পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२३७ ఏరిజం যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি রেশমী বস্ত্র এবং পাকোয়ান স্বভার উপর গুদ্ধের প্রভাব ঐসকল দেশের রেশম-শিল্পের উপর কিরূপ হইয়াছিল তাহার লক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া যাইতেছে।. ইংলণ্ডে যতদিন আমদানি বস্ত্র ও স্বতার উপর গুৰু ছিল ততদিন রেশম-শিল্প ( বয়ন ) বেশ ভালই চলিয়াছিল। ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে গুৰু উঠাইয়া দিবার সঙ্গে সঙ্গেই রেশম-শিল্পের অবনতি হয়। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে আবার গুস্ক স্থাপিত হইলে উন্নতি হইতে থাকে। ফ্রান্সে ১৮৯২ খৃষ্টাব্দ হইতে শুষ্ক স্থাপিত হয় এবং ঐ গুদ্ধের জোরেই ফ্রান্সের বয়ন-শিল্প টিকিয় আছে। ইংলণ্ড যখন শুদ্ধ উঠাইয় দিল অষ্টিয়া তখন শুদ্ধ স্থাপন করিল এবং ইংরেজ কারিগর, ইংরেজের মূলধন এবং ইংলণ্ডে উদ্ভাবিত যন্ত্রের সাহায্যে অষ্টিয়ার শিল্প গড়িয়া উঠিল। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের রেশম-বয়ন শিল্প পৃথিবীর মধ্যে প্রধান। পৃথিবীতে যত রেশম স্থতা উৎপন্ন হইয়। বিক্রয় হয় তাহার অর্ধেকের বেশী আমেরিক আমদানি করিয়া ব্যবহার করে। ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দে পাকোয়ান স্থত এবং রেশমী বস্ত্রের উপর স্থল-বিশেষে শতকরা যাট মুদ্রা পৰ্য্যন্ত গুপ্ত স্থাপন করিবার পরই এই শিল্পের উন্নতি আরম্ভ হয়। এই সকল দেশেই কাচা রেশম বিনী-গুন্ধে আমদানি করা হয় । বাংলার রেশম-শিল্পের উন্নতি ও বিস্তারের জন্ত এখন কি প্রয়োজন প্রধান প্রয়োজন হইতেছে উপরে যে সামঞ্জস্যের কথা বলিয়াছি সেই সামঞ্জস্তসাধন । বাংলায় ব্যবহারশিল্প -(utilization-awa) qwR òso¡rita ft. ( productionপলুপালন ও স্বতী-কটাই ) দুই-ই বর্তমান, কিন্তু উভয়েরই বহু উন্নতি প্রয়োজন। তাতীরা মান্ধাতার আমলের যন্ত্র ও বন্ধনপ্রণালী ধরিয়া আছে। আধুনিক বাজারের সহিত তাহাদের সংযোগ স্থাপন আবশ্যক। তাহাদের মাল যত কাটিবে রেশম-শিল্পের অন্তান্ত শাখার ততই উন্নতি হইবে। সুতা পাকাই এবং রঙাই কাৰ্য পৃথক করিয়৷ তাতীদিগকে বয়ন ঘাঁহাতে শীঘ্র শীঘ্র হয় তাহার সাহায্য করিতে হইবে। এদেশে পাকাই ও রঙাই শিল্পের ক্ষেত্র রহিয়াছে। আর গা এবং নাদার কাপড় বুনিবার জন্ত বিজলী-চালিত জেফার্ড উীত গ্রহণ করিতে হুইবে । সমতল বাংলা ভূমিতে নদী থাকিলেও জলস্রোতের সাহায্যে বিজলী উৎপাদন সম্ভব হয় ত হুইবে না। কিন্তু হাতের কাছে কয়ল রছিয়াছে। কয়লার সাহাধ্যে বিজলী উৎপাদন করিয়া সস্তা বিজলীর সাহায্যে তাত চালাইতে পারিলেই আমাদের ऍउँदा সকলের সহিত প্রতিযোগিতা করিতে পারিবে। এক কেন্দ্রস্থানে, যেমন শ্রীরামপুর বয়নস্কুলে বিজলী তীতের ব্যবহারশিক্ষার বন্দোবস্তের প্রয়োজন । বাজার বুঝিয়া তাতীরা কি বুনিবে তাহার বন্দোবস্ত এবং উৎপন্ন কাপড় নমুনার মত হইল, কি-না এবং কোন দোষ আছে কি-না দেখিয়া চালান দিতে পারিলে শীঘ্র বাজার পাওয়া যাইবে । এখন ইহাই বয়ন-শিল্পের উন্নতির একমাত্র উপায় । উৎপাদন-শিল্প বা পলুপালন ও স্বত-কাটাইয়ের উন্নতি কিরূপে সম্ভব, প্রায় পচিশ-ছাব্বিশ বৎসর নানাবিধ রেশম ( এবং তসর ও এণ্ডি পলু) লইয়া কাৰ্য্যের অভিজ্ঞতার ফলে আমার যতদূর জ্ঞান হইয়াছে তাহ সংক্ষেপে বলিতেছি। ইহার জন্য প্রথম প্রয়োজন ভাল জাত পলু। ব্ৰহ্মদেশের রেশমবিভাগ আমারই হাতে গঠিত। এখানে তের বংসর পূৰ্ব্বে কাৰ্য্য আরম্ভ করিবার সঙ্গে সঙ্গে মেমিও শহরে গবেষণাগার স্থাপন করিয়া পলুর উন্নতির কার্ধ্য আরম্ভ করিয়াছিলাম। ব্ৰহ্মদেশে বাংলার নিস্তারি ও ছোট পলুর মত দুই জাত বহুচক্ৰী পলু ছিল। ইহাদের গুটী এত পাতলা এবং ফেলো এত বেশী যে, এক একটি গুটী হইতে দেড় শত হইতে দুই শত গজের বেশী খাই মিলিত না । 會 ইতালীয়, ফরাসী, চীনা ও জাপানী এ চক্ৰী পলু লইয়া বহু পরীক্ষার ফলে বুঝিতে পারিয়াছি, ঐ সকল দেশ হইতে ডিম আনিয়া পালন করা অসম্ভব। তাহারা পরীক্ষিত নিরোগ ডিম পাঠাইলেও এখানে পলুদের পেত্রিন হয়। ঠাগু দেশে তাহাদের রোগ দেখা না দিলেও প্রতিবারই এখানে পেত্রিন হইয়াছে। ১৯৩০ খৃষ্টাব্দে যখন ইতালীতে ছিলাম তখন ঐ দেশের প্রধান রেশম গবেষণালয়ের কৰ্ত্তার সহিত পরামর্শ করিয়া চারি প্রকার ইতালীয় পলু লইয়া আসিয়াছিলাম। তাহদেরও এখানে পেক্রিন হয় কিন্তু কম এবং ইহাদের এক জাত বহু বাছাই ও পরীক্ষা করিয়া মেমিওতে তিন বৎসর পালন করিতেছি। ইহা পেক্রিনশূন্ত হইলেও এদেশের আবহাওয়ার দরুণ এবং গাছ তুতের পাতা না হইলে পালনকাৰ্য্য সাধারণ লোকের পক্ষে