পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sts * {{ಿát SO3O অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক নহে; এই সমস্তার সমাধান করিতে হইলে ভারতীয় সমাজকে নূতন ভিত্তির উপর সম্পূর্ণ পুনর্গঠিত করিতে হইবে। তাছার মানে, লাভ ও সম্পত্তির মালিক এখন যাহারা আহাদের হাত হইতে যাহারা শ্রম করে অথচ নিঃস্ব তাহদের হাতে উহা যাওয়া দরকার। মালিকরা স্বেচ্ছায় এই হস্তান্তর করণে রাজী হুইবে এরূপ অল্পমান করা যায় না। * . ভারতবর্ষের আর্থিক অবস্থা অংশতঃ রাজনৈতিক অবস্থার ফল। ভারতীয় সমস্তাটিকে প্রধানতঃ অর্থনৈতিক বলিলে তাহার রাজনৈতিক কারণটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় না । ইহা কি সমীচীন ? পণ্ডিত জওআহরলালের বিবৃত এই সমস্ত শুধু যে ভারতবর্ষের নহে, তাহা তিনি নিজেই বলিয়াছেন। তিনি ঠিকৃ কীয় আদর্শাকুযায়ী সমাধানচান না,কিন্তু অনেকটা রুশীয় ধরণের বটে। রুশিয়াতে যে সামাজিক পুনর্গঠন হইয়াছে, ইউরোপের অন্ত কোন কোন দেশে-যেমন ইটালী ও জামেনীতে— সেইরূপ চেষ্ট হওয়ায় প্রধানত: তথাকার মধ্যবিত্তের রাষ্ট্রশক্তি দখল করিয়া কমুনিষ্টদিগকে ঠেকাইয়া রাখিয়াছে। মধ্যবিজ্ঞদের এই আত্মরক্ষার চেষ্টারই নাম ফাণীজ মো বা ब कनौजम्। क्यूनिहे ७ कनेडेक्षद्र बिबान इंख्रब्रारभत्र শান্তি নষ্ট হইয়াছে। ইংলণ্ডেও অপেক্ষাকৃত মৃদু রকমের কমুনিষ্ট ও ফাণীইজল আছে। ইউরোপের দেশগুলি বিদেশী কোন জাতির অধীন নহে। সেই জন্ত তথাকার বিবাদ দেশী দুই দলের অন্তৰ্ব্বিবাদ। রুশিয়ায় এক দল রাষ্ট্রশক্তি হস্তগত iজরিয়াছে। ইটালী ও জামেনীতে তাহার বিপরীত দল রাষ্ট্রশক্তি অধিকার করিয়াছে। ভারতবর্ষে যদি নিঃস্ব ও বানদের বিবাদ পাকাপাকি রকমের হয়, তাহা হইলে বিদেশী కా কোন একটা দলের পক্ষ অবলম্বন করিবে—সম্ভবতঃ স্বত্ববানদের। তাহাতে বিবাদটা জটিল, কারণ তিন-কোণ (triangular ), হইবে। এইরূপ জটিল অবস্থায় ভারতবর্ষের বিদেশীপ্ৰভূত্ব হইতে মুক্তিলাভ বর্তমান অবস্থা অপেক্ষা কঠিনতর হুইবে । ভারতবর্ষের শ্রমিক ধনোৎপাদকের প্রধানতঃ কৃষক ; কারখানার শ্রমিকও এদেশে আছে বটে, কিন্তু তাঁহাদের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। আগ্রা-অযোধ্যায় যে কিষান প্রচেষ্টা হইয়াছিল, তাহা কৃষকদের অসস্তোবের ফল । পণ্ডিত জওজাহরলাল বলিয়াছেন, জান্দোলকের ঐ অসন্তোষ জন্মায় নাই ; আগে হইতে স্বতঃ উহার উৎপত্তি হইয়াছিল, আন্দোলকের কেবল তাং প্রকাশ করিয়াছিল ও চালিত করিয়াছিল। তাহার মতে ধনিক, জমিদার, ও বিশেষহুবিধাভোগী অভিজাতদের প্রাধান্তের ভিত্তির উপর গঠিত সমাজ জীর্ণ হইয়াছে, উহা আর টিকিবে না, উহাকে অন্ত ভিত্তির উপর পুননিৰ্মাণ করিতে হইবে। তিনি বলেন, হোয়াইট পেপারটা সম্পূর্ণ অকেজো এবং উহা এমন একটা যন্ত্র বাহ চালান যাইবে না, অচল হইবে। উহাতে ভারতীয় সমস্তার সমাধান হইবে না। “আমরা যে ভারতবর্ষে স্বশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করিতেছি, তাহার উদ্দেশু শাসনকার্য্যের ব্যয় কমান এবং কৃষকদের বোঝা লঘু করা। কিন্তু, ব্যয় হ্রাস হওয়া দূরে থাক, স্তর মালকম হেলী আহমান করিতেছেন যে, প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বে ব্যয় বাড়িবে কয়েক কোটি টাকা করিয়া ! আমি ত খুণী, যে, হোয়াইট পেপারের প্রস্তাবিত শাসনপদ্ধতিটা একেবারে ওঁছ । ওটা যদি আংশিক ভাল ও আংশিক মন্দ হইত, তাঙ্গ হইলে উহার বিরোধিতা কর কঠিনতর হইত।” বিঠলভাই ও সুভাষচন্দ্র পণ্ডিতজী বলিয়াছেন, যে, তাহার ভারতবর্ষ ছাড়িয়া বিদেশে যাইবার কোন ইচ্ছা নাই। শ্ৰীযুক্ত বিঠলভাই পটেল ও ঐযুক্ত স্বভাষচন্দ্র বস্তু বিদেশে গিয়া তথা হইতে নিজেদের মত প্রচার করিতেছেন এবং ভারতবর্ষের জাতীয় আন্দোলন ভবিষ্যতে কিরূপ হওয়া উচিত, তাহা নির্দেশ করিতেছেন। পণ্ডিতজী সেরূপ কিছু করিবেন নি, এইরূপ প্রশ্নের উত্তরে উকা বলিয়া থাকিবেন। বিঠলভাই ও স্বভাষচন্দ্র অবশু স্বেচ্ছায় বিদেশে যান নাই, চিকিৎসিত হইবার প্রয়োজন হওয়ায় গিয়াছেন। বিদেশে খোলাখুলি কথা অনেক বলা যায় বটে, কিন্তু সে-সব কথা ভারতবর্ষে প্রায়ই পৌঁছিতে দেওয়া হয় না, পৌঁছিলেও অচিরে তৎসমুয়ের প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ হয়। বিদেশ হইতে এদেশের কোন প্রকার আন্দোলন ও প্রচেষ্টার নেতৃত্ব ও পরিচালনা করা সম্ভবপর নহে। ইউরোপীয় কোন কোন দেশের—যেমন ইটালী, হাঙ্গেরী ও জামালগুৈ— জান্দোলকেরা বিদেশে গিয়া আন্দোলন করিয়া যে ফল লাভ