পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ .* দিয়াছিল । হঠাৎ পায়ের চিড়চিড়ানিটা বাড়িয় যাওয়ায় একরকম নাচিতে নাচিতেই সরিয়া আসিল । সঙ্গে সঙ্গে গণশাকে টানিয়া লইয়া চুলকাইতে চুলকাইতে বলিল—“আবার চাগিয়েচে রে, গেলাম মাইরি...” ” “তুই সব মাটি করলি ; আয় তো এ দিকটা ফাকায় একটু স’রে ...সেই মেয়েটা এতক্ষণ বোধ হয়...” পাশেই হঠাৎ কুয়ার খোলার আওয়াজ হইল, এবং সঙ্গে সঙ্গে একরাশ এটো পাত, খুরি, গেলাস দু-জনের মাথায়, কাধে, পিঠে সজোরে আছড়াইয়া পড়িল । তাহার পর তাহাদের ফিরিবার সঙ্গে সঙ্গেই—“ওগো বাবাগো, ডাকাত”— বলিয়া স্ত্রী-কণ্ঠে একটা চীৎকার, ঝনাং করিয়া দুয়ার বন্ধ, সশব্দে পতন, গোঙানি, বিভিন্ন কণ্ঠে হাকাহাকি, বিভিন্ন দিকে ছুটাছুটি,—সবগুলা যেন এক মুহূর্তে সংঘটিত হইয়া বাড়িটাকে তোলপাড় করিয়া তুলিল । - দলটার যে যেখানে ছিল, একটু হতভম্ব হইয়া দাড়াইয় রহিল। ভাবিবার সময় নাই, স্বদ্ধ জীবধৰ্ম্মের প্রেরণায় কাজ— কোন রকমে বাচিতেই হইবে—-যেমন করিয়াই হোক না কেন... কে. গুপ্ত যেদিক হইতে আসিয়াছিল সোজা সেইদিকে ঘুরিয়া ছুট দিল, সদরের দিকে নয়, একেবারে সোজা । “ঐ পালায়, পেছু নাও!” “উত্তর দিকে ছুটেচে !” ঘোৎনা পালাইবার উপক্রম করিয়া ঘুরিতেই একটা গাছে ধাক্কা লাগিল। বোধ হয় পেঁপে গাছ, খুব মোট । ওদিকে কে হাকিল—“না, বন্দুক না নিয়ে বেরিও না ; খবরদীর ।.. টোটা ভরে বেরুবে ।” ঘোখন তরতর করিয়া পেঁপে গাছটার উপর উঠিয়া পড়িল। একটু উপরে উঠিয়াই টের পাইল-কতকগুলা ভাল বাহির হইয় একটা ঝোপ ; আপাতত সেইখানটায় একটু থামিল। গণশ গোরাচাদের কোমরের র্যাপারটা টানিয়া বলিল— “স-সা-সসামনেই ফাক মাঠট—শীগগির নেমে পড়।” রাজেন বলিল---“তার চেয়ে চেচিয়ে বল—আমরা বরযাত্রী ।” “তুই আলাপ কঙ্করগে মুখ্য।--বলিয়া গণশ গোয়াটাকে একরকম টানিতে টানিতেই পা বাড়াইল । 3 سياسي 8 جة Ֆն զ পাশেই বাসরঘরে একটু যেন ধস্তাধস্তি হইতেছে। একজন বয়স্থার গলার আওয়াজ—“ওরে মা, না, জানল খুলিস নি, ওদের হাতে বন্দুক থাকে...ওরে অ নীহার । কি নির্ভয় মেয়ে সববাব আজকালকার . জানলাটা টানাইিচড়ানির মধ্যে খুলিয় গেল। রাজেন একরকম লাফ দিয়াই গণশ গোরাচাদকে ধরিয়া ফেলিল । তাহার পরেই পাতলা আগাছার মধ্য দিয়া ছুট। হাত-কয়েক পরে জমিটা সামনে একটু নামিয়া গিয়াছে, তাহার পরেই ফাকা । তিনজনে ঢালুটুকু এক রকম লাফ দিয়াই কাটাইল... পরক্ষণেই বাপা-থপাং-বাপা করিয়া তিনটা শব্দ ' ' “ওরে পুকুরে পড়েচে, খিড়কির পুকুরে তিনটে...” খিড়কির দরজা খুলিয়া গেল।--“লালঠেনে হবে ন!— গ্যাসলাইটট নিয়ে আয় ।” _ “একটা টর্চ হ’লে হ’ত,...বরযাত্রীদের কাছে একট। আছে, নিয়ে আয়.তারা ঘুমোচ্চে বোধ হয়, জাগিয়ে দে...” তিনজনে প্রাণপণে সাতার কাটিতে লাগিল । রাজেন বলিল—“এই তোর মাঠ ? কি ভীষণ পান রে বাবা ! গণশ বলিল –“ঘ-ঘ ঘাস ভেবেছিলাম।...ডুবসাতার কাট...” সমস্ত পাড়ায় সাড়া পড়িয় গেছে। বেটাছেলের গলার আওয়াঙ্গ ক্রমেই বেশী শোনা যাইতেছে —নানারকম প্রশ্ন, উত্তর, হুকুম “এই পুকুরে ?” । “হা, ঘিরে ফেলো। লাঠি শড়কি—যাই হোক সবাই এক একটা হাতে রেখো, ভয়ঙ্কর লাস এক একট...” “রোঘো বাগিদকে খবর দেওয়া হয়েচে ?” এটা যেন জগু-দার স্বর } এক কোণ হইতে গগনবিদারক আওয়াজ আসিল-- “এঞ্জে এই যে মুই রামদ নিয়ে রয়েচি ! নেমে পড়ব?” এপার হইতে উত্তর হইল—“না, ঘিরে ফেল চারিদিক থেকে...ওরে কুকুর দুটোকে খুলে দে।” “দেখতে পাচ্চ কেউ ?” । রোঘে বলিল-“যেন তিনটে মাথ। ওদিকপানে . शंभणी फूष क्लि ।