পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** —T- - r স্বল-জ্ঞাতি ভাবকে স্থা গজ রেজা বায় না, কিন্তু প্রকাশ আরম্ভ হয় জানলম্বিতের অবস্থায় (conscious) এবং কৰি স্থতি থেকে উদ্ধার করে সেই আবেগময় সাঙ্গ মুহূর্তের অপরূপ আলেখ্যখানি আমাদের মনের সামনে , ধরে দেন। এই যে শক্তি যার বলে কবি অন্ত:প্রেরণা দ্বার উপলব্ধ যে সত্য তাকে সমান্তরে স্বতি থেকে উদ্ধার করেন, তারই নাম দিয়েছেন কোলরিজ গৌণ কল্পনা’। । Aesthetic experience, wrotfross to on ‘ভাব, যদি হয় শিল্পের প্রধান উপাদান তবে সেই ভাবের “সাধারণীকরণ” হ’ল তার প্রাণ –‘ব্যাপারোহস্তি বিভাদের্ণামা সাধারণীকৃতি:—অর্থাৎ এককথায় ঘে-পর্য্যস্ত ভাব রসে রূপায়িত বা প্রপানক অবস্থায় উপনীত না হচ্ছে সে-পর্যন্ত তাকে শিল্পকাব্য বলা চলে না । কারণ ভাবের উন্মেষের পূৰ্ব্বে যে অস্থপ্রেরণা সেটা হ’ল কবি বা শিল্পীর একান্ত নিজস্ব—তার সঙ্গে সহৃদয় জনের সংবেদনা বিন্দুমাত্র নেই। কিন্তু কেবল কবিমনের ভাব-কল্পনায় তো কাব্যের স্বষ্টি হয় না-হয় সেই কল্পনাকে আস্বাদ্যমান রূপ দেওয়াতে । অঙ্গ কথায় রসামুষিক্ত না হ’লে কোন বাক্যই কাব্য হয় না, শব্দ রমণীয়ার্থ প্রতিপাদক না হ’লে কাব্যহিসাবে গণ্য নয়। এই ষে বহিঃপ্রকাশ এর পূৰ্ব্বে আত্মপ্রকাশ { আকুভাব ) বলেও একটা বস্তু আছে । আবেগতরঙ্গের গভীর আঘাত যখন হৃদয়-উপকূলে প্রথম এসে লাগে তখন সেই, জালোড়নের ( overflow ) মধ্যে অক্ষুটতার আভাস আছে। উপলব্ধির ব্যাকুলতা আছে, কিন্তু সম্পূর্ণতার আনন্দ নেই। জামাদের মনেও কোন ভাব ঠিকমত অনুভূত হয় না যতক্ষণ না সেই ভাবের পূর্ণমূৰ্ত্তিখানি আমাদের মনের পটে আঁকা হয়ে যায়-মানসপটের এই চিত্র অশরীরী—এই মূৰ্ত্তি—ভাবমূৰ্ত্তি – “ন ভাবহীমোহস্তি রসো ন ভাবে সবর্জিতঃ”—নাট্যশাস্ত্র বাস্তবিক ভাববর্জিত রস অথবা রসবর্জিত ভাবের কল্পনা জগতৰ। অস্ফুট আবেগের চিন্ময় প্রকাশই তো ভাব। চিন্ময় ভাবকে বান্ময় রসে অভিব্যক্ত করলে হয় কাব্য। কিন্তু আলোর আগে হতে আছে যে জিনিষ তারই প্রকাশ সম্ভব ফুলও পূর্বসিদ্ধ। ভাব ষে কৰিমনে অলৌকিকরুপে আৰাতি করে । ছদ্মন্ত-শকুন্তলার প্রেম, ক্ষের বিরহ নিখিলমানবের চিত্তে স্পন্ন জানে কেন ? স্থায়ী ভাব বেখানে জাছে সেখানেই বীজাণুর স্তায়ে রসের সম্ভাবনা ধরে নিতে হবে। স্বায়ী অর্থাৎ মূল ভাবগুলি বা তার কোন কোনটি বাসনা বা সংস্কাররূপে প্রত্যেক মানুষের মনে বিরাজ করে। সেই মগ্ন চৈতন্তের অবস্থাকে ধ্বনি, স্বর বা রঙের আঘাত দিয়ে জাগিয়ে তোলাই শিল্পের কাজ ( প্রকাশ ) । সেইজন্ত সহৃদয় জন ভিন্ন অন্ত কেউ রসের আস্বাদনে সমর্থ নয় । রবীন্দ্রনাথের নানা বয়সের নানা ভাবের রচনা ভিন্ন ভিন্ন লোককে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে আঘাত করে ; রতি পৰ্য্যস্ত যার দৌড় সে শৃঙ্গার-রসাত্মক কাব্যগুলি পড়ে আনন্দ পায়, অধ্যাত্ম অনুভূতির দ্যোতক গীতাঞ্জলির কবিতাগুলি তার অস্তরকে স্পর্শ করে না। অনেকে এমন কথাও বলে থাকেন, রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার যে-বিকাশ তার যৌবনের লেখা কাব্যগুলিতে দেখা গিয়েছে-গীতাঞ্জলি ও তৎপরবত্তী কোন কাব্যের ভিতরই তা আর ফিরে পাওয়া গেল না ; অথচ রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এবং শাস্তরস-পিপাস্ক পাঠকমাত্রেই ঐগুলিকেই তার কাব্যগগনের উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক বলে মনে করেন। তবেই দেখা যায়, সহৃদয় হ’লে বণললাপরায়ণ হওয়া চাই । আইনস্টাইনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কথোপকথনে এক জায়গায় জাৰ্ম্মান মনীষী বলছেন—“ভাবের বস্তুকে ঠিক বিশ্লেষণ করে বোঝান কঠিন । ঐ যে লালফুলটি আপনার টেবিলের ওপর দেখচি ওটা হয়ত আমার এবং আপনার কাছে এক বৰ নয়।” কবি উত্তর করলেন—“ই, কিন্তু তবুও আশ্চৰ্য্য এই যে ব্যক্তিগত রুচি বিশ্বজনীন রুচির মধ্যে অহরহ লীন হয়ে যাচ্ছে ।” কথাটা দাড়াল এই রকম --লালফুলটি আমি দেখলাম সম্পূর্ণ আমার দৃষ্টি দিয়ে, অর্থাৎ ফুলটি আমার মনে ব্যঞ্জনার স্বারা যে ভাবটি জাগিয়ে তুলল অপরের মনে হয়ত ঠিক সেই ভাবটি জাগাতে পারেনি। স্কুলের সংস্পর্শে এসে আমার কল্পকাননে ষে ভাবকুহুম ফুটে উঠল তারই অতীন্ত্রির স্বযমাটুকু রসঙ্গের সামনে মনোজস্কপে ধরে দেওয়াই তো কাব্য। কিন্তু ষ্ট্রেভাব আমার সম্পূর্ণ নিজৰ আবেগের পরিণতি তা সম্বর মায়েরই