পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্যঙ্গৰ ও শেলী ఇన్రిe भमग्रंछझ उरब डांग्न दाङनां ॐट्न कब्र गांक्षांब्ररशग्न ऋक्र সম্ভব হয় না। যেমন সাদা এই রঙটার সঙ্গে সরলতা এবং পবিত্রতার সংযোগ প্রত্যেক মাহুষের মনে আছে —যখনই একটি স্বচ্ছ-মুন্দর শ্বেত-শতদলের চিত্র দেখি বা তার বর্ণনা কাব্যে পাঠ করি তখনই আমাদের মনে নিৰ্ম্মলতা ও পবিত্রতার ভাব উদিত হয়। আকাশে পুঞ্জিত মেঘের উপর রক্তরবির বর্ণচ্ছটাকে মানবমনের অঙ্গরাগের রক্তরাগ হিসাবেই চিরদিন কবির দেখে এসেছেন, কিন্তু এই রকম দৃপ্ত দেখলে শিল্পী টর্ণরের মনে মৃত্যু ও বিনাশের ভাবই জেগে উঠত— নীলাকাশে রক্তরাগের ঐ যে তরঙ্গ ও-যেন আমাদের মৰ্ম্মকোষ থেকে উচ্ছি ত রুধিরধারা ; তাই তিনি “কার্থেজের পতন’ এই চিত্রে ধ্বংসের প্রতীক হিসাবে রক্তাকাশের পরিকল্পনা করেছেন। ছায়াবাদী ( mystic ) কবিরা তাদের রসরচনায় সেই সমস্ত উপমা প্রায়ই ব্যবহার করেন যা তাদের বিশেষ মানসিক অবস্থার ফল এবং যার সঙ্গে সাধারণ মনের পরিচয় অতি সামান্ত । ছায়াবাদ ( mysticism ) আসলে প্রকাশ শৈলীর বৈশিষ্ট্য ছাড়া আর কিছুই নয়। কেবলমাত্র প্রকাশবৈশিষ্ট্যে রসের কত ( effect ) তারতম্য হয় তা বেশ অকুভব করা যায় যখন আমরা মনোযোগের সঙ্গে কীৰ্ত্তন-গান শুনি । সাধারণ রাগরাগিণীই কীৰ্ত্তনের ঢঙে এক কমনীয় মাধুর্যের ধারায় আমাদের চিত্তকে অমৃত-সিঞ্চিত করে। এই symbol-কে বেশী প্রয়োগসিদ্ধ করতে গিয়ে আবার শিল্পশৈলী সময় সময় অত্যন্ত কৃত্রিম হয়ে পড়ে। কবি তখন নিজের ছন্দে কথা ক’ন না, নিজের মুরে গান করেন না, কতকগুলি সনাতন মামুলি উপমার খোলস চাপিয়ে ভাববস্তুকে ইটিয়ে নিয়ে বেড়ান ‘রণপা’র উপরে। ভাব সেখানে কল্পনার আকাশে মুক্তপক্ষে ওড়ে না, একহাত উচু খড়মের ভারে প্রতি পদেই খুড়িয়ে চলে। সূৰ্য্য অস্ত গেলে কমলের মুখ মলিন হ’ল, চাদের জন্য চকোর কেঁদে কেঁদে আকুল হ’ল, নীল সরোবরে কৌমুদীর প্রভায় কুমুদিনীর মুখ হ’ল উজ্জল । হ’ল সবই, কিন্তু পাঠকের মনে তার কোন ক্রিয়া হ’ল না । প্রেমিক-প্রেমিকার ধ্যানতন্ময়ত ও আগ্রহের ভাব কি এতে করে আমাদের মনে একটুও বেশী মুদ্রিত হ’ল ? কিন্তু বদ্যাপতি যখন বললেন,— “णांभ गर्ष दूर्ण शिक शिक बाषष्ट्र তৰু হিয়া জুড়ন না গেল।” কিংবা কবি বর্ণসের বীণায় যখন বেজে উঠল,— “And I will love thee still, my dear, Till all the seas gang dry.”— তখন বুঝলাম প্রেমিক-হৃদয়ের সেই অসাধারণ আকুতি। সে প্রেম কি অসীম যা প্রিয়তমকে জন্মজন্মান্তর ধীরে বুকে রেখেও তৃপ্ত হয় না-সমস্ত সাগর-বারি নিঃশেষ হয়ে গেলেও ষার পিপাসার নিবৃত্তি হয় না ! কাব্যশিল্পের সৌন্দৰ্য্য অখণ্ড সমগ্রতার সৌন্দর্ঘ্য । কাবো ঘটনা এক সময় থেকে আর এক সমক্ষে চলে যাচ্ছে---চিত্রে চেষ্টা করছে ; কিন্তু আমরা যদি খুটিনাটির প্রতি পৃথকৃ মনোযোগ দিই তবে শিল্প-দৃষ্টি ক্ষুন্ন হবে, আমরা ব্যাপকতাকে ( breadth ) হারাব । এই ষে খণ্ডকে অর্থগুরূপে দেখা, অংশকে পূর্ণরূপে অনুভব করা আমাদের দেশে এর দার্শনিক নাম ‘সমূহাবলম্বন (synoptic vision ) । চোখ পৃথক পৃথক প্রত্যেক পদার্থের উপর পড়ছে বটে কিন্তু প্রতীতি হচ্ছে একটি, অক্ষর ভিন্ন ভিন্ন আছে বটে, দেখচি শব্দ। সেইরকম ভাব ( ভাবোপলব্ধির প্রত্যেক ক্রিয় ) এবং রূপ-দুটি পৃথক বস্তু হ’লেও আমরা সমূহাবলম্বন জানে তাদের সম্মিলিত রসরূপে প্রতিভাত দেখি । প্রত্যেক চারুশিল্পের উদ্দেশ্য হ’ল সহৃদয়জনের মনে একটা প্রভাব উৎপন্ন করা-নিজের মনে যে ভাব উৎপন্ন হয়েছিল ঠিক সেই ভাবটিকেই জাগিয়ে তোলা কিন্তু অন্ত "মিডিয়মের সহায়তায় ; যেমন বীঠোভেনের “মুন লাইটু সোনাট,”—স্বরের ধ্বনি দিয়ে জ্যোৎস্নানিশীথিনীর মায়াটিকে শরীরিণী করে তোলা । ডিকুইন্সি একে বলেছেন “idiom in alio,” প্রত্যেক শিল্পরচনাই কল্প-বস্তুহিসাবে নিজের মধ্যেই সম্পূর্ণ একটি স্বতন্ত্র জগৎ-এই জগতের বাইরে আর অন্ত কিছু নেই। সুতরাং এখানে বাইরের সঙ্গে মিল খুজতে যাওয়া কেবল নিষ্ফল নয়, নিতান্ত অসঙ্গত ; কারণ কোন বিষয় সম্বন্ধে কল্পনা করার অর্থই হ’ল তাকে বস্তুজগং থেকে পৃথক্ করে এক স্বতন্ত্র রাজ্যে নিয়ে যাওয়া, যেখানে সব জিনিষেরই গতি সেই একের (nonad)