পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨-g . মশিন-এর বেনি বিয়ে সেদিন খবর এল, যে একাল किबोझै uले कि "निव मनाइ। नन श्वव शबिानक থেকে সশস্ত্র শাস্ত্রী পাহার, সিভিল ও মিলিটারী ফৌজ পদব্রজে, অশ্বারোহণে চারিদিকে ছুটল। —শহরকে কেন্দ্র করে শি-পনর ক্রোশ পরিধি বেষ্টিত স্থান তন্ন তন্ন করে খুজতে আরম্ভ করলে—বনবাদাড় সাফ করে ফেললে— অলিগলি ছুটোছুটি করতে লাগল সমস্ত শহর কঁাপিয়ে তুললে। সে কথা অনুভবহীন কলের পুতলী মা শিনের কানে পৌঁছল না। মা শিনের বাবার কিন্তু অমঙ্গল আশঙ্কায় বুক কাপতে লাগল ; কোন বিদ্রোহীর দল এদিকে এসেছে, মং টিন তার মধ্যে আছে কি-না, থাকলে কি হবে, এই সব ভেবে তিনি কেবল “ফায়া” “ফায়া” জপতে লাগলেন। বয় এসেছে, এইবারে বিয়ে। পুরাতন ব্রহ্মরাজপদ্ধতি অতুলারে ব্রাহ্মণ পুরোহিতের সমক্ষে কস্তাসম্প্রদান হবে। বাপ মেয়ে আনতে গিয়ে দেখলেন, মেয়ে ঘরে নেই। মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। চারিদিকে গোলমাল স্বরু হ’ল, সকলেই ঘরে ঢুকে এখার-ওপার, আতিপাতি খুজতে আরম্ভ করলেন। নীল রঙের চশমাপরা, দীর্ঘগুম্ফারী অপরিচিত-গোছের এক ভদ্রলোক অতি পরিচিতের মত ঘরের সর্বত্র সন্ধান করে একখানা চিঠি বের করলেন। চিঠি মা শিন-এর। পিতার উদ্দেশে লেখা। চিঠিতে লেখা ছিল— পরম ভক্তিভাজন পিতা, আবাল্য র্যাকে স্বামী বলে জানি, ধৰ্ম্মের কাছে তাকে ছাড়া আর কাউকে স্বামী বলে বরণ করতে পারলাম না ; তাই চললাম। আমায় খুজবেন না; কারণ, জীবিতাবস্থায় আর আমার সন্ধান পাবেন না। আমার বাগদত্ত পতি— ধাকে এ জীবনে বিয়ে করব না বলে আপনাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি—তিনি আজ জীবন্মত। আজই হোক, কালই হোক, ভগবানের ন্যায়ের দও তার মাথায় পড়বেই। তাই জাগে থেকেই মরণের পরে তার প্রতীক্ষায় চললাম। সকলে জামায় ক্ষমা করবেন – অভাগিনী মা শিন । অপরিচিত পুরুষ পত্র পাঠ ক’রে মা শিল্‌-এর বাবার হাতে

भाषाr*ब्र वैष छांख्न-भिङ क्छब्र त्रिी शरफ क'tब्र

মাখ কুটুতে লাগলেন—“ফিরে আম, দ্বিরে জা, মার্শিন, জারিণী মেয়ে আমার, বড় অভিমানে চলে গেলি, মা ! নিৰ্ব্বো, অজ্ঞান বাপের চোখ তৰু লৈ না –ওরে আমার জাধার ঘরের মাণিক, আমার চোখের মণি, ম আমার, ফিরে আয় ফিরে আয় ”— • y - উন্মত্তপ্রায় বৃদ্ধ ছুটে বেঙ্গলেন। । সঙ্গে সঙ্গে চারিদিক থেকে গণ্ডগোল উঠল —ম টিন, মং টিন ফিরেচে। নদীর ধারের রাস্তা বেয়ে তাকে ছুটে যেতে দেখা গেছে—সশস্ত্র পুলিস তার পিছনে তাড়া করেছে । " মুহূর্তে বা খ উদ্যত হয়ে দাড়াল—এই তার স্থযোগ এসেছে, এই তার উপযুক্ত সময়—এরই জন্তে সে এতদিন প্রতীক্ষা করছিল –আজ সে নরঘাতক রাজদ্রোহীকে শান্তি দেবে। আজ তার ব্যর্থ প্রেমের প্রতিহিংসা ! উত্তেজনায় তার কপালের শিরাগুলো ফুলে উঠল—চোখ-মুখ লাল হয়ে গেল—প্রতিহিংসায় তার মাথার রক্ত গরম ट्रघ्न ॐल । এঞ্জির পকেট থেকে ক্ষুদ্র একটি পিস্তল বার করে সে ঝড়ের বেগে বেরিয়ে গেল । বর্ষারম্ভে ইরাবতী স্ফীত হয়ে উঠেছে। মং টনের প্রিয় জায়গাটিতে নদীর বাকের কাছে জলস্রোতের প্রাপ্ত সীমার এসে মা শিন বসে আছে। পরণে তার বিবাহের বেশ– মাথায় মল্লিফুলের মালা-ইরাবতীর কালো জলের দিকে সে নির্নিমেষ নয়নে চেয়ে আছে ! এক-একদিন এমনি সন্ধ্যায় তার দু-জনে ইরাবতীর তীরে হেসে হেসে বেড়াত—বকুল ফুল নিয়ে মালা গাঁথতো, মং টিন তার জন্তে কাগজের নৌকা ক’রে জলে ভাসাত। আর আজ, আজ সে কোথায় ? - মৃত্যুর এপারে কি একবার এসে দেখা দেবে না? এঞ্জি থেকে তার বড় আদরের ম টিনের সেই ছবি বার করে বললে—“প্রাণাধিক, এই মূৰ্ত্ত তোমার, এই তোমার প্রকৃত মূৰ্ত্তি বলেছিলে । আজ স্বৰ্য্য অস্ত গেছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে তুমিও কি অস্ত গেছ, প্রিয়তম? একটি বার এসে তোমার মা শিনকে দেখা দেবে না ? জীবনের এই সন্ধ্যায় মৃত্যুর কুয়ার্সার পারে—তোমার ললাটের শেষ স্থৰ্যালোক কি আর একটি বারের জন্য দেখব না ? হায় পথভ্রান্ত, মৃত্যুপথযাত্রী, ক্লাস্ত, আশ্রয়হীন, একবার তোমার প্রিয়ার জাহানে তার চিরশীতল বুকে এল ? সময় ষে যায় ": ' '