পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাগ্ৰহ্লায়গ পরে আবার ভেক বদল করিয়া প্রজাপতি বা চোকৃড়া চোকৃড়ী (চকোর চকোরী ) হইয়া পুত্তলি-কোষ ভাঙিয় এবং গুটী ভেদ করিয়া বা কাটিয়া বাহির হয়। কিছু পরেই চোকড়া চোকড়ীর মিলন হয় এবং সেই দিনই সদ্ধার সময় চোকড়ী

  • | রেশম পরজীবনী উপরে পলু, মধ্যে বাম দিকে চোকৃড় ডিম পাড়িতেছে, ডান দিকে গুটী এবং নীচে পুত্তলি গুটীর ভিতর হইতে বাহির করিয়া দেখান

ডিম পাড়ে। কিছুদিন পরে ডিম ফোটে এবং কীড়া বা পলু পাতা খাইয়! আবার গুটী করে । এইরূপে পলুর জীবনী চলিতে থাকে। ডিম হইতে আবার ডিম পাড়া পৰ্য্যস্ত পলুর জীবনীর এক চক্র। চক্রের পর চক্ৰ চলিতে থাকে। গুটী হইতে না ছিড়িয়া রেশমের খাই বাহির করিয়া লইলে রেশম স্থত পাওয়া যায়। যন্থসাহায্যে এই কাৰ্য্য করিতে হয়। ইহাকে বলে কাটাই করা ( reeling ) একটি গুটীর খাই অতি সরু । ইহা উঠাইতে পারা যায়, কিন্তু ইহাতে কোন কাজ হয় না। অনেকগুলি গুটীর খাই একসঙ্গে উঠাইতে হয় এবং যত বেশী খাই একসঙ্গে উঠান যাইবে স্বত তত মোটা হইবে। ইচ্ছামত যেমন প্রয়োজন কমবেশী গুটী হইতে সরু মোটা স্নত কাটিতে পারা যায়। পলু মুখের ভিতর হইতে যখন তন্তু বাহির করে তখন তন্তু এক প্রকার গদের মত লালায় ভিজা থাকে এবং গদ গুকাইয়া জমাট বাধিয়া গুটি শক্ত হয়। স্বতা কাটিবার সময় গুটী গরম জলে সিদ্ধ করিয়া গদ নরম করিয়া দিতে হয় । অনেকগুলি খাই মিলিয়া স্বত হইয় উঠলে এই গদ আবার শুকাই খাইগুলিকে একসঙ্গে জমাট বাধিয়া এক হতায় পরিণত করিয়া দেয় । ༤ སྨ་“.... ྋ ཁ་ཁ་བ།- ,, - ཁ བ. ২১৭ - উৎপাদন-বিভাগের কার্ধ্য হইল তুত চাষ করিশ্ন পলুপালম এবং গুটী হইতে স্বত কাটাই। পলুপালন এবং স্থতাকাটাই—দুই পৃথক শিল্প। পলুপালন কৃষকের উপশিল্প। কৃষক-পরিবার দুই-এক বিঘা তুত রাশিয়া অন্তান্ত কাজের মধ্যে যে অবসর পায় সেই অবসর সময়ে এবং ছেলেমেয়েদের সাহায্যে পলুপালন করিয়া গুটা হটলেই বিক্রয় করিয়া দেয়। কৃষক নিজের গৃহে কাটাই করিতে পারে। কিন্তু কাটাই ৷ একত্রে না করিলে এক নমুনার স্থত উৎপাদন করা সহজ হয় না। সেই জন্য কাটাই-কাৰ্য সর্বত্রই পৃথক । যেকেহু কাটানী নিযুক্ত করিয়া এবং গুটা কিনিয়া কাটাইকার্য চালাইতে পারে। বেশী স্থতাকাটাই করিতে হইলে একত্রে অনেক কাটানী নিযুক্ত করিম কারখানা-শিল্পের মত চালাইতে হয় । ইহাতে বেশ লাভ হয় । রেশম-কাটাক্ট কারখানাকে বাংলা দেশে বানক বলে । কাটাই করিবার সময় শুটার কিছু উপরের অংশ ( ফেসে ) এবং কিছু ভিতরের অংশ ( টোপা ) বাদ যায় এবং মধ্য স্তর হইতেই খাই উঠান যায়। বাদ অংশগুলিকে ঝুট (waste ) বলে। যে গুটি হইতে চোকৃড়া কাটিয়া বাহির হইয়াছে তাহাও বুটের সামিল। বাংলা দেশে বুদ্ধারা কাটা গুটী হইতে টাকু দিয়া ‘মটকা’ স্থতা পাকাম। বিলাত, আমেরিকা ও জাপানে রেশমের ঝুট হইতে কলের সাহায্যে কাপাস স্থতার মত “পেজ' রেশম” স্বতা (spun silk ) প্রস্তুত করা হয় । ব্যবহার-শিল্প-রেশমের ক্ষতার বেশী ব্যবহার মোজা গেঞ্জি কাপড় বুননে। গুটী কটাই করিয়া যে স্বতা পাওয়া যায় তাহার সাধারণ নাম কাচা রেশম ( raw silk ) ৷ নানা রকম কুনের জন্য স্থতার নানা রকম পাইট করিতে হয় । কাচা রেশমেও কাপড় বোনা যায়, কিন্তু ভাল কাপড় বুনিতে পাইটের দরকার। প্রথমে বন্দি খুলিয়া বন্দি হইতে ফেরাই করিয়া কাঠের নল বা ববিনে জড়ান হয়। তার পর ববিন হইতে খুলিয়া পাক দিয়া অপর ববিনে উঠান হয়। আবার কয়েকটি স্বতাকে একসঙ্গে পাকান হয়। নানাবিধ রংকরা কাপড় বুনিতে পাকোয়ান স্থতার রং করা হয়। কাপড় বুনিয়া ধোলাই ও ইন্ত্রি করা হয়। ব্যবহার-শিল্পের নান বিভাগের কার্ধ, যথা—পাকাই, রঙাই, বুনন, ধোলাই ইত্যাদি