পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান দিয়েও দেখেন । তাষ্ট. তিনি আকাশকে দেখেন বীণার মত, আর বৃবিরশ্মিগুলি তার কাছে সেই বীণার তন্ত্রী। জাঘাত যখন লাগল, মনে যপন জাগল, বাধন ভাঙার গান উঠল বেঞ্জে ; তখন পাগল ঝোরার সেই উপচেপড়া দিশাহারা ধারার মধ্যে আছে কেবল আবেগ-আছে উন্মাদন, আছে নটরাজের নৃতাবিক্ষোভ ; সেক্ট বিক্ষোভে হয় কায়িক ও মার্মিকের বিনাশ, প্রলয়ের পরে জাগে সৃষ্টি, বিরূপকে পাই আমরা অপরূপ রপে। ছড়িয়ে পড়া আবেগগুলি যখন সমাহিত হয়ে আসে তখনষ্ট জন্ম হয় ভাবের ( emotions) এই ভাবের সঙ্গে with wift' offs zoo (significant expression), আলঙ্কারিকের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘অষ্ট্রভাব’। কবির মানস-স্বরে বিভাবাদির বিচিত্রদলে ফুটে উঠে এই ভাবের পদ্ম । কবি যখন বলেন আমার প্রেম একটি রক্তবর্ণ গোলাপের মম-বীণার তারে ঝঙ্কত একটি রাগিণীর মত, তখন এটাকে কবির পেয়াল বা পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দেবার কিছুই নেই । আগেই বলেছি কবি দেখেন মন দিয়ে ; বর্ণগন্ধ তার মনোলোকে—কেবল বর্ণগন্ধমাত্রই নয় তারা এক একটি বিশেষ ভাবের প্রতীক। প্রতীক মনে হলেই ভাবের কথ মনে আসে, ভাব জাগলে প্রতীকও দূরে থাকে না ; তাই কবির হৃদয়ে ভাবে ও অন্তভাবে এমন মাখামাখি স্বর্গ ও মৰ্ত্তোর এমন অপূৰ্ব্ব সঙ্গম । আর্ট আমাদের সমগ্র অহুভূতির চিত্র এবং সেই অনুভূতি কতকগুলি বস্তুগত ও ভাবগত উপাদানের সমষ্টি। মনে করুন, একটি লাল ফুল দেখা গেল, সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে একটা ইন্দ্রিয়ানুভূতি জাগল। অবগু এই ইন্দ্রিয়ানুভূতি ও (sensation ) অন্যনিরপেক্ষ নয় ; লাল বলতেই মনে হয় এটা শাদা হলদে সবুজ বা অন্য কোনও রং নয়, লালই। এই রং সম্বন্ধে আমাদের যে ইন্দ্রিয়ানুভূতি প্রতীক হিসাবে তার নাম দেওয়া গেল লাল। কিন্তু লাল সম্বন্ধে ইপ্রিয়গোচরতা এবং সংবেদনা ত এক জিনিষ নয়, প্রথমটি দ্বিতীয়টির সামান্ত অংশ মাত্র। স্বতরাং লাল’ এই সংবেদনা বা অনুভূতির প্রতীক হিসাবে কেবলমাত্র লাল শৱটি অসম্পূর্ণ। সমগ্র অনুভূতির সংক্রমণের জন্যও এই প্রতীকেরই সাহায্য নিতে হবে, তাছাড়া উপায় নেই ; কিন্তু কেবল శిష్క్రి. কথাত সে কাজের যোগ্য নয়। অনুভূতি যাতীত কোন প্রতীকেই তার অথও রূপটি পাওয়া যায়-না-লে কারণ তার যতটুকু সঞ্চারযোগ্য নয় ততটুকু সঙ্কেত করা চলে মাত্র এবং সেই জন্য কথা ছাড়াও ছন্দ এবং স্বরের, রেখা ও রঙের আশ্রয় নিতে হয়। কারণ দেখা গিয়েছে মানুষের মনের উপর এদের একটা অতীন্দ্রিয় প্রভাব আছে। কাব্যের মধ্যে যে-সকল ছন্দ নিরূপিত হয়েছে তার কোনটি গম্ভীর, কোনটি বা টুল স্বরের দ্যোতক। সেই জন্যই আমরা মনে করি নির্বাসিত যক্ষের রসঘন বিরহের ভাবটি মন্দাক্রাস্তার মধ্যে যেমন স্বন্দর অভিব্যক্ত হয়েছে অন্ত কোনও ছন্দেই তেমন হতে পারে না । মানুষের মনোভাবের কোনটাই বেশ সরল বা অমিশ্র নয়, এবং সেই জন্তই সহজে সঞ্চারযোগ্যও নয়, তাকে ব্যঞ্জনার দ্বারা ইঙ্গিত করতে হয়। শিল্পীর রসরচনায় আমরা ষে ব্যঞ্জনা পাই, তা আমাদের মনের তারে অপরূপ রসমূছন জাগিয়ে —আমাদের আত্মাকে সীমাহীনের ব্যাকুলতায় উৎকষ্ঠিত করে তোলে। ষা পেয়েছি তাকে ঠিকমত পাওয়া হয়নি—যা দেখেছি তাকে ঠিকমত দেখা হয়নি—এট আমাদের স্বতঃই মনে হয়। তাই চারুচিত্রের মধ্যে আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখি তাকে যা আমাদের মনকে আড়াল করে চোখের দেখা দিয়েই এতকাল ভুলিয়ে রেখেছিল। অপ্রত্যাশিতের সাথে এই সাক্ষাৎ—মনের নেপথ্যে অভাবিতের সাথে এই ষে রহস্যময় পরম পরিচয় এই তো সৌন্দৰ্ঘ্য ; এর মধ্যে 'কেন', কিন্তু, নেই,–এ মুক বিস্ময়ের আত্মবিশ্বত আনন্দ। শিল্প-শৈলী দূতী নয়, পরিচিতের কাছে পরিচিতের সংবাদ বয়ে বেড়ান এর কাজ নয়—জানা হ’তে অজানার পথে এর নিত্য অভিসার । অজানার সাথে এই মিলনের দৌত্য যে-রচনা যে পরিমাণে করতে পারে শিল্প-হিসাবে সেই রচনা তত সার্থক । আলঙ্কারিকেরা কাব্যের এই ভাববহন শক্তিরই নাম দিয়েছেন ব্যঞ্জন । প্রতীয়মানং পুনরস্তদেব বস্তৃপ্তি বাণীৰু মহাকৰীনা। रुड९-aनिकांवग्न-दाडिब्रिख्र विष्ठीडि जांदनjमिषांत्रनीं६ ॥ মহাকবিগণের রচনায় বাচার্থের অতিরিক্ত যে প্রতীয়মান