পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৭ সম্ভব নয়। এদেশে থাকিতে থাকিতে পরে সম্ভব হয় কি-না বলা যায় না। ইহাদের ডিম ডিসেম্বর হইতে মে মাস পর্যন্ত চল্লিশ ডিগ্রি ঠাণ্ডায় রাখিতে হয়। এখন উৎকৃষ্ট একচকী পলুপালনের সাফল্যের আশা কম। নিস্তারি পলুর সহিত ইতালীয় পলুর সক্ষরতাসাধন করিয়াই উত্তম ফল পাইয়াছি। ইতালীয় চোকৃড়া এবং নিস্তারী চোকৃড়ীর সঙ্গমে উৎপন্ন ডিম সাধারণ নিস্তারি ডিমের মতই প্রথম বংশে ফুটে এবং এই সঙ্কর পলুর গুটীতে নিস্তারি গুটীর প্রায় দ্বিগুণেরও বেশী রেশম থাকে এবং এক একটি গুট হইতে প্রায় ৬০-৭০০ গজ খাই পাওয়া যায়। এই পলু সহজেই পালন করা যায়। এই সঙ্করের দ্বিতীয় বংশের ডিম কিন্তু সাধারণ ভাবে ফুটে না। এইরূপ সঙ্করের প্রথম বংশের ডিম পলুপালকদিগকে সরবরাহ করিতে পারিলে তাহার এক বন্দেই সাধারণ নিস্তারি ছোট পলুর দুই-তিন বন্দের সমান ফল পাইবে । সুবিধামত স্থানে কোন কেন্দ্রে কার্য্যের বন্দোবস্ত করিতে পারিলে এইরূপ ডিম সরবরাহ কর। কঠিন নয়। ইহা পলুর উন্নতির এক উপায়। জাপানে সমস্ত পলুই প্রায় বিভিন্ন একচক্ৰী পলুর সঙ্করের প্রথম বংশ হইতে পালিত হয়। কারণ এইরূপ সঙ্কর হইতে খাটি পলু অপেক্ষা বেশী রেশম পাওয়া যায়। এইরূপ সঙ্করের পর পর বহু বংশ পালন করিয়া ইহা হইতে বহুচক্রী সঙ্কর পলু কয়েকটি পাইয়াছি। সঙ্করত। সাধন করিয়া বহুচক্রী সঙ্কর পাইতে প্রায় পাঁচ-ছয় বৎসর সময় লাগে। এই সকল সঙ্কর বহুচক্ৰী পলু ব্ৰহ্মদেশের প্রায় সৰ্ব্বত্রই পালিত হইতেছে এবং পলুপালনকার্ধ্যও বাড়িতেছে। ইহাদের গুটী শক্ত এবং গুটীতে প্রায় নিস্তারির গুটীর দেড়গুণেরও বেশী রেশম থাকে এবং এক একটি গুটী হইতে প্রায় পাঁচ-ছয় শত গজ খাই পাওয়া যায়। কাটাই করিয়া চীনা রেশমের মতই রেশম পাওয়া যায়। এই সকল বহুচক্রী সঙ্করের বাট-সত্তর বংশ পালন করিয়া দেখিয়াছি যে ইহাদের গুণের ক্রমে ক্রমে কিছু লাঘবত হয়। কিন্তু এই সকল লম্বরের সহিত আবার ইতালীয় পলুর সম্বরতা সাধন করিয়া উত্তম বছচকী সম্বর পলু পাওয়া গিয়াছে। ইহাদের গুটীতে প্রায় আড়াই হইতে তিন গ্রেণ রেশম থাকে <श्वर मक ७कैsणै श्रेष्ऊ इश-गाऊ नङ गंज शाहे गNआ षां★ । এখন স্পষ্টই ধো বাইজেছ যে, গবেষণালয়ে উৎকৃষ্ট পলু উৎপাদন করা কঠিন নয় এবং বাংলার প্রয়োজনীয় বহচক্ৰী উৎকৃষ্ট পলুর ডিম সরবরাহও কঠিন নয়। - জাপানে এপ্রিল হইতে অক্টোবর মাসের মধ্যে দুই কি তিন বন্দ পলু পালিত হয়। গুটী শুকাইয়। রাখিয়া সমস্ত বৎসর ধরিয়া কাটাই করা হয়। এই কাটাই কাধ্যে প্রায়, পাচ লক্ষেরও উপর কাটানী কাৰ্য্য পায় । বাংলার বহুচক্রী গুটার দোষ এই যে, মাসখানেকের মধ্যে কাটাই না করিলে তার পর ভাল কাটাই হয় না। উপরে বর্ণিত প্রথম বংশ সঙ্কর গুটী সাত-আট মাস পর্যন্ত বেশ কাটাই হয়। বহুচক্রী সঙ্কর গুট দুই-তিন মাসের বেশী ভাল থাকে না। কিন্তু পুনঃ পুনঃ সম্বরতা স্বারা যে উত্তম গুণবিশিষ্ট প্রায় একচক্ৰী গুটীর মত বহুচক্র গুটী পাওঁয়া সম্ভব তাহ স্পষ্টই বোধ হইতেছে। অনেক বৎসরে ইহা সাধিত হইতে পারে । - পলুর উন্নতি কিরূপে সম্ভব হইয়াছে এবং কিরূপে আরও উন্নতি সম্ভব বলা গেল । এখন কাটাই কাৰ্য্য কিরূপে সহজে এবং ভালরূপে হয় তাহা বলিতেছি । বাংলার দুর্ভাগ্য ষে এখন এই বিষয় নূতন করিয়া গড়িতে হইবে। দশ-পনের বৎসর পূৰ্ব্বেও বাংলায় এমন বানক ছিল যেখানে পাচ-সাত শত কাটানী ও ঘুরানী কাৰ্য্য করিত। বিলাতে বাংলার স্বতার আদর কমিয়া যাওয়াতে এই সকল বানক বন্ধ হইয়া যায় এবং মোটা খংরু কাটাই চলিতে থাকে, ফলে পালনকাৰ্য্য অনেক কমিয়া যায়। চীন-জাপান হইতে যেরূপ ভাল স্বতা আমদানি হইতেছে তাহাতে মনে হয় খংরুর ব্যবহার ক্রমে বন্ধ হইয়া যাইবে । অতএব কাটাইয়ের ভাল বন্দোবস্ত শীঘ্রই প্রয়োজন। জাপানে কাটাই যন্ত্রের বহু উন্নতি হইয়াছে। দেখিয়া-গুনিয়া আমি ব্ৰহ্মদেশের জন্য ১১ নং চিত্রে প্রদর্শিত প-যন্ত্রেরই আমদানি করিয়াছি । ইহাতে যে-কেহ তিন-চার মাস অভ্যাস করিয়া ভাল স্বতা কাটিতে পারে এবং এই যন্ত্র বসিবার ঘরে রাখিয়াও কাজ করা যায়। এইরূপ যন্ত্র দশ-পনেরটি চালাইতে চালাইতে ছোট বানক করা যায় এবং ছোট বানক হইতে বড় বানক করা যায়। জাপানে এখনও এইরূপ পা-যন্ত্ৰ হইতে বানক গঠিত হইতেছে। বানকের যন্ত্র জাপান হইতেই জানিতে হইবে। মাত্র চারি ঘাইয়ের ছোট