর দ্বারা তিনি প্রভাবিত হন নাই। উহার মতে গান্ধীজীর কার্যপ্রণালী ঠিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত, এই জন্য তাঁহার নেতৃৰ একান্ত জ্বাবশ্যক। কিন্তু পণ্ডিতজী অনুভব করেন, যে, তাহাদের লক্ষ্যস্থল অধিকতর স্পষ্ট রূপে নির্দেশিত হওয়া আবশ্যক, যাহাতে তবিয়ে ভারতে ও বিশেষ করিয়া তাহার বাহিরে কোন ভ্রান্ত ধারণা না জন্মিতে পারে। তিনি অনুভব করেন, সেই নীতি যে কি হইবে, তাহ করাচী কংগ্রেসে জনসাধারণের মৌলিক অধিকারের বিবৃতি হইতে, পণ্ডিতজীর পাইয়োনিয়ারের প্রতিনিধিকে কথিত তাহার মতামত হইতে জয়মান করা ধাইতে পারে। "নিখিলভারত কংগ্রেস কমিটির প্তাহ করা কঠিন, তাহাতে বাধা আছে। হোয়াইট পেপারের নাম হোয়াইট কেন । মি: জেম্স ইউরোপীয়মের প্রতিনিধিরূপে বিলাতী জয়েট পালেমেন্টারী কমিটিতে গিয়াছিলেন। তিনি ভারতবর্ষে ব্যাঙ্ক-কেরানী হোয়াইট পেপারের ফলে ভারতবর্ষে সব বিলাতী ব্যাঙ্ক ও ইনসিওরেন্স কোম্পানী বাজেয়াপ্ত হুইবে ভাবিয়া উত্তেজিত ভাবে তাহাকে প্রশ্ন করে। তিনি উত্তর দেন, হোয়াইট পেপারের ফলে ওরূপ কিছু হুইবে না।" বিলাতে একজন বাস্-চালক তাহাকে স্বধায়, হোয়াইট পেপারটাকে কেন হোয়াইট বলা হইয়াছে। মিঃ জেম্স্ কি উত্তর দিয়াছিলেন, বক্তৃতায় বলেন নাই। ইহা বলিয়াছিলেন কি, ষে, উহাতে হোয়াইট অর্থাৎ শ্বেতকায়দেরই সমুদয় স্বার্থ রক্ষিত হইয়াছে বলিয়া উহার নাম হোয়াইট পেপার ? “নীরব উন্নয়ন-কাৰ্য্য” “অস্পৃশুদিগের সেবক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক প্রযুক্ত অমৃতলাল ঠক্কর ইংরেজী "হরিজন” কাগজে “গাইলেন্ট আপলিফ টু ওয়ার্ক” “নীরব উন্নয়ন-কাৰ্য্য” নাম দিয়া কলিকাতায় কতকগুলি তরুণ মারোয়াড়ীর পরিচালিত চব্বিশটি দৈবসিক ও নৈশ বিদ্যালয়ের বর্ণনা প্রকাশ করিয়াছেন। মারোয়াড়ীদের সমিতির নাম “দলিত স্বধার সমিতি”। তাহারা প্রধানতঃ তথাকথিত অস্পৃশুদের জন্য এই বিদ্যালয়গুলি চালান। এগুলিতে প্রায় এক হাজার বালক ও বালিকা পড়ে । সবগুলি যেন ছেলেমেয়েতে ঠাসা। ঠক্কর-মহাশয় ফুটি দৈবসিক ও চারিটি নৈশ বিদ্যালয় দেখেন। বালিকা ও নারীদের জন্ত রামবাগানের একটি নৈশ বিদ্যালয় দেখিবার জিনিষ। সেখানকার একটি ছাত্রী, দেখিলেন, তাহার শিশুটিকে লইয়া আসিয়াছে। ছাত্রীটি পড়িতেছে, শিশু মধ্যে মধ্যে স্তন্য পান করিতেছে। অন্তান্ত শহরে মেয়েদের জন্য নৈশ বিদ্যালয়ের কথা বড়-একটা গুনা যায় না, কিন্তু এখানে জিনিষটি বাস্তব। ইহা সফল হুইবার কারণ, শিক্ষা দেন শিক্ষয়িত্রীরা, বিদ্যালয় ভাল বাড়িতে অবস্থিত, তাহ বৈদ্যুতিক আলোকে আলোকিত, এবং অবৈতনিক তত্ত্বাবধায়িকার কাজ করেন একটি দয়াশীল মহিলা—ঐযুক্ত সাধনচন্দ্র রায়ের পত্নী শ্ৰীযুক্ত ব্ৰহ্মকুমারী রায়। বড় বড় ছাত্রদের মধ্যে অনেকে রাস্তায় জল দেয়, খোলা নর্দমা পরিষ্কার করে, মাটির নীচেকার ড্রেন সাক্ষ করে, काफूদারের কাজ করে, জুতা মেরামত করে, ইত্যাদি। ।