পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سیاسیbھ পিছন থেকে একজন বৃদ্ধগোছের লোক বলিলেন— “জার দেখো, বরকনে যেন ঘর থেকে না বেরোয় ; কোথায় কে আছে, কত রকম বিপদ হতে পারে—দুর্গা–দুর্গা • ” জগু-দ বলিল--"আচ্ছা, বরকর্তার কাছেই নিয়ে চল সবাইকে। রঘু, পাশে পাশে থাকি।” তিনজনেই নিজের নিজের মূৰ্ত্তির দিকে চাহিয়া বলিল— “তাহ’লে একখানা করে শুকনো কাপড় আর জামা--” সমস্ত দলটাতে একটা চেচামেচি গোছের পড়িয়া গেল— “মাইরি ?” “ওঁদের জামাই সাজিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” “একটা চৌধুড়ি নিয়ে এস।” “ধেমনভাবে উঠেছিলে সেই রকমভাবেই যেতে হবে ; তাতেও যদি চেনে তবেই...” সেই দুষ্টবুদ্ধি ছেলেট বলিল—“দময়ন্তী নলকে আমন অবস্থাতেও কি ক’রে চিনেছিলেন ? * “বরং সে পানাগুলো খসে গেছে, আবার চাপিয়ে দাও।” অগত্য সেই অবস্থাতেই অগ্রসর হইতে হুইল। দলট রং-বেরঙের মন্তব্য প্রকাশ করিতে করিতে আগেপিছে চলিল । সদরবাড়িতে মাঝখানের ঘরটিতে কৰ্ত্ত ও বরের মেসে এক জায়গায় মড়ার মত পড়িয়া। এককোণে পুরুতঠাকুর র্তাহার বধিরতার কল্যাণে গাঢ় নিজায় অচৈতন্য । বাইরের বারান্দায় দীনে নাপতে কাজকৰ্ম্ম সারিয়া কৰ্ত্তাদের বোতলঝাড়া একটু প্রসাদবিন্দু পাইয়াছিল, তাহাতেই তাহার বোলজান ফলপ্রাপ্তি হইয়াছে । দলট বারান্দায় আসিয়া উপস্থিত হইল। জগু-দ৷ “বেহাই মশাই!”—বলিয়া বরকর্তাকে জাগাইতে যাইতেছিল, সেই ছেলেটা হঠাৎ সামনে আসিয়া বলিল—“দাড়ান, দাড়ান, —ওরাই আগে দেখাক—কে বরের বাবা, কে বরের মামা, কে বরের বোনাই, কে বরের-.. ” তিনজনে কটমট করিয়া চাহিল। গোরাচাদ বলিল— “কেন, ঐ তো বরের বাপ...” গণশ টকা করিল—“ভ-ভভবতারণ বাৰু।” “ঐ বরের মেসো-অনন্তবাবু, ঐ পুরুস্তমশাই, কাল, রাতকাণা ; বাইরে দ্বীনে মাপতে।” ૧૬ ન સ્વાઝી ;} సినDBO ছেলেটা দ্বমিবার নয় ; চোখ বড় বড় করিয়া বলিল— “সব খোজ নিয়েচে রে!” একজন বলিল—“বোধ হয় শিবপুর থেকে ধাওয়া করেচে।” অনেক ডাকাডাকি এবং পরে ঠেলাঠেলির পর ভবতারণবাবু “উ” করিম এক শৰ করিলেন। দুই-তিন জন চীৎকার করিয়া প্রশ্ন করিল—“দেখুন তো—এই কি আপনাদের বরযাত্রী ?” অনেক বার প্রশ্ন করায়, অনেক কষ্টে কৰ্ত্তা রক্তাভ চক্ষু ছুটি চাড়া দিয়া অল্প একটু উল্মীলিত করিলেন, আরও অনেক চেষ্টার পর প্রশ্নটার একটু মৰ্ম্মগ্রহণ করিয়া অস্পষ্টশ্বরে বলিলেন—“কে বাবা, লন্দিভিরিঙ্গি—খিলোচনের বরযাত্র এশে ? এক শিল্ম্ চড়াও তো বাবা।” তিনজনেই একরকম আৰ্ত্তস্বরেই চীৎকার করিয়া বলিল-— “জ্যেঠামশাই, আমরা গোরাচাদ–রাজেন, গণেশ••• ” “গজানন, শি; তুই শেফালে বাপের বিয়ে দেখ তেলি ?” —বলিয়, অবশ অঙ্গুলি দিয়া সবাইকে সরিয়া যাইতে ইসারা করিয়া পাশ ফিরিয়া গুইলেন । বৃথা পরিশ্রম ভাৰিয়া র্তাহাকে আর কেহ জাগাইতে চাহিল না। বরের মেসো অনস্তবাবুর এটুকুও সাড়া পাওয়া গেল না। গোরাচাদ নিরাশ ভাবে বলিল—“হা ভগবান ।” পুরোহিত মহাশয়কে তোলা হইল। কথাটা তাহাকে শোনাইতে এবং ভাল করিয়া বোঝাইতে সবিশেষ বেগ পাইতে হইল। তিনি বলিলেন—“ডাকাতরা বলচে বরযাত্রী ? তা আমি তো রাত্রে দেখতে পাই না বাবা, প্রাতঃকাল পৰ্য্যন্ত তাদের বসিয়ে রাখে না হয়।” গোরাচাদ অগ্রসর হইয়া পদধূলি লইয়া বলিল—“স্বাক্ষরত্ব মশাই, আমি গোরাটাদ।” • “গোরাচাদ—এসে দাদা ; আজকের দিনে আর কি আশীৰ্ব্বাদ করব ? শীঘ্র একটি বিবাহ হোকৃ, কন্যপকাস্তি হও...” সেই সৰ্ব্বন্ধটের ছেলেটা একটু কাছে ঘেষিয়া চেচাইয়া বলিল—“কদৰ্পকাস্তি আশীৰ্ব্বাদের আগেই হয়েচে !” পাশ থেকে কে একজন বলিল—“মানস-সরোবরে চান করে।” স্থায়রত্ন মহাশয় ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন—“হ্যা, হ্যা, তা ।