পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పిరిజం দিকে,—সব ধারারই অভিলার এক মু:ি | আমরা বাইরের জগতে পাই বিক্ষেপ ও বিচ্ছিলতা— ঐজিজ্ঞানের মূলেই রয়েছে এই পার্থক্য-বোধ। এটা সাদ, অর্থাৎ কাল বা লাল বা অন্ত কোন রঙ নয় । “এটা এ নয়” অথবা “এটা অপরটা থেকে পৃথক,”—বস্তুজগতকে দেখবার এই হ’ল চিরন্তন রীতি। শিল্পলোকে সব ভাবকেই,-- কারণ সেখানে বস্তু নেই, আছে বস্তুসম্বন্ধে আমাদের ভাব-আমরা দেখি এক মহাভাবের প্রকাশরুপে ; তাই সেখানে আছে কেবল সংহতি ও স্বযম, সৌন্দর্ঘ্য ও শাস্তি—ক্ষপে-রসে গন্ধে-গানে তাই সেখানে এমন মধুর গলাগলি । “Alio," অর্থাৎ রূপকের সাহায্য নেওয়া, অর্থাৎ স্বর দিয়ে রঙ অথবা গন্ধ দিয়ে গানকে জাগিয়ে অন্তরতম সঙ্গতিরই ইঙ্গিত করা । বিখ্যাত ইহুদী মনীষী স্পিনোজা বলেছেন, “Omnis existentia est perfectio,” orsi tras rá, অথবা যা চিরন্তন তাই সুন্দর। শিল্পের দৃষ্টিতে সকল সত্তাই এক অনাদি সত্যের প্রকাশরুপে প্রতিভাত হয়। শিল্পের অলোকলোকে বিচ্ছিন্নতা বলে কিছু নেই, আছে সমীকরণ— ভেদবুদ্ধি নেই, আছে প্রেমের অঞ্জন। যুগে যুগে চারুকলায় স্থানকালের অতীত সেই মহাসত্য মূৰ্ত্ত হয়ে এসেছে, রূপরসশব্দবর্ণগন্ধের পঞ্চপ্রদীপ জেলে কালে কালে কবিকুল অনঘ উপচারে ও অনিদ্য ভঙ্গিতে স্বন্দরের বন্দনা করে এসেছেন । সেই অনবদ্য বন্দন-গীতে নিখিলমানবের জীবন মন্দিত। ংলার রেশম-শিপ শ্ৰীচারুচন্দ্র ঘোষ রেশমের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ রেশম সম্বন্ধে আলোচনা করিতে গিয়া সাধারণ লোকে প্রশ্ন করিয়া থাকেন, “মেকি রেশমের ( আর্টিফিশিয়াল সিদ্ধ বা রেয়ন) সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রেশম টিকিতে পারিবে কি ?” সাধারণ লোক কেন, অনেক বৈজ্ঞানিকেরও এই ভুল ধারণা আছে। মহাযুদ্ধের সময় ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে ভারত-গবর্ণমেন্ট ঐযুক্ত লেফ্রয় সাহেবকে বিলাত হুইতে আনাইয়া রেশমশিল্পের উন্নতিকল্পে অনুসন্ধানে নিযুক্ত করেন। তিনি এবং জানসোর্জ সাহেব সমস্ত ভারতবর্ষে অনুসন্ধান করিয়া তিন খণ্ড বৃহৎ রিপোর্ট প্রকাশ করেন । किड़ ॐ८ब्रांख् फूल ধারণার দরুণ লেফ্রম সাহেবের প্রস্তাবানুসারে কোন কাৰ্য্যই হইল না। অথচ তাহার পর প্রায় পনের বৎসরের ভিতর জাপানের রেশম-উৎপাদন তিনগুণ বাড়িয়া গেল। আবার ১৯২৭ খৃষ্টাবো কৃষি-কমিশন মন্তব্য লিখিলেন যে, ভারতবর্ষে পারে কি-না সন্দেহ, অতএব রেশম-শিল্পের উন্নতিকল্পে কোন কাৰ্য্য গ্রহণ করিবার পূর্বে বিবেচনা প্রয়োজন। এই রিপোর্ট লিখিবার প্রায় পাচ বৎসরের মধ্যেই এত রেশম আমদানি সুরু হইল যে ভারত-গবর্ণমেণ্ট টারিফ-বোর্ডকে ভারতের রেশমউৎপাদন শিল্প রক্ষার জন্য আমদানি রেশমের উপর গুৰু বসাইবার বিষয় বিবেচনা করিতে পরামর্শ দিতে বাধ্য হইলেন । টারিফ-বোর্ড এখন এই সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিতেছেন। পশম (উল ), রেশম এবং কার্পাসের স্বতার ইঠায় রেয়ন এক প্রকার আলাদা স্থতার মত ব্যবহৃত হইতেছে । कोठे ঔষধ-সাহায্যে গলাইয়া এই স্বতা প্রস্তুত হয়। এই উদ্ভিজ্জ স্বতা রেশমের স্থায় জাস্তব স্বতার গুণবিশিষ্ট হইতে পারে না । চাকচিক্য ইত্যাদি ছাড়া যে-সকল গুণের জন্য রেশমের জাদর সেগুলি হইতেছে শক্তি ( ভারবহনক্ষমতা), স্থিতিস্থাপকতা এবং ছিড়িবার পূৰ্ব্বে লম্বমানত । রেশম ও রেক্ষনের এই গুণগুলির তুলনার জন্ত এক নম্বর চিত্র দিলাম। এই চিত্র বুঝাইবার জন্ত মোটামুটি কিছু বলা প্রয়োজন । রেশমের