পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৯ পিজিয়া তুলার মত স্বতা পাকাইতে হয়। আসামে টাকু দিয়া স্বতা পাকান হয় । ৫ নং চিত্রে এশুি পলু ও চোকড় দেখান হইল। এণ্ডি স্বতা রেশম স্বতার মত চাকচিক্যশালী . নয় এবং রেশম অপেক্ষা ইহার দাম অনেক কম। রেশমের বুটের মত কলে এণ্ডি গুটী হইতে পেজা স্বত হয়। এই জন্য বেশী উৎপাদন করিতে পারিলে গুটীর কাটতি হয়। সাধারণত: এগু, তসর এবং মুগাকেও রেশমের মধ্যে গণ্য করা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রেশম হইতে ইহাদের পার্থক্য অনেক । রেশমের দাম বেশী, চাহিদা বেশী এবং রেশমউৎপাদন শিল্পের উন্নতির ও বিস্তারের সম্ভাবনাও অনেক বেশী । রেশম-উৎপাদন-শিল্প সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় এবং অবশ্যঙ্গাতব্য বিষয় ১ । পলু পালন করিয়া গুটী উৎপাদন সৰ্ব্বত্রই কুলকপরিবারের উপশিল্পরূপে সাধিত হইলেই উত্তম হয়। তুতের পাতা সংগ্ৰহ করিয়া সমস্ত দিনরাত্রিতে চারি বার খাবার দিয়া ঘরের মধ্যে পালনকাৰ্য্য অন্যান্য কার্যের অবসর সময়ে সাপিত হয় । এষ্টরূপে উৎপন্ন গুটী যত সস্তায় বিক্রয় করিতে পারা যায়, বেতন দিয়া লোক রাখিয়া পালন করিলে তেমন পারা যায় না। অথচ অবসর সময়ে সাধিত পালনকাৰ্য্য কৃষক-পরিবারের আয়ের উপায়স্বরূপ হয় । কাৰ্য্যে পারদর্শিত জন্মলে এক এক পরিবার অনেক পলুপালন করিয়া মাল-নেড়েকের মধ্যেই কয়েক শত টাকা অর্জন করিয়া লইতে পারে। জাপানে কৃষকদের জমি অল্প, কিন্তু পলুপালনদ্বার। বহু কৃষক তাহদের আয় দ্বিগুণ করিয় লয়। ২ । তুতাষ-পলু পালন করিয়া গুটী পাইতে মাত্র ত্রিশ-পয়ত্রিশ দিন সময় লাগে, কিন্তু তুত জন্মাইতে বেশী সময়ের প্রয়োজন। ভাল করিয়া তুতচাষ করিতে পারিলেই পলুপালনকার্য্যের অৰ্দ্ধেকেরও বেশী উদ্ধার হইয়াছে বুঝিতে হুইবে । তুতাষ শক্ত নয়, তবে জমি ভাল করিয়া তৈয়ার করিতে হয় এবং সার নিতে হয়। তুতচাষ কয়েক রকমে করিতে পারা যায়। ক্ষেত বা অপর স্থানে ডাল লাগাইয়৷ ঝাড় বা ঝুপি তুত প্রায় ছয় মাসের মধ্যে এবং স্থানবিশেষে ७lरू ब५ग:ब्रव्र म:{ाई ऊद्रॉब्रौ इञ्च । अकबां★ लांश्राहेश আট-দশ বৎসর থাকে। সময়-মত সার খোড় ও নিড়ান দিতে হয়। ছোট তুত গাছ জন্মাইতে দুই-তিন বৎসর লাগে এবং বড় গাছ আট-দশ বৎসরের কমে হয় না। তবে গাছ জন্মাইতে পারিলে জীবনভোর পাতা পাওয়া যায়, আর কোন খরচ করিতে হয় না। যেপানে জল না দাড়ায় এমন যেকোন স্থানে তুত জন্মে। বাংলার যে-কোন স্থানে বিনা জলসেচনেই তুত জন্মিতে পারে । পলুপালনকার্ষে তৃত্রে প্রয়োজনীয়তাই প্রধান। এই কারণে জাপানে প্রত্যেক রেশম সম্বন্ধীয় স্কুলে, কলেজে এবং গবেষণা ও পরীক্ষাক্ষেত্রে তুতের বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত হইয়াছেন। জাপানে প্রায় চারি শত প্রকার তুতের মধ্যে পরীক্ষা করিয়া নান স্থানের ও ঋতুর উপযোগী আট নয়টির চাষ হয় এবং সমস্ত তু তই কলম হইতে উৎপন্ন করা হয়। দক্ষিণ-চীনে অনেক স্থানে তুতচাষী কেবল তুতচাষ করিয়া পলুপালকদিগকে পাতা বিক্রয় করে। ৩। রেশম-পলুর জাত -এখন নানা দেশে রেশম-পলুর বহু জাত বৰ্ত্তমান। কতক উংকৃষ্ট, কতক নিরুষ্ট । উংকৃষ্ট জাভ হইতে উংকৃষ্ট এবং পরিমাণে বেশী রেশম পাওয়া যায়। জাতনির্ণয়ের প্রথম উপায় পলুর জীবনী । এক শ্রেণীর পলুর ডিম বসন্তকালে ফোটে, পলু মাসখানেক খাইয়। বড় হইয় গুটী করে এবং আরও দশ-বার দিন পরে চোকুড়া-চোকৃড়ী কাটিয়া বাহির হয় ও ডিম পাড়ে। এই ডিম কিন্তু প্রাম দশ মাস পরে আবার বসন্তকালে ফোটে। এই প্রকার *āffié or “oso" (univoltine or onebrooded) পলু বলা হয়। কারণ বৎসরে ইহাদের জীবনীর একচক্র মাত্র পূর্ণ হয়। কতক পলুর জীবনী বংসরের সব সময়েই চক্রের পর চক্র হইতে থাকে। ইহাদিগকে “ogsä” (multivoltine, polyvoltine or manybrooled ) পলু বলা হয়। জীবনীচক্র ছাড়া গুটীর আকার, গঠন, রং এবং গুটীর রেশমের পরিমাণ অনুসারে আবার নান। জাত আছে এবং এই জাত সকল নানা দেশে বর্তমান । মোটামুটি হিসাবে প্রায় সমস্ত একচক্ৰী পলু বহুচক্ৰী পলু অপেক্ষ উংকৃষ্ট । জাপান, উত্তর-চীন, ফ্রান্স, ইতালী, বলকান, তুরস্ক প্রভৃতি স্থানে এবং ভারতবর্ষের মধ্যে কাশ্মীরে একচক্ৰী পলু পালিত হয়। দক্ষিণ-চীন, ইন্দোচীন, খাম,