পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠক্কর মহাশয় লিখিয়াছেন, শেঠ সীতারাম কেসরিয়া প্রমুখ তরুশ মাৰ্বোয়াড়ীবৃন্দ এই কাজটিতে প্রাণের সহিত হাত দেন গত জানুয়ারী মাসে ঠক্কর-মহাশয় বলিয়াছেন শেঠজী, “I am sure, will blush when he sees his name mentioned,” “তঁহার নামের উল্লেখ দেখিয়া লজ্জিত হইবেন।” বিদ্যালয়গুলি কৃষ্টির সত্যকার কেন্দ্র হইয়াছে, যেসব বস্তীতে সেগুলি অবস্থিত, তথাকার নরনারীরা সেগুলি খুবই পছন্দ করে। “দলিত স্বধার সমিতি” সস্তায় চাল বিক্ৰী করিবার দুটি দোকান খুলিয়াছেন । যে দামে চাল কেন হয়, সেই দামেই বস্তীর চেন লোকদিগকে এক মাসের ধারে চাল দেওয়া হয়। ক্রেতার মাসাস্তে বেতন পাইবামাত্র নিজেই দেন শোধ করে। এপর্য্যন্ত লোকসান সামন্তই হইয়াছে। কেরোসীন তৈল প্রভৃতিও ঐ রকম সৰ্ত্তে বিক্রী করা হয়। 喂 আর একটি ভাল কাজ ইহার করিতেছেন -গরিব বস্তীওয়ালাদিগকে চিরঋণগ্রস্তত হইতে উদ্ধার করিতেছেন । কাবুলী বা তাহার সমান অর্থাৎ বাণিয়া মহাজনের হাতে পড়িলে দেন্দারের রক্ষা নাই। প্রতি মাসে টাক-প্রতি এক আন দু-আন মুদে ইহার টাকা ধার দেয়। একটি স্ত্রীলোক ৬০ টাকা কৰ্জ করিয়াছিল, সুদই দিয়াছে হাজার টাক। অথচ অঋণী হইতে পারে নাই। সমিতির কৰ্ম্মীরা এই রকম দেন। রফ করিয়া শোধ দিয়াছেন এবং পরে দেন্দরের নিকট হইতে মাসিক কিস্তিতে ঋণের টাকাটা আদায় করেন । দেন্দার যাহা মাসে মাসে স্বদ দিত, সেই পরিমাণ কিস্তিতেই কয়েক মাসে সমিতির নিকট তাহার সমস্ত দেন। শোধ হইয়া যায়। সমিতি এই প্রকারে কয়েক শত টাকা খাটাইয়া নূতন নুতন দেনদারকে ঋণমুক্ত করিতেছেন। তাহারা সমিতিকে কিস্তির টাকা ঠিক ঠিক দেয়, ঠকায় না। কাহাকেও ঋণমুক্ত করিবার চেষ্ট করিবার আগে অবশু তাহার পারিবারিক আয় ব্যয় অনুসন্ধান করা হয় ও অন্ত সাবধানত অবলম্বন করা হয়। এই প্রকারে মারোয়াড়ীদের যে বাণিজ্যদক্ষতা ও হিসাবনিপুণত তাহাদিগকে হাজার হাজার টাকা উপার্জনে সমর্থ করে, তাহা দরিদ্র নিরক্ষর সমাজদলিত লোকদের সেবায় ও উন্নয়নে নিযুক্ত হইয়াছে। - বিধি প্রসঙ্গ-ভারতবধে সমৃঞ্জা সম্বন্ধে পণ্ডিত জওজহরলাল নেহরু :ce ভারতবর্ষের সমস্যা সম্বন্ধে পণ্ডিত । জওআহরলাল . تمপণ্ডিত জওআহরলাল জেল হইতে মুক্তি পাইবার পর পাইয়োমিয়্যার কাগজের একজন প্রতিনিধি নানা বিষয়ে’ৰ্তাহার জওআহরলাল নেহর মত জানিবার নিমিত্ত র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করেন। তাহার মতে, ভারতবর্ষের সমস্ত, প্রথমত, আদৌ বা মূলত: