পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'use সমস্ত পৃথিবীতে মাত্র ৫০ হাজার পাউণ্ড রেয়ন স্থতা উৎপন্ন হয় এবং ১৯৩১ খৃষ্টাবো :হয় ৪৬৭০ লক্ষ পাউণ্ড। নূতন জিনিষ বলিয়া এবং বড় বড় কারখানায় বহু পরিমাণ উৎপাদন করিতে পারা যায় বলিয়৷ ইহার উৎপাদন এত দ্রুত বাড়িাছিল। এখন আর এরূপ বাড়িবার সম্ভাবনা কম, কারণ এখন চাহিদা-পরিমাণ উৎপন্ন হইতেছে । রেম্বনের উৎপাদন এবং ব্যবহার যখন এইরূপ দ্রুত বাড়িয়াছিল তখন রেশমের উৎপাদনও কমে নাই, বরাবরই প্রায় প্রতি বৎসর শতকরা ছয়গুণ করিয়া বাড়িয়াছে । রেয়নের নূতনত্বের মোহ কাটিয়া গিয়াছে এবং উপরের যে প্রচারের কথা বলিয়াছি তাহার দরুণ রেশমের সহিত রেয়নের প্রতিযোগিতার দিনও কাটিয়া গিয়াছে বা শীঘ্রই যাইবে । তবে কতক জিনিষে রেয়নের ব্যবহার থাকিবে । যাহাতে লোকে না ঠকে সেইজন্ত ইতালীতে এই আইন হইয়াছে যে, ষে-কাপড়ে রেয়ন ব্যবহৃত হইয়াছে তাহাকে সিদ্ধ বা রেশম বলিয়া পরিচয় পৰ্য্যন্ত দেওয়া নিষিদ্ধ । নানা দেশে এখন রেশম উৎপাদনের আয়োজন হুইতেছে। জাপান যত রকম সম্ভব আধুনিক উন্নত পন্থা ও যন্ত্র গ্রহণ করিয়া রেশম-উৎপাদক দেশ-সকলের শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছে জাপানের অধীন কোরিয়া এবং ফমোশাতেও রেশম, উৎপাদনের জন্ত যথেষ্ট আয়োজন হইয়াছে ও হইতেছে ॥ চীনও জাপানের স্তায় উন্নত প্রশাল গ্রহণ করিতেছে এবং অনেক স্থানে করিয়াছে। এই কাধ্যে আমেরিকার রেশমব্যবসায়ীর চীনকে অর্থ ও পরামর্শ দ্বারা সাহায্য করিতেছে। লিগ অফ নেশন্সের তরফ হইতে একজন বিশেষজ্ঞকে চীনে পাঠান ইয়াছে। রুশিয়া, জামানী, ব্রেজিল, মেক্সিকো, ইরাক এবং আফ্রিকাতেও রেশম উৎপাদনের চেষ্টা হইতেছে। জাপানী বিশেষজ্ঞ ও কলকজা আনাইয়া রুশিয়া এই কাজ আরম্ভ করিয়াছে এবং ইহারই মধ্যে রুশিয়ার রেশম আমেরিকার বাজারে বিক্রয় হইতেছে। , উনবিংশ শতকের ষষ্ঠ দশকে বঙ্গদেশ হইতে প্রায় ড়ে কোটা টাকার কেবল রেশম স্বতাই বিদেশে চালান যাইত। বিলাভের বাজারে বাংলার রেশমেরই প্রসিদ্ধি ছিল । তারপর চীন-জাপান বাজারে নামে । তখন হইতেই বাংলাকে হটিঙে কইছে এবং কয়েক বৎসর যাবৎ বাংলার রেশমের কারণ বাংলার শিল্পকে উন্নত করিবার প্রকৃত চেষ্টা ও আয়োজনের অভাব। কোন বিষয়ে চেষ্টা ও আয়োজন দরকার তাহ ক্ৰমে বুঝাইতে চেষ্টা করিব। রেশমের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে ব্যবসায়ীদের কি ধারণ তাহার আভাসও দিতেছি। ১৯২৯ খৃষ্টাব্দে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে এক বৃহৎ কারখানার কওঁ বৎসরে এক লক্ষ পাউণ্ড এণ্ডি গুটি সরবরাহ করিতে পারিলে আমাকে অগ্রিম টাকা দিতে প্রস্তুভ ছিলেন । ফ্রান্সের লিম শহর রেশম-বয়নের জন্য বিখ্যাত। এখানকার চেম্বার অফ কমাসের সভাপতি ১৯৩০ খৃষ্টাব্দে আমাকে বলিয়াছিলেন, “কোন এক নমুনার রেশম বহু পরিমাণে সরবরাহ করিতে পারেন ত বাজার প্রস্তুত আছে। আপনার নমুনা সৰ্ব্বোৎক্লষ্ট না হউক, ফেনমুনা দিবেন, মাল সেই নমুনা-মাফিক হওয়া চাই ।” লওন শহরে ঐ সময় ডুরাস্ট বিভান নামক বহু পুরাতন রেশম ব্যবসামীদের ডিরেক্টর আমাকে বলেন, বাংলার রেশম নমুন-মাফিক সরবরাহের বন্দোবস্ত না থাকাতেই বাজার হইতে লুপ্ত হইয়াছে। নমুন-মাফিক সরবরাহের বন্দোবস্ত করিতে পারিলেই আবার ইহার কাটতি বাড়িবে। এই কোম্পানী কাশ্মীরে উৎপন্ন সমস্ত রেশমের দালালী করেন। এখন সহজেই বুঝা যাইবে যে রেশমের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সন্দেহের কোন কারণ নাই । রেশম-শিল্প বলিতে কি বুঝায় রেশম-শিল্পের মোটামুটি দুইটি বিভাগ :-(১) রেশম উৎপাদন ( production ), (২) রেশমের ব্যবহার (utilization.) উৎপাদন-শিল্প—রেশমকীট বা পলুকে পালন করিয়া রেশম উৎপাদন করিতে হয় ৷ পলু তুতের পাতা খায়। অতএব প্রথমে তুতের চাষ করিতে হয়। ঘরের ভিতর বাঁশের ডালাতে রাখিয়া পাতা খাওয়াইলে পলু বড় হইয় মুখ হইতে রেশম-তন্তু বাহির করিয়া এই তত্ত্ব পর্দায় পর্দায় নিজের দেহের চতুর্দিকে লাগাইয়া গুটী বা কোয়া তৈয়ারী করে এবং এই গুটীর ভিতর ভেক বদল করিয়া পুত্তলি হয়। ििलङ, भूडजिब्र ब्रचोङ्ग छकृहे छाँौग्न ग्रुटेि । नमू किकृत्रि