খাটে। রাসায়নিক মৌলিক পদার্থের তালিকায় স্বর্ণ লৌহ গন্ধক প্রভৃতি নামের সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন ক্লোরিন সোডিয়ম থাকবে। ফরমুলা লিখতে ইংরেজী বর্ণই লিখব (কারণ, ইংরেজী বর্ণমালা আমাদের অপরিচিত নয়), অঙ্ক বাংলাতেই লিখব। সাধারণত: লিগব— ‘লৌহ কঠিন, পারদ তরল । লেখবার কালি তৈয়ার করতে হিরাকষ লাগে’ । কিন্তু দরকার হলেই নিৰ্ভয়ে লিখব--'ফেরস সলফেট,অর্থোডাঙ্গক্লোরেবেনজিন, ম্যাগনেসাইট, রুমকফ কয়েল, ইলেক্ট্রন । শ্ৰীযুক্ত মণীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংল। রাসামুনিক পরিভাষা রচনায় আশ্চয্য কৌশল দেখিয়েছেন । কিন্তু সে পরিভাষা কল্পাস্তে ও চলবে না। 'এণ্টিমনি থাম্রোফস্ফেট এর চেয়ে মণীন্দ্রবাবুর অস্তমনসগুস্বভাস্ফেত কিছুমাত্র শ্রুতিমধুর বা স্থবোধ্য নয়। রামেন্দ্রসুন্দর লিখেছেন–‘ভাষা মূলে সঙ্কেতমাত্র । আমরা বিদেশী পারিভাষিক শব্দকে রূঢ়-অর্থ-বাচক সঙ্কেত হিসাবেই গ্রহণ করব এবং তার প্রয়োগবিধি শিখব । যার কৌতুহল হবে তিনি ‘অক্সিজেন, এন্টিমনি প্রভৃতি নামের ব্যুৎপত্তি খোজ করবেন, কিন্তু সাধারণের পক্ষে রূঢ় অর্থের জ্ঞানই যথেষ্ট । জীববিদ্যাতেও ঐ নিয়ম । ‘কাষ্ঠ, অস্তি, পুপ, অগু চলবে ; প্রোটোপ্লাজ ম্, হিমোগ্লোবিন, ক্রোমোসম, ভাঙ্গটামিন’ মেনে নিতে হবে । ৫ । বৰ্গবাচক শব্দের প্রাচীন বা নবরচিত দেশী নাম সহজে চলবে, যথা——‘ধাতু, ক্ষার, অম, লবণ, প্রাণী, মেরুদণ্ডী, তৃণ। কিন্তু যেখানেই শব্দ রচনা কঠিন হবে সেখানে বিনা দ্বিধায় ইংরেজী নাম নেওয়া উচিত। বোধ হয় বর্গের উচ্চতর *f*T ( element, compound, phylum, order, genus, species, endogen, ungulata ) (Vol zffঅনায়াসে চলবে । কিন্তু নিম্নতর শাখায় বহুস্থলে ইংরেজী নাম মেনে নিতে হবে, যেমন—‘হাইড্রোকাবন, অক্সাইড, গোরিল, হাইড্রা, ব্যাকটিরিয়া’। ৬ । ভাব বিশেষণ ও ক্রিয় বাচক শব্দের অধিকাংশই to o oso I survival, symbiosis, reflection, gaseous, octahedral, decompose, প্রভৃতির দেশী প্রতিশব সহজে চলবে । কিন্তু রূঢ় শব্দ ইংরেজীষ্ট নিতে হবে, যথা— ‘গ্রাম, মিটার, মাইক্রন, ফারাড' । polarization, density. effervesce Sన9BO বহুস্থলে একটি ইংরেজী শব্দের সঙ্গে সঙ্গে তৎসম্পকিত (cognate ) আরও কয়েকটি শব্দ নিতে হবে। ফোকস, ফিনল, অক্সাইড, মিটার’ এর সঙ্গে ‘ফোকাল, ফিনলিক, অক্সিডেশন, মেটক চলবে। ছাপাখানার ভাষায় যেমন ‘কম্পোজ করা চলছে, রাসায়নিক ভাষায় তেমনি ‘অক্সিডাইজ করা চলবে । * - ৭ । বাংলায় ( বা সংস্কৃতে ) কতকগুলি পারিভাষিক শব্দ আছে যার ইংরেজী প্রতিশব্দ নেই, যথা - শুক্লপক্ষ, *R* (winged insect), Goss (circle “utting equinoctial at right angles), EPI (both shadow and transmitted light), oilo (limb of a limb) পরিভাষার তালিকায় এইসকল শব্দকে সযত্নে স্থান দিতে হবে । ৮ । দেশী পরিভাষা নিৰ্ব্বাচনকালে সৰ্ব্বত্র ইংরেজী শব্দের অভিধ (range of meaning) যথাযথ বজায় রাখার চেষ্টা নিম্প্রয়োজন । যদি কোনো কোনে স্থলে দেশী শব্দের অর্থের অপেক্ষাকৃত প্রসার বা সঙ্কোচ থাকে তবে ক্ষতি হবে ন-যদি নিরুক্তি (definition) ঠিক থাকে। প্রসার, যথ wofoi=finger ; toe | সঙ্কোচ, যথ} বায়বীয় । ৯ । বিভিন্ন বিদ্যায় প্রয়োগকালে একই শব্দের অল্পাধিক অর্থভেদ হয় এমন উদাহরণ ইংরেজীতে অনেক আছে । এরূপ ক্ষেত্রে বাংলায় একাধিক পরিভাষা প্রয়োগ করাই ভাল ; কারণ, বাংলা আর ইংরেজী ভাষার প্রকৃতি সমান নয়।
- H sensitive
fluid=Row: ; sensitive balance, শব্দের সমান ব্যঞ্জন (connotation) বিশিষ্ট বাংলা শব্দ রচনার কোনও প্রয়োজন নেই, একাধিক শব্দ প্রয়োগ করাই ভাল। পক্ষান্তরে এমন বাংলা শব্দগু আছে যার সমান ব্যঞ্জন বিশিষ্ট ইংরেজী শব্দ নেই, যেমন ‘বিন্দু’=drop : poiut ; spot । এস্থলেও ইংরেঙ্গীর বশে একাধিক শক রচনা নিম্প্রয়োজন । mind, sensitive photographic plate sensitive যারা বাংলা পরিভাষার প্রতিষ্ঠার জন্য মুখ্য বা গৌণ ভাবে চেষ্টা করছেন, তাদের কাছে আর একটি নিবেদন জানিয়ে এই