পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Se - দিয়ে তার ব্যঞ্জনামূলক অভিব্যক্তি। শিল্পে বাস্তবতা অথবা অকুকুতির স্থান নেই। কাব্যে সঙ্গীতে শিল্পে পরিচিতের প্রত্যাশা কেউ করেন । “What we are”-এর প্রবেশ নিযেধ সেখানে—কবির কল্পরথ ছাড়া সেই অপরূপের রাজ্যে আর কে নিয়ে যেতে পারে ? এখন বিচাৰ্য্য হচ্ছে—যা একান্ত মনের জিনিষ, যা অলৌকিক, তা লৌকিক রূপ দিয়ে বাঞ্জিত হয় কেমন করে । কবি বা শিল্পী উপলব্ধ ভাবের দোতক এমন একটি প্রতীক স্বষ্টি করেন, শব্দে স্বরে, রঙে-রেখায় যেটা তার প্রতীয়মান যে অর্থ তাকে অতিক্রম করে নিগুঢ় ব্যঙ্গার্থের ইঙ্গিত করে অর্থাৎ কবি প্রতীকের সাহায্যে এমন একটা ঘটনা ( occasion.) স্বষ্টি করেন যা পাঠক বা দর্শকের চিত্তে আঘাত ক’রে কবিচিত্তের অনুরূপ ভাবের উজবোধ করতে পারে। এই প্রতীককে ধারণ করে আছে আবার ভাষা,–ছন্দোময় ধ্বনিময় অপার্থিব স্বর। কবি প্রাতে উঠে দেখলেন আকাশ-বাতাস কেমন যেন উদাস, কেমন অশ্রুভারাতুর—র্তার মনে হ’ল পার্থীদের কলগানে যেন অশ্রীবাম্পের রেশ রয়েছে—বিশ্বসঙ্গীতের সঙ্গোপনে কোথায় যেন অনন্ত বিরহের ইঙ্গিত। বহির্বিশ্ব থেকে উদ্দীপিত হয়ে কবি চলে গেলেন কল্পনার রাজ্যে যেখানে তার বিরহ নিখিল-বিরহের সঙ্গে ওতপ্রোত হয়ে গেল—সমস্ত আবেগ শাস্ত হয়ে গেল। তখন তার চেষ্টা হ’ল এই বিশ্ব-বিরহের ভাবটিকে ভাষারূপ দিয়ে ভক্তের হৃদয়ে জাগিয়ে তুলতে। যে পরিমাণে যে-রচনা ব্যঞ্জনাস্বারা অতীন্দ্রিমের ইঙ্গিত আনতে পারে—ভাষার পথে ভাষাতীতের আভাষ দিতে পারে সেই পরিমাণে তা সার্থক, স্বন্দর ও দরদীজনের হৃদয় সংবাদী হয়। রবীন্দ্রনাথ তার বিরহের আর্টি এইভাবে প্রকাশ করলেন— “কোন গুণী জাজ উদাসপ্রাতে নীড় দিয়েছে কোন বীণাতে গো, ঘরে যে আর রইতে পারিনে।” ( image ) পাথরখণ্ডয়ায় কি স্বর বাজে, ৰাজে জামার বুকের মাকে, বাজে বেদনায়—আমার ঘরে থাকাই বা ” "রে মে আর বইতে পারিন, “আমারদের থাকাই চিত্র s ’’ (OLAL -- * . -ιώ-ν. দায়”—এই কথাগুলি দিয়ে কবি আমলের মনোলৈাকের রুদ্ধ দ্বয়ার খুলে দিয়েছেন, এবর ৰে বাসার্থ তাকে বহুগুণ অতিক্রম করে একটু অন্তগূঢ় বেনর ব্যঞ্জনা করেছেন। বিরহব্যাকুলতা— ঘরে যে আর রহঁতে পারিনে" এই চিত্রটির (image ) মধ্যে মূৰ্ত্ত হয়ে ফুটে উঠেছে। প্রকাশের অর্থ কবিমনের সমগ্ৰ ভাটির প্রতিলিপি দেওয়া নয় সম্বলম্বজনের রুদ্ধ বাসনাকে বি:শন এক ট প্র চাক নিয়ে শাখাত ক’রে জাগিয়ে ভোল। । ‘প্রকাশ’ মানেই হ’ল "প্রগর’। শিল্পহষ্টির মধো কবি দেন এখন কিছু যা আমরা কেবল অনুভব করতে পারি, সম্পূর্ণ অন্তভূক্তিটিকেট প্রকাশ করা কখনই সম্ভব নয়। কবি নিজে কোন একটি অঙ্গুরোধের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হন সভ্য, কিন্তু এটিকে যথাযথভাবে রূপায়িত করা অসম্ভব। সেই জন্য শিল্পীকে ভাবপ্রকাশের জন্য প্রতীকের ( medium ) xit*TI fÃ&& && I এই প্রতীকের মধ্যবৰ্ত্তিতায় লেখক ও পাঠকের মনে অনিৰ্ব্বচনীয়ের বাণীবিনিময় হয়ে যায়। কাব্যের ঈথরপথে ভাবের তড়িত্তরঙ্গ রসজ্ঞের চিত্ততটে আহত হয়ে রসের শ্রোতে উথলে ওঠে। কবি যে চারুচিত্র পাঠকের সামনে ধরেন সেটা পূৰ্ব্বাপর অনুভূতির রশ্মিপাতে সমুজ্জল—আবেগের অশ্রজলে ব্যাকুল। প্রথমটা মনে হতে পারে ভাব ও চিত্র এরা দুটো স্বতন্ত্র বস্তু, কিন্তু আসলে তা নয়। প্রকাশের পূৰ্ব্বে এই অশরীরী অনুভূতিই কবির মনের পটে রূপের রেখায় আঁকা হয়ে যায়— ভাবময় রূপ, রসময় অপরূপতায় মিলিয়ে যায়। কাব্য কেবল রূপ অথবা কেবল সংবেদনা, অথবা ঐ দুয়ের সমষ্টি নয়--- শান্ত ও সমাহিত মনে ভাব বা আবেগের অম্বুধ্যান । fresa esco Goro (exciting cause ) l of স্বন্দর স্বকুমার গোলাপফুল দেখলাম, তার স্বযম ও সৌরভ ইন্দ্রিম্নপথে প্রবেশ করে আমার সমস্ত অন্তরিক্রিয়কে বিবশ ক’রে দিল। এই রকম করে রূপরসশব্দস্পর্শগন্ধ আমাদের ইন্দ্রিয়পথে প্রবেশ করে আমাদের মনের পটে রং ফিরিয়ে দেয়। তখন আমরা চোখে দেখি না, কানে শুনি না, মন দিয়ে সব দেখি শুনি । বহির্বিশ্ব থেকে যে-সব ইঞ্জিয়াকুভূতি আমরা পাই মনের মধ্য দিয়েই তা আমাদের প্রাণকে স্পর্শ করে। কবির একটিমাত্র ইঞ্জি আছে, সেটি হ’ল র্তার মন । তাই তিনি সময়-সময় চোখ দিয়ে শোনেন এবং