পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ । দেখে নেবে ।--ন, কাজ নেই, মা শিনের বাবা সে, তাকে ক্ষমা করছি। আর একবার দেখতে ইচ্ছা হয়—ম শিনের মুখখানি । সে কি এখনও তাকে মনে করে—তার জন্তে - ফোটা চোখের জল ফেলে ?—এখনও কি সে শোয়ে দাগোনের সেই চাতালটার উপরে বলে মং টিনের ছবি আঁকে-ইরাবতীর ধারে তার প্রিশ্ন জায়গাটিতে বসে প্রিয়তমের অপেক্ষা করে— মুখোমুখী হয়ে সন্ধ্যাকাশে তারা গুণবার প্রতীক্ষায় থাকে— কাজোন পূর্ণিমার রাতে ফুলঙালি বৰ্ত্তিকা নিয়ে মন্দিরবারে আমার জন্যে কি তেম্নি ভাবে চেয়ে রয় ? না, এ ভাব এখন বাতুলতা, আমি বিদ্রোহী ; তার কাছে, সারা জগতের কাছে, আমি ঘৃণিত, আমি মৃত । আমি নরঘাতী, আমি রাজদ্রোহী, দম্য, পিশাচ । তার পাপের কথা, অপরাধের , গুরুত্বের কথা স্মরণ করে সে শিউরে ওঠে । খানিক পরে আবার সে ভাবে—হয়ত তার বিয়ে হয়েচে, স্বামী নিয়ে স্বথে ঘর করচে ; তার কথা হয়ত ভুলেই গেছে—আহ, সে মুখে থাকুক, সে ভাল থাকুক, এই সে চায়। সে তার অদৃষ্টের কুগ্রহ, তার কাছ থেকে সরে যাবে। আহা, তার জন্তে কতই দুঃখ না সে পেয়েছে, কতই নির্ধাতন না সয়েছে ! এখন সে মুখী হোক। একটিবার মাত্র দূর থেকে তাকে দেখে সে চিরজন্মের মত বিদায় নেবে। দুই চোখ বেয়ে দু-ফোটা অশ্রজল ঝরে পড়ে। মং টিন ত্রস্ত হয়ে হাতের পাতা দিয়ে চোখ মুছে ফেলে ! বছর প্রায় ঘুরে এল। বা থ-এর সঙ্গে মা শিনের বিয়ের কথা পাকাপাকি হ’ল, দিনক্ষণও ঠিক হ’ল। মা শিন কিন্তু তেমনি পাষাণ প্রতিমার মত রইল—হাসে না, কাদে না, কোন ফুৰ্ত্তির নামগন্ধ তো নেই-ই, খেতে না বললে খায়ও না। মেয়ে দিন দিন শুকিয়ে কাঠ হতে লাগল। মা একদিন লক্ষ্য করে মহা ভাবনায় পড়লেন। আজ বাদে কাল মেয়ের বিমে—এখন গুকিয়ে শুকিয়ে শোলাকাঠ হচ্ছেন—এ কি মেয়ে, বাপু ? একদিন মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলেন,“একি কাও বল তো?” “কি, যা ?” “আজ বাদে কাল তোর বিয়ে, এখন এমন মন গুমরে চলছিল কেন ?” “কোথায়, কি দেখলে, মা ?” سير - ينه - - - 1 ३०७ “মুখে হাসি নেই, কথা নেই, দিনকে দিন বাতালের জাগে পড়ে—কোথায় বিয়ের কথায় ফুর্তি হবে ।” “কেন, আমি তো বেশ আছি, মা !” : - . “বেশ আছ ? তা আর আমি দেখতে পাচ্ছি না আমি কি চোখের মাথা খেয়েচি ? এখনও সেই ভবঘুরে ডাকাত ছোড়াটার জন্তে মন-মরা হয়ে বসে আছ ?” “কার কথা বলুচ, মা ?” ঝঙ্কার দিয়ে মা বললেন, “আঃ, নেকী যেন, কিছুই জাননা। মং টিন গো, তোমার মং টিনের কথা বলছি।” ধীরে মেয়ে উত্তর দিল, “ই, মা, সত্যি বলতে হলে তার কথা মনে পড়ে বইকি ?” সরোযে মা বললেন, “তার কথা তুলে যাও। এম সোনার চাদ ছেলের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে ; হাস, খেল, ফুৰি कुद्र !” মেয়ে নিরুত্তর } “কি, আমার কথা শুনতে পেলে না ?” মুখ তুলে মেয়ে বললে, “তুলে যাও বললেই তো ভোল যায় না, মা ?” “ভোলো, আর নাই ভোলো, তার সঙ্গে তোমা বিয়ে হতে পারে না ; তা তো তুমি জান ?” “তা জানি, ম৷ ” বলে এতদিন পরে আঞ্জ হঠাৎ মা শিন্‌ কেঁদে ফেলে ; বললে, “কেন বার বার সে কথা অামায় মনে করিয়ে দাও, মা —আমি কি তোমার পেটের মেয়ে নই—আমায় ব্যথা দিতে কি তোমার লাগে না ? আজ তোমরাই তাকে ঘরছাড় ভবঘুরে, ডাকাত করে তুলেছ।” দুই হাতে মুখ চেপে , শিন ফুপিয়ে কেঁদে উঠল—“কি সে তোমাদের করেছিল মা, যে তাকে সৰ্ব্বস্বত্যাগী করালে ; তার মাথা গুজবা ঠাইটুকু রাখলে না ? সে এখন ছন্নছাড়া, পথভ্রান্ত, তার মাথা উপর পুরস্কার দেওয়া হবে—সে এখন পালিয়ে পালিয়ে জঙ্গ:ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে ?” মা আর কথা বলতে পারলেন না; খানিক পরে যাবা উদ্যোগ করলেন ; মা শিন ততক্ষণে নিজেকে সংযত করে. স্বাভাবিক ধীরস্বরে বলল, “ভন্ন পেয়ে না, মা ; মেয়ের কৰ্ত্তব্য কাজ তুমি জামার কাছে পাবে।”