Roi—atom, spectrum, alcohol, ferrous, ventobrate d. কৃত্রিম পদ্ধতিতে রূপান্তরিত গ্ৰীক লাটিন বা অন্য “so I ot-glycerine, methanol, aniline, farad ï ইংরেজী বৈজ্ঞানিক গ্রন্থাদিতে দেখা যায়—যেখানে ভুল বোঝবার সম্ভাবনা নেই সেখানে c d র সঙ্গে সঙ্গে a b অবাধে চলে। কিন্তু যেখানে স্পষ্টতর নির্দেশ বা সংক্ষেপ আবগুক, সেখানে a শব্দ প্রায় চলে না, তৎস্থানে c d প্রযুক্ত হয় এবং b frÉ fisk 5: 1 q*-iron implements, iron salts, spirit of wine, knee-cap, shedding of leaves; w85 ferrous (wl ferric) sulphate, alcohol metabolism, patellar fracture, deciduous leaves | - বাংলা ভাষার জন্ত পরিভাষা সঙ্কলনকালে নিম্নলিখিত উপাদানের যোগ্যতা বিচার করা যেতে পারে— · ক । সাধারণ বাংল| শঙ্কা । খ। হিন্দী উদ্বু ফাসী আবী শব্দ । গ। ইংরেজী পারিভাষিক শব্দ (পূৰ্ব্ববর্ণিত a b cd )। ঘ। প্রাচীন বা নবরচিত সংস্কৃত শব্দ । ঙ । মিশ্র শব্দ, অর্থাৎ কৃত্রিম পদ্ধতিতে রূপান্তরিত ব। যোজিত বিভিন্ন-জাতীয় শব্দ । পরিভাষা যদিও মূখ্যতঃ বাঙালীর জন্য সঙ্কলিত হবে, তথাপি অধিকাংশ শব্দ যাতে ভারতের অন্য প্রদেশবাসীর ( বিশেষতঃ হিন্দী উড়িয়া মরাঠা গুজরাট প্রভৃতি ভাষীর ) .গ্রহণযোগ্য বা সহজবোধ্য হয় সে চেষ্টা করা উচিত। তাতে বিভিন্ন প্রদেশের ভাববিনিময়ের স্ববিধা হবে। পূৰ্ব্বোক্ত c dশাবলী সকল ইউরোপীয় ভাষায় চলে। ভারতের পক্ষে গ ঘ এর সেক্টরূপ উপযোগিতা আছে । আধুনিক ইউরোপীয় ভাষাসমূহের সঙ্গে গ্রীক লাটিনের যে সম্বন্ধ, তার চেয়ে বাংলা হিন্দী প্রভৃতির সঙ্গে সংস্কৃতের সম্বন্ধ অনেক বেশী। সেজন্য এদেশে সংস্কৃত পরিভাষা ( ঘ ) সহজেই মধ্যাদা পাবে। ইংরেজী পরিভাষার (গ) উপযোগিতাও কম নয়, তার কারণ পরে বলছি। এই দুই জাতীয় পরিভাষার পরেই সাধারণ বাংলা শব্দের (ক) S38@ স্থান। এরকম শব সাধারণ বিবৃতিতে অবাধে চলবে, যেমন ইংরেজীতে ৪ চলে। তার পরে খ এর, বিশেষতঃ হিন্দী-উর্দু" শব্দের স্থান ; কারণ, হিন্দী-উছু সুসমৃদ্ধ ভাষ, বাংলার প্রতিবেশী, এবং ভারতের বহু অঞ্চলে বোধ্য। বাংলায় ফার্স আব শব্দ অনেক আছে। যদি উপযুক্ত শব্দ পাওয়া যায় তবে আরও কিছু ফাসী আবী আত্মসাৎ করলে হানি নেই। পরিশেষে মিশ্র শব্দের (ঙ) স্থান। এরূপ শব কিছু কিছু দরকার হবে। যদি 'focus' বাংলায় নেওয়া হয়, won focussed = goffre, long-focus-ào-Goto বাংলা পরিভাষা সঙ্কলনের সময় ইংরেজী শব্দের প্রতিযোগিতা মনে রাখতে হবে। বিদ্যালয়ের ছাত্র বাধা হয়ে বাংলা পাঠ্যপুস্তক থেকে দেশী পরিভাষা শিখবে । যিনি বিদ্যালয়ের শাসনে নেই অথচ বিদ্যাচর্চা করতে চান, তার যদি মাতৃভাষায় অনুরাগ থাকে তবে তিনি কিছু কষ্ট স্বীকার করেও দেশী পরিভাষা আয়ত্ত করবেন । কিন্তু জনসাধারণকে বশে আন সহজ নয়। বিদ্যা মাত্রের যে অঙ্গ তাত্ত্বিক (theoretical ), তার সঙ্গে সাধারণের বিশেষ যোগ নেই। বিদ্যার যে অঙ্গ ব্যবহারিক ( applied ), সাধারণে তার অল্লাধিক খবর রাগে । তাত্ত্বিক অঙ্গে দেশী পরিভাষার প্রচলন অপেক্ষাকৃত সহজ, কারণ জনসাধারণের রুচির বশে চলতে হয় না। কিন্তু ব্যবহারিক অঙ্গের সহিত বিদেশী দ্রব্য ও বিদেশী শব্দের ঘনিষ্ঠ সঙ্গন্ধ। সাধারণ লোকে পথে হাটে বাজারে কৰ্ম্মস্থানে যে বিদেশী শব্দ শিখবে তাই চালাবে, এর উদাহরণ পূৰ্ব্বে দিয়েছি। এই বাধা লঙ্ঘন করা চলবে না, ব্যবহারিক অঙ্গে বহু পরিমাণে বিদেশী শব্দ মেনে নিতে হবে । মাতৃভাষার বিশুদ্ধিরক্ষাই যদি প্রধান লক্ষ্য হয় তবে পরিভাষা-সঙ্কলন পগু হবে । পরিভাষার একমাত্র উদেশ্ব-- বিভিন্ন বিদ্যার চর্চা এবং শিক্ষার বিস্তারের জন্ত ভাষার প্রকাশশক্তি বৰ্দ্ধন । পরিভাষা যাতে অল্পায়ালে অধিগম্য হয় তাও দেখতে হবে । এ নিমিত্ত রাশি রাশি বৈদেশিক শব্দ আত্মসাৎ করলেও মাতৃভাষার গৌরবস্থানি হবে না। বহু বৎসর পূর্বে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী মহাশয় লিখেছেন--- ‘মহৈশ্বৰ্য্যশালিনী আধ্যা সংস্কৃত ভাষাও যে অনাৰ্য্যদেশজ শব্দ অঙ্গপ্রভাবে গ্রহণ করিয়া আত্মপুষ্ট সাধনে পরায়ুখ হন নাই, তাছা সঞ্চত ভাষার
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।