পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপভোগ্য হয় কি কারণে? বা একান্ত ব্যক্তিগত (personal) তা-ই সর্বসম্মত হয় কোন মায়ায় ? এর উত্তরে আলঙ্কারিকেরা বলেন, “বাসন" (দর ) বাদের আছে, ব্যঞ্জনার খারা অনুভবের শক্তিও আছে তাদের, রূপদক্ষের আলেখ্যে এই ব্যঞ্জনা থাকে প্রচুর । ছুষ্যস্ত শকুন্তলার যে প্রেম, ব্যঞ্জনার স্বারা তা আমার নিজস্ব হয়ে যায়--বিশেষ বিভাব সামান্ত বিভাবে পরিণত হয়। যখন নাট্যালয়ে শকুন্তলার অভিনয় দেখি তখন আমার যদি এই বোধ থাকে যে, আমি অন্যের প্রণয়ের চিত্র দেখচি তাহলে তা থেকে আনন্দের চেয়ে লজ্জা পাওয়ার কথাই বেশী। তাহ’লে বাঞ্চনা হ’ল চারুশিল্পের সেই অবাচ্য শক্তি যা ব্যক্তিগত শ্বানন্দ বেদনাকে বিশ্বের সকাশে অনায়াসে প্রকাশ করতে পারে । যা পাঠকের মনে এই ভাব জাগাতে পারে— পরস্ত ন পরস্যেতি মৰ্মেতি ন মমেতি চ’—পরের অথচ ঠিক পরের নম্ন আমার অথচ ঠিক আমার নয়। কোলরিজ q+ x*(ER “willing suspension of unbelief,” foss কোন কিছুকে পরিহার করা যায় যদি সেটা পূৰ্ব্ব থেকেই বৰ্ত্তমান থাকে । আসলে অভিনয় জিনিষটাকে আমরা বিশ্বাসও করি না, অবিশ্বাসও করি না । শিল্পের ক্ষেত্রে বাস্তব অবাস্তবের প্রশ্নই অবাস্তর। এই ব্যঞ্জনকেই কেউ বলেছেন, “communication” çeŪ-JI শকুন্তলার দর্শনে দুস্তস্তের অঙ্গুরাগ পরিমিত হওয়াই সম্ভব, কিন্তু কাব্য-নাটকে আরোপিত সেই ভাব জনে জনে সঞ্চারিত হয়ে সীমাহীন অপরূপতা লাভ করে। এই কারণেই রসকে বলা হয় অলৌকিক । প্রথম উদ্দীপনার সময়ে যা থাকে একান্ত ব্যক্তিগত, ভাবপরিণতির কালে তাই হয় সম্বন্ধবিরহিত, শাশ্বত ও আমেয় । ইউরোপীয় মনীষীরা বলেন আবেগকে সম্বন্ধবিচ্ছিন্ন, কামনাশূন্তরূপে কল্পনা কবুলে হয় ভাবের উৎপত্তি, তারই অপর নাম সৌন্দৰ্য্য --নিঃস্বাৰ্থ বা নৈর্ব্যক্তিক আনন্দ। যে জিনিষ কামগন্ধশূন্ত (disinterested ) ত সহজেই সকলের গ্রহণীয় হয়। কারও মত, কস্ত, বধূ নয় বলেই উৰ্ব্বণী বিশ্বের প্রেম্বসী। সাহিত্য-দৰ্পণকার, বলেছেন-রস্তমানতামাত্রসারত্বাং यकां* *ङ्गैौब्रा९ श्रनछ ७व श् िब्रग:' अर्थी७ जांचान अथवा গুণাই সার ; অথবা সামাজিকজনের উপদেয়তার কারণ 을 - “contagion.”

  • ংe৯

• झeब्राण्ड नबिश्चक्रन cषक लगनब्रशङ ●थाश cष ब्रफझांख्यि তাই হ’ল স্কুল। আনন্দচমৎকার সম্বলিত ভাৰ সামাজিকজনের উপাদেয় হয় বলেই তাকে বলা হয় রস। এখানে প্রকাশ শরীরের অর্থ করা হয়েছে সংবিৎ স্বরূপ থেকে জ্ঞানরূপ লাভ করেছে যে রতি প্রভৃতি ভাব ; তা হলে বিশ্বনাথের মতে কাব্যের প্রকাশ একটা conscious activity. যে-বিভাবাদি কারণের কার্য হ’ল ভাব সেইগুলি অবচেতন মনের স্বতঃপ্রবৃষ্ঠিত ক্রিয় হলেও প্রকাশের পূৰ্ব্বে ভাবের অবস্থায় তারা সংবিৎ অথবা চেতনার স্তরে এসে দাড়ায় । এই চেতনার অভাবে ভাব কিছুতেই রসামান অবস্থায় পৌছতে পারে না । ভাবটিকে কোন রূপ-মায় দিয়ে প্রকাশ করলে, ধ্বনিতরঙ্গের কোন আঘাত দিলে দরদীজনের মনের তারে সহজেই তা’র ঝঙ্কার উঠবে ঐন্দ্রজালিক কবি সে রহস্ত ভাল করেই জানেন। সতাই “মূল্যহীনেরে সোণা করিবার পরশপাথর হাতে আছে" একমাত্র কবির। - কাব্যের কতটুকু ভাব ( emotion ) আর কতটুকুই বা তা’র প্রকাশ এর আলোচনা করতে গিয়ে আমরা দেখি এর মধ্যে প্রকাশের অংশই বেশী । কেবল প্রথম উদ্দীপনার আবেগ ছাড়া এর সবটাই প্রকাশ। রস যদি কাব্যের প্রাণ হয় তাহলে বলতে হয় শিল্প প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। বাস্তবিক বাসনারূপে ভাব তো সকলের মনেই বিরাজিত, তাকে বাস্তবতার উদ্ধে অলৌকিকের রাজ্যেও নিয়ে যান হয়ত অনেকে, কিন্তু তাদের ত আমরা কবি বা শিল্পী বলি না। কবি feta šta šastoji starsfers (intuitively realized) ভাব কথাশরীর নিম্নে রসের উদ্বোধন করে । যিনি লৌকিক মূৰ্ত্তির ( image ) সাহায্যে অলৌকিকের ব্যঞ্জন করেন— যিনি পার্থিব বস্তুর উপর সেই অপার্থিব আলোকপাত করেন যা আকাশে-বাতাসে কোথাও নাই- অাছে কেবল ধ্যানের গহনতায় তিনিই কবি-রূপের রাজ্যে অরূপের পূজারী তিনি। প্যারসের মৰ্ম্মরস্তপে যখন ফিডিয়সের মাম্বাদণ্ডের স্পর্শে সঞ্জীবিত ও রূপাম্বিত হয়ে ওঠে তখনই জন্ম হয় কাব্যের। মূক প্রকৃতির অন্ধ অনুকরণ কখনই কাব্য হতে পারে না । এরিস্টটল-এর 'imitation’ আসলে অনুকরণ নয়-অমুকীৰ্ত্তন বা সঞ্জীবন (expression ) । লৌকিককে আদর্শ সম্ভাবনার রাজ্যে নিয়ে গিয়ে শাচিত্র