পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇతళి উপর রক্সের ঝালর স্থলছে। পদতলে আবেগভরা দৃষ্টিতে রাণীর প্রেমিক কবি মং টিন্‌ ৰ্তার দিকে চেয়ে-রাণীর আঁখি অৰ্দ্ধোযুক্ত, লাস্তভর মৃত্যুহাসে রাণী কবির দিকে চেয়ে আছেন। সখীরা রাণীর মাথায় চামর ব্যঞ্জন করছে, পরিচারকেরা চিত্রাপিতের মত দাড়িয়ে আছে —শুধু নদীতে সোনার বিলিক খেলছে—ময়ুরপন্থীর চঞ্চুতে আলো ঠিকরে পড়ছে—এক ঝলক চাদের আলো রাণীর মুখে পড়ে তাকে স্বর্গের দেবীর মত দেপাচ্ছে --- “এ ঠিক হয়নি, কবি, তুমি আমার মনের কথা ধরতেই পার নি।” বলে মশিন বললে, “বরং এমনি ধারা লিখলে পারতে— বনের মধ্যে নদীর ধারে একটি ছোট কুটার। সে কুটার ম: টিন ও মা শিনের। গভীর অন্ধকার, কিছুই দেখা ষায় না । সেই গাঢ় অন্ধকারে নদীর বুকে ছোট্ট একখানি নৌকায় তারা চলেছে। নদী ফুলে ফুলে উঠছে—কালে জল খল খল করে চলছে—ঘূর্ণাবৰ্ত্ত নৌকাকে গ্রাস করতে হা করে আসছে। এমনি সময় হঠাৎ নদী শাস্ত হ’ল, জাখার কেটে গেল, আকাশে ক্ষীণ চন্দ্রের একটু আলো দেখা গেল। সেই আলোতে মং টিন ও মা শিন তাদের স্কুটার দেখতে পেয়ে আকাশের দিকে চেয়ে ভগবানকে প্ৰণাম করলে –* “না, সে কি হয় ? আমি তোমায় যেমন চাই, তেম্নিই লিখেছি ; কিন্তু তুমি কি একেচ দেখি ?” বলে মং টিন মা শিনের হাতের কাগজখানা নিয়ে খুলে ফেললে – দেখলে—পরিখা-জটে দ্বর্ণশিখরে দাড়িয়ে তেজস্বী অশ্বগৃষ্ঠে মং টিনের মূৰ্ত্তি। নিয়ে পদতলে দিগন্তবিস্তারী খামল ক্ষেত্র, দূরে বিসৰ্পিত গতিতে ইরাবতী একেবেঁকে চলেছে ; উভয় তীরের জটালিকাশ্রেণীর শ্বেতশীর্ষ দেখা বাচ্ছে। পশ্চিম আকাশপ্রান্তে স্থধ্য ডুবে যাচ্ছে ; তারই সোনালী আলো শুাম ধরণীর উপর থেকে আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে । সেই ধূসর অস্পষ্ট আলোর দিকে মং টিন চেয়ে আছে—ব্রুদ্ধের আকাশ থেকে স্বর্ধকে অস্ত যেতে দেখতে দেখতে নয়ন তার অক্ষযোগে ভরে উঠেছে—অন্তর তার অভিমানে পূর্ণ হয়ে আসছে—বিদ্রোহী চিত্ত বয়-ছেড়া ঘোড়ার স্বত ক্ষিপ্ত গতিতে ছুটেছে –কিন্তু আকাশ তবুও অন্ধকার হয়ে আসছে--অন্তমন স্বর্ষের শেষরশ্মির এক ঝলক তার কপালে রাজটীক্ষার মত ঝলমল ক'রে উঠেছে। বেদনাব্যথিত চিত্তে গভীর আগ্রহে ছবি দেখতে দেখতে সোৎসাহে মং টিন ব'লে উঠল—“চমৎকার, চমৎকার একেচ, শিল্পী ! আমার মূৰ্ত্তি তুমি ঠিকই ধরেছ। তোমার ছবিতে ব্রহ্মের মনোবেদন মূৰ্ত্ত হয়ে ফুটে উঠেছে—এটা আমি দশ জনকে দেখাবার লোভ সম্বরণ করতে পারছি না, বন্ধু!” মা শিন বললে, “আমিও ভেবেচি, ছবিটা ভাল হ’লে এখানকার বাৎসরিক চিত্রপ্রদর্শনীতে দিয়ে দেখব ।” মং টিন বললে, “ঠিক, ঠিক, সে ভারি মজা হবে কিন্তু শেষ হ’লে আমায় দিও। আমি সব বন্দোবস্ত করে দেব ।” কিন্তু এই ছবি নিয়েই তাদের কাল হ’ল । মা শিনএর বাবা এই ছবি দেখে মুখ গভীর করে রইলেন। প্রদর্শনীতে ছবি দেখে বাইরের লোকে সবাই যখন একমুখে স্বখ্যাতি করতে লাগল, তখন তিনি প্রতিপদেই গভীর বিপদের আশঙ্কা করতে লাগলেন । তার কিছুদিন পরেই মা শিল্দের ঘরে এক নূতন যুবক অতিথি আসতে লাগলেন। মা শিনের বাবার তাকে আদর-অভ্যর্থনাই বা কত ! তার বাবা সমস্ত ব্ৰহ্মদেশের নামকরা লোক,—অগাধ অর্থসম্পত্তি ; ছেলেটিরই বা গুণ কত ! সে বিলাত গিয়ে বৎসরখানেক হ’ল মস্ত পণ্ডিত হয়ে ফিরে এসেছে— এখন সে একাধারে উচ্চপদস্থ রাজকৰ্মচারী এবং ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ! এ যেন মণিকাঞ্চন-সংযোগ—এর কাছে মঃ টন কোথায় লাগে ! মিঃ বা থ-এর প্রশংসা শুনতে গুনতে মা শিনের কান বধির হয়ে যাবার উপক্রম হ’ল। বা-থও এখন রোজই তাদের বাড়িতে আসেন—ম শিন-এর চিত্রবিদ্যার কত প্রশংসা করেন। তার সঙ্গে গল্প করতে তিনি বড় ভালবাসেন—রোজই সন্ধ্যায় হয় বেড়াতে, न! शुश्च क्षिप्र्र्रांग् बांग्कांक्षांशं निनि , चांन--चनश्चं, क्षानि ধরে কত দেশবিদেশের কথা, তার নিজের কৃতিত্বের কথা বলেন। বেচারী মা শিন্‌ বাপমায়ের মানৱ ভাৰ বুঝে কোনো কথা বলতে সাহস করে না-চুপ করে থাকে। স্কার ভিঞ্চি