পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণপ, এরূপ জয়গ্ৰহ আশা করিতে পারে না। মহাযুদ্ধের পরবর্তী এই যুগ জাতে জাতে বিরোধের যুগ। আমরা গ্রাম ছাড়িয়া শহরে জালিয়া বাস করতেছি এবং সঙ্গে সঙ্গে গ্রামসমাজধৰ্মও বিসর্জন দিয়াছি। গ্রামের সকল জাতি, সকল ধৰ্ম্মী একই পরিবারভুক্ত এই বিশ্বাস গ্রামের সামাজিক ধৰ্ম্মেয় ভিত্তি । গ্রামের ছোট বড় জলাচরণীয়-অনাচরণীয়, সকলেই আপনাদিগকে পরম্পরের সহিত সম্পর্কিত মনে করিত, পরস্পরকে ভাই চাচা-দাদা, মা বোন পিসিমাসীদিদি বলিয়া সম্বোধন করিত। গ্রামে স্বতন্ত্র হরিজন ছিল না, কেন-ন, সকলেই ছিল সকলের স্বজন । গ্রামের মুসলমানেরাও হিন্দু সমাজের সামিল হুইয়া গিয়াছিল ; তাহদের ধোপনাপিত-গোয়ালাময়রা সবই হিন্দু ছিল। গ্রামের কোন ধনী হিন্দুর সহিত ধনী মুসলমানের বিবাদের আশঙ্কা উপস্থিত হইলে, তাহা নিবারণের একটা উপায় ছিল উভয়ের মধ্যে ধৰ্ম্মসম্বন্ধ স্থাপন। একটি গ্রাম্য প্রবাদ আছে, “গায়ের ষড়া খায়ে পোড়ায়,” অর্থাং গ্রামে যদি হিন্দু মড়া পোড়াইবার জস্ত হিন্দু শ্বশানবন্ধু না পাওয়া যায়, তবে খ-সাহেবকে অর্থাৎ ভদ্র পরিবারের মুসলমানকে ডাকিতে হইবে। সত্তর-আলী বৎসর পূৰ্ব্বে জৌনপুরের মওলানা কেরামং আলী সাহেব এবং ফরিদপুরের ছয়মিয় কর্তৃক ওয়াহাৰী মত প্রচারিত হইবার পূৰ্ব্বে হিন্দুর এবং মুসলমানের লৌকিক ধর্শ্বের মধ্যেও একটা সামঞ্জস্ত সাধিত হইয়াছিল। অবশুই গ্রামের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদ ছিল না, এমন নয়। গ্রামের টাৰ্ণ মোক্তারগণ এবং তথাকথিত গ্রাম্য দেবতারা সাগৰ্ব্বদাই দলাদলি মামলা-মোকদম বাধাইবার চেষ্টা করিত। কিন্তু এখন ষে নানা দিকে জাতে জাতে বিরোধ ও সাম্প্রদায়িক বিরোধ দেখা দিয়াছে তাহা মোটেই ছিল না। আমরা যখন শহরে আসিলাম, তখন যদি গ্রামধৰ্ম্ম সঙ্গে জানিতে পারিতাম, শহরের নানাজাতীয় প্রতিংেণিগণকে গ্রামের হিসাবে দেখিতে পারিতাম, তবে এত বিপদ ঘটিত না । কিন্তু শহুরে কেহ কাহারও নয়, সব জাপছে জাপ । আমাদের গ্রামের ভাইবন্ধুভাব স্বভাবলিদ্ধ ছিল; শহরের মৌখিক ভ্রাতৃভাব ফরাসী দার্শনিক রূযোর উপদেশমূলক। কিন্তু শহরের প্রক্তিযোগিতা ক্ষেভাৰে এদেশে প্রতিষ্ঠালাভ করিতে দেয় নাই। এখন রযোর দিন চলিয়া থিয়াছে, কাল মার্কসের যুগ BBBmDZSBB BBD DDD BDDS DB BBB সমাজে অঙ্কর্রোহের (elass-war: :खबर्डक༔ ༔ི་མ་ཧྰ་མྰ་རྗེ . oxso

चख्य#iप्श्ब शeा *थन भूरिशैया इज़ाहेब शक्लिबारकू*

ভারতৎধ এই হাওয়া এড়াইতে পারে না। ইউরোপ হইতে জায়: এক হাওয়া আনিয়াছে, সাম্প্রদার্ষিক ভাবের হাওর। ইউরোপে; প্রোটেষ্টান্ট ও রোমান ক্যাথলিকের দীর্ঘকালব্যাপী বিরোধের নিবৃত্তি হইয়াছে, কিন্তু ইহী-বর্জন এবং ইহী নিৰ্বাতন এখনও চলিতেছে। শহরে উপনিষ্টি সমাজের গায়ে এই দুই হাঙ্ক আসিয়া লাগায় তাহাতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়াছে। এখন সমাজকে কোন প্রকারে নাড়াচাড়া ীিতে গেলেই এই ফাটল আরও বাড়িয়া যায়। ফাটল চাপিয়া জোড় দিতে গেলে জাস্ত জায়গায়ও নৃত্তন ফাটল দেখা দেয়। . •. পাশ্চাত্য ভাবের স্রোত দেশীয় সমাজে এই ষে ভাঙনের স্বত্রপাত করিয়াছে তাহ বিশেষ জটিল করিখ ভুলিয়ছেন আমাদের দেশনায়কগণ । শিক্ষার গুণে ইহুরি, খোল্লামক্ষে কিছু দেখিতে পান না ; ইহার এই দেশের লোকের অবস্থা দেখেন চশমার পাথরের উপর ইংরেজী পুস্তক্ষের পাতঞ্জটিক তাহার দ্বারা। স্বতরাং ইউরোপের শহরে শহরে নিত্য ক্ষে সকল ঘটনা ঘটিভেছে এই দেশের শহুরে; পল্লীতে সৰ্ব্বস্ত্ৰ দেঙ্গ, নায়কগণ সেই সকল ঘটনার পুনঃভিলক্ষ দেখিতে পান। ইউরোপের শহরে শহরে বড় বড় কারখানা আছে। এই সকল কারখানার ক্যাণে দুইটি নূতন জাতির স্বষ্টি হুইয়াছে-একটি মূলধনী জাতি, আর একটি বিশাল শ্রমিক জাতি "ৰাল* মার্কল এবং তাহার শিষ্যগণের উপদেশের ফলে এই ছুই জাতির - মধ্যে দেবাস্বরের যুদ্ধের মত যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছে। , এদেশে । তেমন মূলধনীও নাই, ভূত কারখানাও নাই, এবং কারখানার শ্রমিকের সংখ্যাও অতি অল্প। ভারতবর্ষের মধ্যে । মূলধনীর এবং কারখানার প্রমিকের সংখ্যা বেশী আছে বোম্বাই শহরে এবং আহম্মদাবাদ শহরে । কিন্তু দেশনায়কেরা বোম্বাই এবং আহমদাবাদের দিকে পিছন ফিরাইয় ভারতবর্ষের আর সর্বত্র দেবাম্বরের যুদ্ধ দেখিতে পাইতেছেন, এবং নিজের ব্ৰহ্ম, বিষ্ণু, বা শিবের ভূমিকা লইয়া দেবতাগণকে জয়ী করিতে চাহিতেছেন । আমাদের এদেশে এখন দেবতা হইতেছেন অনাচরণীয় সম্প্রং হিন্মুজাক্তিনিচ, এবং অম্বর হইতেছেন :