পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ মূলধনের অভাবে ইহারা সফলতা লাভ করিতে পারিতেছে না। অনেক স্থলে আবার অনুপযুক্ত ব্যক্তির হাতে কাৰ্য্যভার দেওয়াতেই লোকসান হইয়াছে, ইহাও কি দেখা যায় না ? हेशंद्र छछ मांग्रैौ cद ? বহু বর্ষব্যাপী ব্যবসায় এবং বাণিজ্য হইতে দূরে থাকাতে আমরা এগুলিকে কঠিন এবং উদ্যোগের অভাবে অশিক্ষিত এবং অসাধু লোকের কার্যক্ষেত্র বলিয়া মনে করিম আসিয়াছি। দায়ে পড়িয়া বাঙালী এখন ব্যবসায়ের দিকে অগ্রসর হইতেছে, কিন্তু ইহাও কতকটা সঙ্কল্প করিয়া নহে, অন্ত কিছু সুবিধামত জুটিল না তাই। ইহার জন্য দায়ী আমাদের যুবকেরা নহে, র্যাহারা বর্তমান শিক্ষাপ্রণালীর কর্ণধার তাহারাই। কথায় কথায় শিক্ষিত যুবকদিগকে উপহাস কর, অথবা উপাধি তাহাদের উন্নতির অন্তরায় এইরূপ বলা আমাদের মুখে শোভা পায় না। অর্থকরী বিদ্যা এবং যে-বিদ্য জীবনসংগ্রামে কৃতকাৰ্য্য হইতে সাহায্য করে না, সেই বিদ্যার অপকারিত বুঝিয়াও যখন আমরা তাহ দূর করিতেছি না তখন সে জন্য যুবকদিগকে দায়ী করা কি উচিত? আমাদের বর্তমান শিক্ষ-পদ্ধতির দোষেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাদানের স্থান না হইয়া উপাধি-প্রস্তুতের কারখানা-স্বরূপ হইয়াছে। যেন-তেন-প্রকারেণ উপাধি বিতরণ করিতে পারিলেই বিশ্ববিদ্যালয় কৰ্ত্তব্য সম্পাদন করিলেন বলিয়া মনে করেন। আর ছাত্রেরাও অসংখ্য নোট বুক এবং বিশেষ চিহ্নিত স্থান মুখস্থ করিয়া পরীক্ষা-সাগর উত্তীর্ণ হওয়াকেই শিক্ষার লক্ষ্য বলিয়া মনে করে। দোষ শিক্ষার নহে, শিক্ষাপ্রণালীর । অন্য দেশে স্কুল-কলেজে পাঠ শেষ করিলেই প্রকৃত শিক্ষার আরম্ভ হয়। স্কুল ও কলেজে আমাদিগকে বুঝিতে ভাবিতে এবং যাচাই করিতে শিক্ষা দেয়, বাস্তব জীবনে যখন এক একটি ঘটনা উপস্থিত হয় তখন আমরা শিক্ষা অনুসারে সেগুলি বুঝিতে চেষ্টা করি । পাশ্চাত্য দেশে অধিকাংশ ব্যক্তি উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে না সত্য, কিন্তু তাই বলিয় তাহারা শিক্ষার পাটও উঠাইয় দেয় না। সে-সব দেশে সন্ধ্যাকালে শিক্ষা দিবার জন্ত বহু বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, এবং যাহার উদ্যোগী, যাহারা উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করে তাহারা দিবসের কর্ণাস্তে সেই সব বিদ্যালয়ে পাঠ করিয়া জ্ঞান বৃদ্ধি করে। যাহার ষে দিকে ঝোক, সে সেই বিষয়ে পারদর্শী SOBO হুইবার সুযোগ পায়। অনেক কোম্পানীর কৰ্ম্মকৰ্ত্তারী এইরূপ উদ্যোগী যুবকদিগের বৃত্তি দান এবং অন্যপ্রকারে উৎসাহিত করেন। ইউরোপ এবং আমেরিকায় এখন চেষ্টা চলিতেছে tobring the factory into the school and the school into the factory, eefs stislaf fessw was আবহাওয়া আন এবং স্কুলে কারখানার আবহাওয়া আনা । ইহার উদ্দেশু এই, যে থিওরি শিখান হয় তাহার সহিত কলকারখানার সম্বন্ধ কোথায় তাহ ছেলের প্রথম হইতেই বুঝিতে পারে। সোভিয়েট রাশিয়ার খবর র্যাহার রাখেন তাহারা জানেন যে পাচ বৎসরের প্ল্যান (Five-year's Plan) সফল করিবার জন্য লক্ষ লক্ষ কৰ্ম্মী কারখানায় লওয়া হইয়াছিল, যাহারা কলকজার বিষয় কিছুই জানিত না । তাহাদিগকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক কারখানায় স্কুল খোলা হইয়াছে এবং তাহাদিগকে কৰ্ম্মপটু করা হইতেছে। আমাদের শিক্ষার সহিত বাস্তব জীবনের সম্বন্ধ খুব কম। শিক্ষা যখনই বর্তমানের সহিত যোগ হারাইয়া অতীতকে আঁকড়াইয়া ধরিয়া থাকে তখন ইহা আমাদের উন্নতির অন্তরায় হয়। আমরা ভুলিয়। যাই যে, সমাজ স্থিতিশীল নহে-গতিশীল। কাজেই অতীতের অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিম যে থিওরি গঠিত হইয়াছে তাহী সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলাইয়া যাইতেছে । তাই এই প্রবহমান গতির সঙ্গে আমাদিগকে স্বর মিলাইয়। চলিতে হইবে, নচেৎ আমরা উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে পারিব না । তাহা হইলে ইহা কি সত্য নম্ন যে, শিক্ষা উন্নতির অন্তরায় নহে, বরং শিক্ষার অভাবই উন্নতির পরিপন্থী। আমরা শিক্ষা বলিতে যাহা বুঝি তাহ প্রকৃত শিক্ষাই নয়, কেন-না যে-শিক্ষা জীবিকা-উপায়ের পথ প্রদর্শন না করে সে-শিক্ষার সার্থকতা কি ? অতএব আমাদের শিক্ষাপ্রণালীকে কাৰ্য্যকরী করিতে হইবে, যে-সব আবর্জন ইহাতে প্রবেশ করিয়াছে সেগুলি দূর করিতে হইবে। আরও মনে রাথিতে হুইবে উপাধিলাভ শিক্ষার উদ্দেগু নহে, মানুষ গড়াই ইহার কাজ। আমাদের দেশে দেখিতে পাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংসর্গ পরিত্যাগ করিলেই শিক্ষার পাট, উঠিয়া যায়। চতুদিকে এত পরিবর্তন হইতেছে, এত সক