পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ঔe লাগিল, এবং আর এক বুলিতে সে ধরাশায়ী হইল। আমার দক্ষিণ হস্ত যে এক মুহূর্তের মধ্যে এই কাৰ্য সম্পাদন করিল, তাহা আমি নিজেও বুৰিতে পারি নাই। এই সময় সেই নারীবৃন্দ "ব্র্যাভো” “ব্রাভো” বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিল, এবং সেই মদের দোকানদার “পুলিস পুলিল” বলিয়া চেচাইলে কয়েক জন কনেষ্টবল আসিয়া আমাকে ধরিল । দেখিতে দেখিতে সেখানে বিস্তর লোক জমিয়া গেল। নারীগণ “বন্দেমাতরমূ” “গান্ধীমহারাজকী জয়” ইত্যাদি বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন। এই সময় একজন অশ্বারোহী পুলিস সার্জেণ্ট আসিয়া ঘোড়া চালাইয়া দেওয়ায় জনতা ছিন্নভিন্ন হইয়া গেল। একজন উপরিস্থ পুলিস কর্মচারী, বোধ হয় ইনস্পেকটার, আসিয়া আমাকে থানায় লইয়া যাইবার হুকুম দিল। তখন একটা বাস গাড়ীতে প্রহরিবেষ্টিত হইয়৷ আমি থানায় নীত হইলাম। রাত্রি আটটার সময় স্বকুমার থানায় আসিল এবং আমাকে জামিনে খালাস করিতে চেষ্টা করিল ; কিন্তু থানার ভারপ্রাপ্ত কৰ্ম্মচারী উপযুক্ত জামিনদ্বারের অভাবে আমাকে ছাড়িলেন না, পরদিন কোর্টে হাজির করিবেন বলিলেন। স্বকুমার তাহাদের বাড়ী হইতে আমার জন্য অনেক খাবার আনিয়াছিল, আমি তাহ খাইয়া হাজত ঘরে গুইয়া রহিলাম। পরদিন বেলা সাড়ে দশটার সময় চীফ প্রেসিডেন্সী ম্যাজিষ্ট্রেটের কোর্টে আমাকে লইয়া গেল। আমি কোর্ট হাজত ঘরে বসিয়া আছি, এমন সময় স্বকুমার, শঙ্কর, নীরু দেবী ও তাহার তিনটি সর্থী আমাকে দেখিতে আসিলেন। শুনিলাম সেই দিনই মোকদ্দমার বিচার হইবে। শঙ্কর আমাকে বলিল, “কি রে কিশোর, তুই কবে থেকে এত বড় স্বদেশী হয়ে উঠলি ? আমার যেটুকু গৌরব ছিল তা তুই একদিনেই হরণ করলি। কাল আমারই ঐ নারীবাহিনীর সঙ্গে বাহির হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বাবা হঠাৎ জানতে পেরে আমাকে বেরুতে দিলেন না। তিনি আশা করেন, কালে আমি একজন মুনসেফ হয়ে তার মুখ উজ্জ্বল করব । পরে আমি পালিয়ে এসে সব ব্যাপার শুনলুম। যাক সে কথা। এখন এই মাতৃযজ্ঞে নিজেকে পূৰ্ণাহুতি দিবি, না খসে পড়বি ?” স্বকুমার বলিল, “কিশোর, আমি তোমার জন্য একজন সমর্থন ) করতে প্রস্তুত আছেন। তোমার মত কি ?” ” নীর দেবী বলিলেন, “দেখুন, আপনি আবশ্ব এসব ব্যাপারে মহাত্মা গান্ধীর মত জানেন । তিনি সকলকে নন-কে+ অপারেশন করতে বলেছেন । এই জন্ত দেখুন আমাদের কত শত ভাই-ভগিনী কোন প্রকারে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা না করে আমানবদনে কারা বরণ করছেন । আপনি কি তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন, না উকীল দিয়ে মোকদ্দমা চালাবেন ?” আমি বলিলাম, “আমি মোকদম চালাব না, তাদের পথ অনুসরণ করব ।” - শঙ্কর হাসিয়া বলিল, “এবার তোর প্রেমযজ্ঞেরও পূর্ণাহুতি দেওয়া হবে।” এই সময় পুলিসের একজন প্রধান কৰ্ম্মচারী আসিয়া আমাকে ম্যাজিষ্ট্রেটের এজলাসে লইয়া চলিল। আমার বন্ধুবৰ্গও আমার সঙ্গে সঙ্গে কোর্টে উপস্থিত হইল। ম্যাজিষ্ট্রেট আমার বিচার আরম্ভ করিলেন। সেই মাতালটি বাদী হইয় প্রথমে এজাহার দিল । সে বলিল, সে মদ কিনিতে দোকানে ঢুকিতেছিল, এই সময় একটি স্ত্রীলোক তাহাকে বাধা দিল, সে বাধা না মানায় আসামী তাহাকে নাকে ঘুসি মারিয়া জখম করিল এবং আর এক ঘুসি দিয়া মাটিতে ফেলিয়৷ দিল । নীরু দেবীকে অপমানসূচক কথা বলা সম্বন্ধে সে কিছুই বলিল না, এ-সম্বন্ধে কেহ তাহাকে জেরাও করিল না। পরে মদের দোকানদার জবানবন্দী দিল, সে ঐ মাতালের কথা সমর্থন করিল। ইহার পরে একজন কনেষ্টবল যে আমাকে প্রথম গ্রেপ্তার করিয়াছিল, সেও ঐ কথার সমর্থন করিল। একজন ডাক্তার বাণীর জখম পরীক্ষা করিয়াছিলেন, র্তাহারও জবানবন্দী হইল । পরে ম্যাজিষ্ট্রেট আমার জবাব কি জিজ্ঞাসা করিলেন। আমি বলিলাম—“আমি কোন জবাব দিব না।” একজন উকীল টিটকারী দিয়া বলিলেন, “এ ছোকরা ७क्णन नन्८क-चोरेङ्ग, भशस्त्र भाफैँौङ्ग cध्ण। তবে ঐ লোকটাকে বুলি মারলে কেন বাবা ? মহাত্মা গান্ধী ত অহিংসাঁনীতি প্রচার করেন " - cवां५. इंब. बेनि बाशैब फेकौन। भामि अशद्र क्षब्रि