পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sళ 3 off-of $ কত কাস্তার হয়ে যায় পার, গিরি অরণ্য কত, খুজিয়া খুজিা,চাহে সে চিনিতে বিরহিণী মনোমত; কনকবলম্ব ভ্ৰষ্ট হইয়া প্রকোষ্ঠ যার খালি, ফুল দিয়া দিন গণিতে গণিতে নয়নে পড়েছে কালি ; নীবির বাঁধন খসিয়া পড়িছে উদাসী মনের ভূলে, কাদে দিনরাত, পড়েনাক হাত একবেণীবাধা চুলে ! উজ্জয়িনীর প্রাসাদ হতে রেব কুলে কুলে চাহি -নটিনীর মত চলেছে বেদম বেতসের বন বাহি ; কত না ফুটজ কত না কেতকী কত কদম্ববন— -গন্ধ ধরিয়া প্রিয়-নিঃশ্বাস করিয়া অন্বেষণ ; যেখায় যে কোনো রমণীয় মুখে রমণীর অধিকার, বিদ্যুদিঠি মেলিয়া তখনই নেহুরে বারম্বার ! সেই ক তাহার বাঞ্ছিত প্রিয় যক্ষবক্ষসাথ , মন্দ মন্দ মেঘের পক্ষ সঞ্চালি দিবারাতি ! --নীলাঞ্জনবরণ পিঙ্গনয়ন, বারণবাহী— চিলিয়াছে মেঘ চিরদস্থিতার সন্ধান শুধু চাহি! ঐ যে-যাহার করতালিতালে নাচিছে ময়ুরদল ! উতলা কলাপ মেঘেরই বরণে বিথারিয়া চঞ্চল ; গৃহপারাবত সঙ্গে হংস ঘেরি যার চারিধারে পদ্মকরের রুপাক্ষণ চেয়ে ঘুরে মওলাকারে, ঐ কি আমার প্রিয় বন্ধুর বাঞ্ছিত বিরহিণী ? কাঞ্চীর তলে কটিতটে তবে বাজে কেন কিঙ্কিণী ! মদির নজনে বিলোল চাহনী, কুন্ত্রমিত কেশপাশ — বিরহী আননে ফুটিবে কেমনে হেন হাসি-উল্লাস ? পাণ্ডু-অধরা রুশ-কলেবর একবেণীধরা নারী— নয়নভুলান রমণীর মাঝে তারে ত চিনিতে নারি। যা কিছু যেথায় স্বন্দর অাছে স্বষ্টি-গহনকোণে, কবির দৃষ্টি এড়ায় নি কতু সে বিজলী-ঈক্ষণে! চোখের তারায় প্রাণের ধারায় চলেছে অবাধ গতি, কুড়ায়ে কুড়ায়ে অকূল প্রেমের আকুল শ্রদ্ধারতি। বন্ধু আমার, চেয়েছ যা তুমি এ ভরা বাদল দিনে, কিছুই তাছার পড়ে না ষে চোখে এ আঁধারে পথ চিনে । নূতনত্বের মাত্বিক গন্ধ, সেই একঘেয়ে কথা গুৰু মনে পড়ে এ বালে বড়ে বাড়াইয়া ব্যর্থতা , Sన98C) ঝকঝকে লেখা—কোথা পাব ভাই, ভিতরে বাহিরে কালে শুাম আষাঢ়ের যে ছায় পড়েছে, সেথা যে মিলে না আলো মাটির ধরণী বড়ই পুরাণে, পুরাণে মানবমন, আরও পুরাণে যে চিরকেলে এই প্রণয়ের ক্রান; , বিজ্ঞান নহে, নূতন খোরাক জোগাবে যে বারমাস, মানুষেরই সাথে চিরসার্থী তার প্রণয়ের ইতিহাস ; কবি কালিদাস জেনেশুনে তবু সেই পুরাতনী কথা— ছন্দে গাথিয়া কি করিয়া ভাই লভিল সে অমরতা ! ফাকি দিয়ে কবি নাম কিনে গেছে মূর্থের বাধা হাটে, আজিকার দিনে ঐ রদি মাল আর কি কখনও কাটে ! তারই সেই কথা কাগজে তোমার চলিবে না জেনেশুনে, আষাঢ়ে মেঘের সেই ভিজে তুলো আবার তুলিচু খুনে। ভাল নাহি লাগে—টেনে ফেলে দিও ভিজে তোষকের মত বিষম বর্ষা, তার পরে আর করিও ন৷ বিব্রত। ওদিকে আবার কাজ আছে ঢের, দেখাগুন তোলাপাড়া ; জরটুকু গেছে, ঘুমটা ভেঙেছে, গৃহিণীর পাই সাড়া ; মেঘদূত দেখি–নিফল নয় ; তাহারই রুগ্ন চোখে পালটি পড়িহু প্রেমের পুরাণ স্তিমিত বর্ষালোকে ! মনে হ’ল যেন, তাহারই মাঝারে র্কাদিছে আমার প্রিয়া, ভাবি, কি উপাষে ভুলাই তাহারে কোন সাত্বনা দিম। বুকে রেখে ধারে মিলে না স্বস্তি তারেই রেখেছি দূরে,-- সেই কথাটাই আবার শিথিয় পাগল কবির স্বরে ! —ঐটুকু দুধ-ফেলে রাখ কেন ? অনেক হয়েছে রাত— ঘুমাও পুরে ধীরে ধীনে নাম দিই হাত । 흥 ঝর ঝর ঝর, ঝম্ বম্বমূ—আবার নামিল ধারা, গড় গড় ক’রে মেঘের ডঙ্ক সঙ্গোরে দিতেছে সাড়া ! মন হতে মনে, প্রাণ হতে প্ৰাণে বহিছে বিজলী বাণী, প্রেম ৰেখা আছে, দূরে কিবা কাছে, মনে মনে জানাজানি, কম্বামে ধারা বাজনা বাজায় ছাদে ও বন্ধ স্বারে ; হিয়ার মাঝারে দুরু দুরু করে গুরু গুরু দেয়া ডাকে, বুকে বুক রাখি অস্থির মন, হায়! কে বুঝায় কাকে । মিলন বিরহ-জুই যে অসহ, সমান বেদনাভরা-– ' এ.যেন হয়েছে মরণের সাথে দিনরাত ঘর করা 1 ·