পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** F. ří#: * .بهبي - கடவ" بيبيتيني মৌন সম্মতির লক্ষণ ভেবে সোসাহে অগ্রসর হন। মশিন এখন আর বেরতে পারে না। প্রাণটা তার হাপিয়ে ওঠে। কিছুদিনের মধ্যেই মং টিন ব্যাপারটা বুঝতে পারলে. আগেকার মতই সে মা শিনদের ঘরে যায়, কিন্তু মা শিল্-এর দেখা সে আর পায় না। যক্ষের মত তার বাবা দরজা আগলে বলে থাকেন। মং টিন ঘরে গেলেই তিনি বিব্রত হয়ে পড়েন— তাকে কোন রকমে তাড়াবার জন্তে উস্থুল করতে থাকেন। কোন দিন হয়ত বলেন, “ম শিন-এর অক্ষণ ।” কখনও বলেন, “সে বেড়াতে গেছে।” সে যে অপ্রয়োজনীয়, অনাদৃত অতিথি—এ-কথাটা বুঝতে পেরে অভিমানে ফুলে ওঠে। কোন রকমে শিষ্টাচার রক্ষা করে বেরিয়ে পড়ে। নুতন সহায়ের সাহস পেয়ে মা শিনের বাবা একদিন তাকে বুঝিয়ে বলেই ফেললেন, “দেখ, তুমি এখন বড়-সড় হয়েছ, এখন আর তোমার ভবঘুরে হয়ে বেড়ানো উচিত নয়। লোকে কি মনে করে বল দেখি ? আগে ভাল হও, বড় হও, তারপরে মা শিনের সঙ্গে দেখা ক’র ” ভ্যাবাচাকা থেমে মং টিন ফিরে এসে রুদ্ধ আক্রোশে ফুলতে থাকে—কি করেছে সে ? যার জন্য আজ এই নূতন উপদেশ ? আজকাল মা শিনের, মা শিনের বাবার এসব অদ্ভুত আচরণের কারণ কি ? –সে আর মা শিনের বাড়িতে ষায় না ; কিন্তু তার দেখা না পেয়ে ছটফট করতে থাকে । দিনের মধ্যে অনেক বার নানা অজুহাতে তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে চলে যায় । কিন্তু তাদের বাড়িতে আর ঢোকে না । মধ্যে মধ্যে রাস্তার ধারে তাদের বাহির দরজার উপর একখানা মোটর গাড়ী দেখতে পায়—ভাবে এ আবার কে এল ? একদিন সে জনকয়েক বন্ধুর সঙ্গে কোথা থেকে গাড়ী করে ঘরে ফিরচে, সন্ধ্যা হয়ে গিয়েচে, মা শিনদের বাড়ির রাস্ত ধরেই গাড়ী চলেছে। তাদের বাড়ির কাছাকাছি হতেই দেখতে পেলে সেই মোটরখান। সেখানে এসে থামলো-মোটর থেকে স্ববেশধারী এক যুবক বেরিয়ে এসে হাত ধরে এক কিশোরীকে নিয়ে বাড়িতে ঢুকল। ঠিক সেই সময় তাদের গাড়ী সামনের দরজা অতিক্রম করছে – উজ্জল বিদ্যুৎবৰ্ত্তিকলোক মেটের মুখের উপর পড়েছে। এক লহমায় মঃ টন লিতে পারলে—বিচিত্র গাছ সৱে মশিন। জলের মত সব সোজা হয়ে গেল, তার মাথা ঘুরতে লাগল। - ومصطسون جة লে মনে মনে সক্ষর করলে, একবার মশিন-এর মুখের কথা সে শুনবেই। কোন রকমে লুকিয়ে লুকিয়ে একদিন জীয় সঙ্গে দেখা করে বললে, “ও বাদরটা তোমার কাছে আসে কেন, মা শিন ?” - - - একটু স্নান হাসি হেসে মা শিন বললে, “কেন আসে তা কি বোঝ না ?” - - “তাহলে তাকে তাড়িয়ে দাও না কেন ?” । گی মা শিন বললে, “আমি ওকে আনিও নি, তাড়াতেও পারি নে। বাবামায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমি কিছু করতে পারিনে তো ?” • “বটে, তুমি পার না ? তবে তেমনি মেয়েই তুমি ” কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কক্ষাস্তরে বা থ-এর আওয়াজ পাওয়া গেল। মুহূৰ্ত্তে মং টিন মরিয়া হয়ে উঠলে ; পারবে না তুমি তাহলে—জঘণ্য, বিশ্বাসহৰী কোথাকার " বলে মা শিনকে একটা প্রচণ্ড ধাক্কা মেরে মং টিন সন্ধ্যার আঁধারে অদৃপ্ত হয়ে গেল । "মাগে৷ ” বলে মশিন সশব্দে পড়ে গেল—দরজায় মাথা লেগে ঝনঝন করে উঠল। “কে রে, কে রে” বলে সকলে ত্রস্ত হয়ে ছুটে এল। খানিকক্ষণ পরে মা শিন ধীরে ধীরে উঠে বসতেই চারিদিক থেকে প্রশ্নবাণ এসে পড়তে লাগল। “ঘরে কে এসেছিল, কার সঙ্গে কথা বলছিলি, কে মারলে তোকে—” এই সব প্রশ্ন। মা শিন কোন কথার জবাব দিল না ; শুধু বললে, “একটা কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মাথ৷ ঘুরে পড়ে গিছলাম।”

  • গভীর রাত্রে মং টিন বাড়ি চলে গেল। স্বপ্ত সিংহ আজ জেগেছে—নারীর অঞ্চলপ্রান্তে সে আর বাধা থাকবে না। ছিঃ এত অপদার্থ, এতই হেয়, এত বিশ্বাসঘাতিনী নারী ? আর সে এরই মোহে এতদিন প্রলুদ্ধ ছিল ? মন তার ধিক্কারে

ভরে এলে । সামনে কেমেন্দাইনের উন্মুক্ত প্রান্তর দিয়ে চলতে চলতে তার মনে হল—এই সেই প্রাস্তুর, যেখানে তার পূর্বপুরুষ মহাবীর বাদুল আসিহস্তে অমর খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তারই বংশধর সে—তারই রক্ত তার ধমনীতে প্রবাহিড়গৌরবে তার বুক ভরে এল। সেখানকার খানিকটা