পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইস্টই স্কলারীর দেছে হস্তপদাদি অবাধের অতিরিক্ত একটি অপার্থিব লাৰণ্য লীলায়িত হয় এই ব্যঙ্গ্যার্থও তেমনি তার স্পষ্টার্থকে অতিক্রম করে প্রকাশিত হয়। শদ্ভূকবধের পরে অযোধ্যায় ফিরবার পথে স্ত্রীরামচন্দ্র পূৰ্ব্বসৃষ্ট দণ্ডকারণ্য দেখে বলে উঠলেন-- “এতে ত এর গিয়ে বিরুবায়ুরা: ভাঙ্কেৰ মত্তহরিণানি ৰনস্থলানি । আমজু-কুল-লতানি চ তাঙ্ক-মুনি মীরা নীল নিচুলানি সরিত্রটানি ॥—উত্তররামচরিত এই ময়ূরের কেকাধানি-মুখরিত পৰ্ব্বত, এই মত্তহরিণসুশোভিত বনস্থলী আর ঐ নিবিড় নীল বেতস-কম্পিত নদীভট। অভিরাম বনপ্রকৃতির এ এক মনোরম বর্ণনা ; কিন্তু কেবল বর্ণনার মনোহারিত্বই এর রমণীয়ভার একমাত্র কারণ নয়, কবি এই নিসর্গচিত্রের ভিতর দিয়ে এক গভীর করুণার উদ্দীপন করেছেন। এই দৃপ্ত দেখে রামচন্দ্রের পূৰ্ব্বশ্বতি জেগে উঠেছে—সেই স্বখের দিনের কথা মনে পড়েছে ষেদিন এই বনভূমিতেই তিনি জনকনন্দিনীর সঙ্গে প্রেমের নন্দন রচনা করেছিলেন। হায়! সেই জীবনাধিক দেবীপ্রতিমা আজ কোথায় ? বাচ্যের অতিরিক্ত এই ব্যঙ্গ্যধ্বনিটুকু আছে বলেই এই শ্লোকের অপরূপতা ! শিল্পের প্রকাশ মনের একটা সচেতন ক্রিয় । বস্তুর সঙ্গে সংস্পর্শে ঐন্দ্রিয়জ্ঞান, তার থেকে সংবেদন (feeling) এবং কল্পনার ক্ষেত্রে তার শমতা। এরই নাম অন্তঃপ্রকাশ (inner expression) । এর পরে বহিঃপ্রকাশ, যার বিদেশীয় অভিধা হ’ল technique—দেশীয় নাম রস, অথবা ভাবের আস্বাদ্যমান রূপ। এই রসের উপর খুব জোর দিয়েছেন ভারতীয় রসজ্ঞেরা ; তার স্পষ্টই বলেছেন যে রসসম্পৃক্ত না হ’লে কোন বাক্যই কাব্য হবে না, কেন না নিত্তনৈমিত্তিককে নিম্নে হ’ল বাক্যের কারবার "fact বা ঘটনার মানুষের-দেওয়া estatsfr zvērst (empirical symbol) i fr* *TEUR জগৎ অপরূপের জগৎ—বস্তুজগতের অবিকল নকল নয় । আলোকের মণিকার হলেন কবি ; তার অতীন্দ্রিয় লোককে ধা ব্যঞ্জিত করে তাই হ’ল রস। Technique বা রস কেবল রূপ অথবা কেবল ভাব নয়—ব্যক্তের মধ্যে অৰাঞ্জের অঙ্কুর-দূর দিগ বলয়ে পরিচিত জগতের সাথে করলোকের অপ্রত্যাশিত মিলন। এই মিলন ঘটান ৯৫ বঙ্গাৰষ্ট नििर्हौ,-श्वव्रि उङ्गण, झ्टमाग्न हिल्लाहण, क्षंग्लिोङ्ग অপরূপ আলিম্পনে। অতীক্রিয় ভারের সঙ্কেত হিসাবে সব যুগেই ভাস্কর এবং চিত্রশিল্পীদের মধ্যে কেউ কেউ মানুষের মূৰ্ত্তিকে বিচিত্ররূপে পরিবর্তিত করেছেন। তার বলেন বস্তুকে অবিকৃত রেখে বস্তব্যঞ্জিত অতীন্দ্রি সত্তাকে । প্রকাশ করা সম্ভব নয়, যেহেতু পরিচিত মূৰ্ত্তির সঙ্গে পরিচিত ভাবেরই সংযোগ। রবীন্দ্রনাথের অঙ্কিত মূৰ্ত্তিগুলি একএকটি অধ্যাত্মভাবের দ্যোতক ; সম্ভবতঃ তিনি মনে করেন অবিকৃত মূৰ্ত্তি স্বন্ধ ভাবরূপকে প্রকাশ করতে সমর্থ নয়। এই প্রসঙ্গে মিশরের কারুমূৰ্ত্তিগুলির, প্রাচীরগাত্রে উৎকীর্ণ অজস্তা ও ইলোরার মূৰ্ত্তিগুলির উল্লেখ করা যেতে পারে। আমরা জানি হিন্দুরা দেবদেবীর যে-সকল মূৰ্ত্তি কল্পনা করেন সেগুলি হুবহু মানুষের মত নয়। র্তাদের ধারণ মানসীর মানুষী রূপ দিলে তার দেবভাব ক্ষুণ্ণ হয়। প্রতীকপূজা পুতুল-পূজায় পরিণত হয়। কিন্তু যারা বস্তুসত্তাকে অক্ষুণ্ণ রেখে বিষয়ের অতীত ভাবের সূচনা করেন তার বস্তুর আধ্যাত্মিক মূল্যকে স্বীকার করেন এবং সেইজন্যই র্তাদের শিল্পলিপি সমৃদ্ধতর । এরূপ ব্যঞ্জনা যে অসম্ভব নয় তা বড় বড় রূপদক্ষের শিল্প দেখলেই বোঝা যায় ; দৃষ্টান্ত, “ভিনস অভ মিলো” অথবা মনালিসা। আর কবি বা শিল্পীর মনেও ত এই প্রাকৃতিক জগতই অপ্রাকৃত লোকের বাণী বহন করে আনে তবে প্রাকৃত প্রতীকের সাহায্যে অপ্রাক্লতের দ্যোতনাই বা অসম্ভব হবে কেন ? এই প্রতীক কল্পনার বৈশিষ্ট্যেই কাব্যও হয়ে পড়ে mystic ৷ যে-কাব্য যে-পরিমাণে বস্তুনিরপেক্ষ ভাবসত্তাকে উপলব্ধি করে বস্তু থেকে পৃথক কোন প্রতীকের সাহায্যে সেই ভাবকে প্রকাশ করবার জন্য চেষ্টিত হয়, সেই কাব্য সেই পরিমাণে দুৰ্ব্বোধ্য হয়ে পড়ে। এই যে technique of symbolism đữi v*ẽ বেশী দুরবগাহ হয়--প্রয়োগসিদ্ধ না হয়ে এট যত বেশী স্বেচ্ছাকুমত হয়। কতকগুলি ভাবের সঙ্গে বিশেষ কতকগুলি প্রতীকের সংযোগ আছে অর্থাং দেখা গিয়েছে সেই সেই বস্তুর প্রসঙ্গে সেই সেই ভাবের কথা লোকের মনে স্বতঃই উদিত হয় : সুতরাং সেই প্রয়োগসিদ্ধ প্রতীকগুলি ব্যবহার করলে পাঠকের বা শ্রষ্টার বুঝবার অসুবিধা হয় কম ; কিন্তু symbolটি যদি শিল্পীর সম্পূর্ণ