পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শোক পাই গরিলকে ইংরেজ বা আমেরিকাল बाबा বােধ লৈ বাকী সকলে সামান্ত ব্যক্তি খুব সত্তৰ ইটালীয়। ইতিমধ্যে কোথা হইতে এক পাহারাওয়ালা আসিয়া হাজির ; কালী পুলিসের পাহারাওয়াল, মাথা কপালের উপর কাঞ্চাকা হাত-বিহীন ৰেপ-কোট বা ওভার-কেট। লোকটি শদিয়া সমবেত ব্যক্তিগণের সঙ্গে আলাপ জনাইতে গুরু করিল। আমার জিজ্ঞাস করিল-“কোন দেশের লোক আপনি” আমি বললাম–“কি অনুমান হয় " ಡ বলিল—“তুর্ক " জামি—“না। ফের অল্পমান *" —“ইতালী " —আমি তখন বলিয়াম “না। শাষি হইতেছি গ্র্যান্ধ-হিন্দু বা ভারতীয়।” তখন সে মন্তব্য কুরিল—“বড় দূর দেশ।” ইতিমধ্যে ফটকের ওপাশে চাঁপর একজন দরওয়ান বা চাকর দেখা লি—আমাদের পাহাঙ্গালার সঙ্গে দুই একটি বাক্যালাপ আরম্ভ করিয়া ঈল খানিকক্ষপ এইভাবে কাটিবার পরে, আপিস লোহার স্ট্রটক খুলির দিল, আমরা ভিতরে প্রবেশ কৰিলাম। ছোট একটু জাজিন, আহার একধারে একটি ঢাকা বারা, বরাদার লীগাও ঘর। এইরূপ একটি ঘর আমাদের স্বাপেক্ষা করিবার জন্ত নির্দিষ্ট ছিল, সেই ঘরে আমরা সকলে গেলাম। স্বরে কতকগুলি বেঞ্চি পাতা ছিল, আর খান-দুইচার চেয়ার। এই ঘরের পাশেই আপিস-ঘর। একে একে কেরানীর, ছোট বড় কর্তারা আসিয়া আপিস ঘরে ঢুকিতে লাগিলেন। ক্রমে গড়ে নটা বাজিয়া গেল। চেয়ারগুলিতে বলিছিলেন খুব দামী পোষাক পরা কতকগুলি আমেরিকান মেয়ে। বেঞ্চিতে দুই চারি জন নিয়শ্রেণীর ব্যক্তি বসিয়াছিল। আমরা স্বরে ও বারান্দায় পামচারী করিতেছিলাম, এবং পাপিলের কেরানীদের কখন দয়া হইবে, কতক্ষণে তাঁহার কাজে লিবার জন্ত মনস্থির করিবেন, সতৃষ্ণ নয়নে উকি --বেলাম তিনি হাত-বাগি হইতে খাই দিলী, স্লোভাকিয়া, গোস্লাভিয় পোর্জগন্থ অমহিলার চোখ বড় বড়, কিন্তু গাল দুইটা তুবড়িয়া निबाइ-अषs झहे भारण फैकैक गांग ब्राडन्न इ३ cशब লাগাইয়াছেন, পথশ্রমে গালের ঠোঁটের মুখের রঙ কিছু নিম্প্রভ হইয়া গিয়াছে, তাই সংস্কার করিয়া লইতেছেন। ইউরোপের এই জিনিসটি আমার মোটেই ভাল লাগিত না—জিনিসট হইতেছে বর্ষীয়সী বা প্রৌঢ় মহিলাদের কাগুজ্ঞানের অভাব। বাট বৎসর বয়সের বৃদ্ধাও গালে রঙ মাখিয়া চুলে ফুল গুজিয়া নাচিয়া নাচিয়া চলিবার ঢঙ করিয়া কুড়ি বৎসরের তরুণী সাজিবার চেষ্টা করে—এইরূপ দৃপ্ত যুগপৎ হাস্যকর ও হৃদয়বিদারক। মাষের ও ঠাকুরমায়ের গৌরব ইহাদের কাছে যেন কাম নহুে—ইহারা চায়, চিরকাল তরুণী বা খুকী থাকিতে। যাউক, অবশেষে দেখিলাম পরস্পর হাসি মম্বর ও কুশল প্রশ্নের পরে ইহার স্থির করিলেন, এইবার কাজে বলা যাইতে পারে। উপস্থিত অভাগতেরাও একটু অধৈৰ্য হইয়া পড়িতেছিলেন। কে আগে আসিয়াছে, কে বা পরে আসিয়াছে, তাহার খবর কেহও রাখে নাই। কে জাগে যাইবে ? আমি আলিঙ্কাছি বহু পূর্ক্সে—কিন্তু নিজেকে আগাইয়া না দিলে, কনুইয়ের খোচা দিয়া পথ না করিয়া লইলে হয়তো পিছনেই পড়িয়া থাকিতে হইবে। এমন সময়ে আন্তর্জাতিক বিধি এবং আন্তর্জাতিক পৌৰ্ব্বাপর্ঘ্য সম্বন্ধে ধরা-বাধা নিষ্কম, ব্যক্তিগত ভাবে আমার সহায়তা করিল। কনসালের কাছারীর উদ্দীপরা এক চাকর আসিয়া যে ঘরে আমরা ছিলাম সেই ঘরে ঢুকিয় ফরাসীতে হাক দিল—“ব্রিটিশ ও আমেরিকান পাসপোর্ট যে সব মহিলা ও ভদ্রলোকের, তারা অনুগ্রহ করিয়া আগাইয় জাম্বন " তারপরে ইংরেজীতে তরজমা করিয়া বলিল— Ladies and Gentlemen with British and American passports, please step forward. বুঝিলাম, ইটালীর সরকারী কাছারীতে এই ভাবে ইংরেজ ও আমেরিকান জাতির সম্মান রক্ষা করা হইয়া থাকে। বিভিন্ন জাতির পা আহারে এইরূপ সাপিছু ব্যবস্থা। লেখা সবশেষে প্রিল