পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soo সংখ্যা ক্রমশই বাড়িয়া যাইতেছে, অথচ লোকসংখ্যা-বৃদ্ধির अश्शोष्ठ जांबांनि छधिब्र बूरुि झ नाझे । देश झांफ़ è s'affwrn wfRRA (law of inheritance) grą wfR এত ক্ষুত্র ক্ষুদ্র খণ্ডে বিভক্ত হইয়াছে যে তাহা চাষ করিয়া এক পরিবারের অন্ন সংস্থান হয় না, বরং পূর্বাপেক্ষ অধিকসংখ্যক লোককে জমির উপর নির্ভর করিতে হয় বলিয়া তাহাদের জীবনাদর্শ দিন-দিন হীন হইতেছে। তদুপরি কৃষিজাত প্রব্যের মূল্য অত্যধিক হ্রাস হওয়াতে তাহাদের ক্রয় শক্তি একপ্রকার নাই বলিলেই হয় । এই অবস্থায় যদি ভদ্র যুবক লাঙ্গল হাতে করিম কৃষকের সহিত প্রতিযোগিতা করে তাহা হইলে তাহাদের এবং রুষকের, উভয়ের অবস্থাই আরও হীন হইবে। মুষ্টিমেয় ভদ্রলোকের চাষ করিয়া জীবিকা-উপায় হইতে পারে, কিন্তু অধিক সংখ্যকের পক্ষে ইহা সম্ভব নহে। আর এক কথা মনে রাখা উচিত, কৃষি মৌসমি (seasonal) ব্যবসায়। বৎসরে ছয় মাসের অধিক কৃষককে হাত ওটাই বসিয়া থাকিতে হয়। আজকাল স্বেরূপ ব্যয় বৃদ্ধি হইয়াছে তাহাতে ছয় মাস কাজ করিয়া এক বৎসরের অল্পের সংস্থান করা সম্ভবপর নয় । অতএব কৃষি দ্বারা বেকার-সমতার সমাধান করিবার ভ্রাত্ত ধারণা পরিত্যাগ করিয়া আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করিতে হইবে শিল্প এবং বাণিজ্যের উৎকর্ষের জন্য। ইহাদিগকে দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করিতে হুইলে প্রাকৃটিক্যাল বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য-শিক্ষার বিস্তার হওয়া প্রয়োজন। এই শিক্ষা উপাধি-প্রস্তুতির কারখানা হইবে না, ইহা হইবে কতকাংশে স্কুল এবং কতকাংশে কারখানা। প্রকৃত শিক্ষা কখনও উন্নতির অন্তরায় হইতে পারে না। শিক্ষা-নামধারী যে অদ্ভুত প্রথা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে তাহাই আমাদেৰ অবনতির কারণ । শিক্ষার ভিতর জাতিবিভাগ ফ. ক. রাবিয়া খাতুন শিক্ষা মানবের অস্তরের লুকামিত গুণাবলীর বিকাশসাধন করে, মানবের চরিত্রগঠনের উপাদান সংগ্রহে সাহায্য করে । স্বতরাং ইহা কাহারও ব্যক্তিগত বা জাতিগত সম্পত্তি নহে । সকলেরই শিক্ষার প্রয়োজন। যেহেতু শিক্ষা সকলেরই সমভাবে প্রয়োজনীয়, সেহেতু এই শিক্ষার ভিতর কোন ব্যক্তিগত বা জাতিগত বিভাগ না থাকাই বাঞ্ছনীয়। যাহা ভাল, যাহা শিক্ষণীয়, তাহ হিন্দুরও যেমন শিক্ষণীয়, মুসলমানেরও সেইরূপ। সক্রেটিস সেই শত শত বৎসর পূৰ্ব্বে যাহা প্রচার করিয়া গিয়াছেন তাহা শুধু আজ গ্রীসবাসীরা শিক্ষা করেন, সমস্ত জগৎ তাহার চর্চা করে। অতি প্রাচীনকাল হইতে অন্ত জাতির ভিতর বাহ ভাল, অপর জাতি তাহার অল্পকরণ করিয়াছে। গ্রীকরা যদি বিজাতীয় জ্ঞানী লোকের অনুকরণ না করিত তবে তাহাদের সভ্যতা অতটা উন্নত ও বিস্তৃত হক্টত না । । - : বর্তমান জগতেও উদাহরণের অভাব নাই। জার্শ্বাণরা আজ পৃথিবীর মধ্যে জ্ঞানবিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু তাহাদের শিক্ষা শুধু জাৰ্মাণ-জগতেই সীমাবদ্ধ নয়। তাহদের ভিতর বড় বড় সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত, বড় আরবী পারসী শাস্ত্রে জ্ঞানীলোক আছে। সুতরাং শিক্ষা জিনিষটায় খুব উদার হওয়া উচিত। চণ্ডালের ভিতরও যদি কোন গুণ থাকে, তবে তাহ শিক্ষা করা উচিত । - আমাদের দেশে, বিশেষতঃ এই বাংলা দেশে, এই নিয়মের ভীষণ ব্যতিক্রম দৃষ্ট হয়। আমাদের নিকট আমাদের শিক্ষাই বড়। অপরের ভিতর ষে কোন শিক্ষণীয় জিনিষ থাকিতে পারে, সেটা মনে করা আমাদের ভিতর এক রকম অসম্ভব ব্যাপার । অবশু আমি জামাদের হিন্দু ভাইদের কথা বলিতেছি না। তাহার এ বিষয়ে যথেষ্ট উদার। তাহদের শিক্ষার ভিত্তর