পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१०९ মাটি শাখায় দিয়ে সে বললে, “মহাবীর বাঙ্গুল, তোমার অযোগ্য বংশধর এতদিন নারীর মোহে আচ্ছন্ন ছিল ; আজ তার মোহ কেটে গেছে, দেব ! আশীৰ্ব্বাদ কর যেন তোমার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তোমার বংশের উপযুক্ত হতে পারি।” শীতল নৈশবায়ু তা’র সমস্ত দেহে শিহরণ দিয়ে চলে গেল। চোখের উপর বাদুলার অশরীরী মূৰ্ত্তি ভেসে উঠল—আজ তার নবজাগরণ! সেই জাগরণের বস্তায় মা শিন, বা থ--সব ভেসে গেল ! তুচ্ছ নারী, তুচ্ছ তার স্বাখান্বেষী অর্থলোভী পিতা ! মং টিন এমন একটা কিছু করবে, যাতে পৃথিবী বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে যাবে—তাকে চিরঅমর করে রাখবে। তার কাছে বা থ তো কীটাখুকীট। আর রাজামুগ্রহভোজী বিদেশী মণিপুরী কুকুর । মং টিন্‌ তোমায় উপযুক্ত প্রতিশোধ দেবে--এর জন্ম তার প্রাণ পৰ্য্যন্ত পণ ! প্রাণ তো তার কাছে অতি তুচ্ছ ! মং টিনের গৃহত্যাগ কারও অজ্ঞাত রইল না। মা শিনের বাবা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন-এখন নিশ্চিন্ত হয়ে পূর্ণোদ্যমে বা থ-এর দিকে মন দিলেন। এখন তার হাসি যেন আর ফুরায় না—যখনই স্থযোগ পান, মেয়ের সাম্নে মং টিনের নামে বিক্রপ করতে ছাড়েন না, আর বা থএর সঙ্গে বিয়ে হলে মেয়ে যে রাজরাজেশ্বরী হবে, সেটাও আকারে ইঙ্গিতে বলতে কন্থর করেন না। অনেক রাত্রি পৰ্য্যস্ত বা থ-এর সঙ্গে তার কথাবাৰ্ত্ত হয়, হাসাহাসি হয়, শলাপরামর্শ চলে। এমন কি, বা থ অনেক সময় মা শিনের সঙ্গে দেখা করবার সময় পায় না। দেখেশুনে মা শিনও নিৰ্ব্বাক্ হয়ে গেছে—বিয়ের কথাং হাও বলে না, নাও বলে না । শুধু যখন নিস্থতি রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়ে, মুক্ত মাকাশে তারাগুলো জল জল করতে থাকে, জানালার ভিতর দিয়ে চাদের আলো বিছানায় ছড়িয়ে পড়ে, তখন সে পরিখাতটে দুর্গশিখরে দণ্ডায়মান মংটনের ছবির দিকে চেয়ে থাকে, দুই চোখ তার জলে ভরে আসে, চুপি চুপি বলে—“নিষ্ঠুর, হৃদয়হীন, পাষাণ ! কি করে তুমি আমায় স্কুলে আছ, প্ৰাণাধিক । কোথায়, কোন অভিমানে চলে গেছ দেবতা ?-বাবার আগে একবার বলে গেলে না— \ઃ zool o Sово শুনে গেলে না, আমি তোমায় কত ভালবাসি ” অভিমানে বুক তার ভরে ওঠে, চোখের ঘকুল ভাসিক্ষে অশ্রীর বস্ত बाब बाञ्च-कूशन ठूशन इदि डिरख eó । उनूe cङ প্রিয়তম তার কাতর আহবান শোনে ন-শরীরী হয়ে এসে দেখা দেয় না—প্রিয়ার নির্বাতন তো তার কানে পৌছায় না! সমস্ত রাত্রি ছবিখানা মা শিন বুকে করে রেখে ক্লান্ত হয়ে ভোরের ঠাণ্ড হাওয়ায় ঘুমিয়ে পড়ে। তখন ব্রন্ধে বিদ্রোহভেরী বেজে উঠেছে- সে ভেরীর আহবানে আরাবতী, প্রোম, হেনজাদ উন্মত্ত হমে ছুটেছে। চঞ্চল চরণে ক্ষিপ্ত নরনারী বিদ্রোহ পতাকাতলে সমবেত হয়েছে। তিন্তিড়ী বৃক্ষতলে তাদের অন্যতম নেতা মং টিন্‌ নিৰ্ব্বিকারভাবে তাদের দিকে চেয়ে আছে—প্ৰাণে তার মায়া নেই, ভবিষ্যতের ভয় সে করে না ; হিতাহিতজ্ঞানশূন্ত। সে এখন মূৰ্ত্তিমান রণদানব। চক্ষে তার হিংস্র খাপদের জাল, বক্ষে তার আক্ষরিক প্রতিহিংসা। গ্রামের পর গ্রাম দগ্ধ হয়ে গেছে, সহস্ৰ সহস্ৰ লোক মরেছে, অসংখ্য গৃহ সমভূমি হয়ে গেছে—সে নিৰ্ব্বাকৃ নেত্রে দেখেছে। কত অসহায়া নারীর পতিকে হত্যা করছে,—কত আতুর বুদ্ধের একমাত্র পুত্রকে ছিনিয়ে নিচ্ছে --কত বালকবালিকাকে অনাথ, পিতৃহীন করছে—তার পাষাণ হৃদয় একটুও টলছে না। সে যেন একটা উদ্ধা—খসে পড়বার আগে জলে উঠেছে ; একটা ধূমকেতু—চিরবিলীন হবার আগে পৃথিবী ধ্বংস করে যাচ্ছে। তবুও কি জানি কেন, সময় সময় অজ্ঞাতে তার নয়নকোণে অশ্রুসঞ্চার হয়—ম শিনের করুণ মুখখান চোখের সাম্নে ভেসে ওঠে। সমস্ত অন্তর তার বিদ্রোহী হয়— বিতৃষ্ণায় মন ভরে যায়, প্রাণের ভিতর থেকে কে বলে —“কি করচ, কি করচ, এ ভাল নয়, এ अछब्रि, এ অসঙ্গত " সারা চিত্ত বাধন ছিড়ে বেরিয়ে আসবার জন্তে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে । কিন্তু, না, এর উপায় নেই। এই তাকে করতে হবে, এই তার জীবন । এই তার জীবনের প্রায়শ্চিত্ত—প্রতিহিংসার পরিণতি—তার পরে, মরণ ! মরণ—মরণই কি ?—ই, তাই বটে ; সৰ্ব্বসন্তাপহরণ মরণ । কিন্তু মরবার আগে সে একবার বুড়ে বামনটাৰে