পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eজনে যোগ করিয়া যে ওজন পাওয়া যায় তাঁহাই বিক্রমের ওজন ধরা হয়। এই ওজনকে কণ্ডিশন করা ওজন (conditioned weight, ) zC, I - জাপান বহুদিন পূৰ্ব্বে কণ্ডিশন পরিয়া তবে রেশম চালান দিবার বন্দোবস্ত করিয়াছিল। ইয়োকোহাম শহরের কণ্ডিশনাগার পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ববৃহৎ । এখন জাপানে কোবে শহরে চালানী রেশমের জন্য দ্বিতীয় কওিশনাগার আছে । আর জাপানের ভিতর যেখানে যেখানে বয়নের জন্য রেশম স্থতার বেশী ব্যবহার আছে সেই সেই স্তানে, এমন কি গ্রামেও কণ্ডিশনাগার স্থাপিত হইয়াছে। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, ইংলণ্ডের লণ্ডন শহরে, ফ্রান্সের লিয় শহরে, ইতালীর মিলান শহরে এবং চীনের সাঙ্গাই ও ক্যাণ্টনে কণ্ডিশনাগার আছে । রেশম-শিল্পের নানা বিভাগের সামঞ্জস্য রেশমের ব্যবহার ও কাটতি মোজা কাপড় প্রভৃতি বুননের জন্য । ভাল স্বতা ন হইলে ভাল কাপড় হইতে পারে না। ভাল গুটী ও ভাল কাটাই হইলে তবে ভাল স্থত হয়। ভাল গুটীর জন্য ভাল জাতের পলু প্রয়োজন ; আবার পলুপালনের সাফল্যের জন্য পরীক্ষিত নিরোগ ডিম প্রয়োজন। নিরোগ ডিম উৎপাদন সৰ্ব্বত্রই সরকারী তত্ত্বাবধানে না হইলে ভালরপে হওয়া সম্ভব নয় । পলুপালক সঙ্গে সঙ্গে গুটী বিক্রয় করিয়া নগদ পয়সা পাইলেই সন্তুষ্ট হয় এবং বেশী বেশী গুটী উৎপাদন করিতে থাকে। স্থতাকাটাইকারী ব্যাপারী বা বানক গুটী ক্রয় করে এবং গুটী না হইলে তাহাদের কার্য্য চলিতে পারে না। স্বত ক্রয় করে স্বদেশী বিদেশী বয়নকারী ও পাকারের। পাকদারের বয়নকারীদিগকেই পাকোয়ান স্বতা বিক্রয় করে । বয়নকারীরা যেমনটি চায় সেইরূপ স্বত কাটাই করিতে পারিলেই স্থত বিক্রয় হয়। বাজারে যেরূপ মালের কাটতি সেইরূপ মাল উৎপন্ন করিতে পারিলে বয়নকারীদের মাল বিক্রয় হয়। অবশু সৰ্ব্বত্রই যত গতায় সম্ভব মাল উৎপাদন ও বিক্রয় প্রয়োজন। এখন সহজেই বুঝা যাইবে, রেশম-শিল্পের ভিন্ন ভিন্ন শাখা কিরূপে পরস্পরের উপর নির্ভর করিতেছে। এই সকলের সামঞ্জস্ত করিতে পারিলেই সমস্ত রেশম-শিল্পের উন্নতি। পরীক্ষা, ३ॐ -- ॐ इाश्चाङ्गि ८ेशंष नििश्च ২২৫ গবেষণা, আধুনিক উন্নত পন্থা ও যন্ত্রপাতি দ্বারা জাপান সমস্ত শিল্পের সামঞ্জস্ত সাধন করিয়াছে, তাই রেশম-শিল্পে অগ্রণী হইয়াছে এবং প্রভূত ধন সঞ্চয় করিতেছে। রেশম-বয়ন গার্হস্থ্য র্তাতেই উত্তম হয় এবং এই তাত বিজলী-চালিত হইলে বয়নকাৰ্য্য উত্তম ও শীঘ্র হয় । রেশম-উৎপাদন-শিল্পে সরকারী সাহায্য রেশম-উৎপাদন-শিল্প, বিশেষ করিয়৷ পলুপালনকাৰ্য, সরকারী সাহায্য ব্যতীত কোন দেশেই সাফল্য লাভ করে নাই । এই কাৰ্য্য কৃষকের উপশিল্প। যে কৃষকের বহু জমিজমা আছে, ধান কলাই আকৃ প্রভৃতি বহু পরিমাণে উৎপন্ন হয়, সেইরূপ ধনী রুষক প্রায়ই পলুপালনকার্য্যে প্রবৃত্ত হয় না। যাহার জমি অল্প ও আয় কম তাহারই উপশিল্প দ্বারা উপরি আম্বের প্রয়োজন হয়। সৰ্ব্বত্রই এইরূপ কৃষকই পলুপালন করে এবং ইহাদের পক্ষে পলুপালন সমস্ত গৃহশিল্পের মধ্যে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট উপশিল্প। জাপানের কৃষকদের জমি অল্প; ইহাই জাপানের রেশম-শিল্পের চলনের এক প্রধান কারণ । এখন সহজেই বুঝা যাইবে, পলুপালনকাধ্যে সরকারী সাহায্য কেন প্রয়োজন। উপরে প্রদত্ত জ্ঞাতব্য বিষয়সকল হইতে দৃষ্ট হইবে যে, স্বল্প জমির মালিক দুঃস্থ ক্লষক পরিবারের পক্ষে পলুপালনের সাফল্যের জন্য সরকারী সাহায্য ব্যতীত সমস্ত বন্দোবস্ত অসম্ভব। কোন কোন দেশে পলুপালনের সর্ববিষয়ে উন্নতির জন্য পরীক্ষা ও গবেষণা প্রভৃতির ব্যয় ছাড়া তুতের জমি বৃদ্ধির জন্য, বেশী পরিমাণ পালুপালন করিয়া বেশী গুটী উৎপাদন করিলে এবং বেশীসংখ্যক কাটাই ঘাই চালাইলে সরকার হইতে অর্থসাহায্য করা হয় ; কারণ পালনকার্য্যের বুদ্ধি হইলে কাটাই ফেরাই পাকাই বয়ন এবং গুটী ও স্বতার ব্যবসায়ে বহু লোকের জীবিকার উপায় হয়। বিদেশ হইতে আমদানি বস্ত্র প্রভৃতির উপর সংরক্ষণ-শুল্কের প্রভাব - এখন বিদেশী চিনির উপর গুৰু স্থাপন করাতে দেশে শীঘ্ৰ আকের চাষ বাড়িয়া কত নূতন চিনির কল স্থাপিত হইয়াছে তাহা সকলেই অবগত আছেন। ইংলণ্ড, ফ্রান্স, স্বইজারলও, জামানী, অস্ট্রিয়, রুশিয়া এবং আমেরিকার