পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BBB BBB BB BBBBB BBBB BSS BBB SBBB BBBB BBBBBB BBBS BBB DDS রছিলাম। প্রগতির মেম্বরদিগের পিকেটিঙে সাহায্য করবার জন্ত, ম্যাজিষ্ট্রেট সরাসরি বিচার শেষ করিয়া রায় লিখিলেন এবং হুকুম দিলেন,—আসামীর তিন মাস সশ্রম কয়েদ । পুলিস আমাকে তৎক্ষণাং কোর্টের হাজতে লইয়া গেল । আমার বন্ধুগণ আমার সঙ্গে দেখা করিতে আসিল । নীরু দেবী মৃদু হান্ত করিয়া বলিলেন, “এবার আপনার জীবন সার্থক হইল।” এই বলিয় তিনি আমার গলায় একটা বড় ফুলের মাল পরাইয় দিলেন। তাহার সখীগণও সেই সঙ্গে আমাকে মালা পরাইলেন। আমি যেন হাতে স্বর্গ পাইলাম। যথাসময়ে আমাকে অন্য অনেক আসামীর সঙ্গে একটা গাড়ীতে জেলখানায় লইয়া গেল। আমার বন্ধুগণ তত ক্ষণ অপেক্ষা করিতেছিল। তাহারা “বন্দেমাতরমূ” ইত্যাদি বলিয়া চীৎকার করিতে করিতে আমাকে বিদায় দিল । Eళెక్ర జఆ নীহারিকার কথা X কিশোরের গলায় মাল দিয়া তাহাকে জেলখানায় বিদায় করিয়া আমি বিষণ্ণ চিত্তে বাড়ী ফিরিলাম। যতক্ষণ কোর্টে ছিলাম, ততক্ষণ বিজয়ের উল্লাসে ও সর্থীদের সহিত হাস্যালাপে বেশ কাটিয়াছিল। যদি বল বিজয়ের উল্লাস কিসে ? কিশোর প্রকৃত নির্দোষ হইয়াও বিজয়ী বীরের ন্যায় কারা বরণ করিল, ইহাতেই আমাদের উল্লাল। কিন্তু সন্ধ্যাকালে যখন বাড়ী ফিরিয়া আসিলাম তখন সে উচ্ছ্বাস কাটিয়া গেল, ক্রমে বাস্তব জগতে আসিয়ু পড়িলাম। দাদা গাড়ীর মধ্যে আমার সঙ্গে একটা কথাও বলে নাই, মুখ ভার করিয়া বসিয়াছিল। বাড়ী আসিয়া জাহারাদির পর যখন ঘরে বসিলাম, তখন দাদা স্বলিল, “কেমন রে নীরু, কিশোরকে জেলে দিয়ে তোর কেমন লাগছে ? মনে একটুও অমৃতাপ হচ্ছে না ?” আমি বিস্থিত হইয়া বলিলাম, “সে কি কথা ? আমি উাকে কিরূপে জেলে দিলুম, আর তার জন্ত অনুতাপই বা কিলের ?” দাদা বলিল, “তোর জন্তেই সে বেচারা জেলে গেল ” আহ্বান, তার সেই জন্ত বীরত্ব প্রকাশ, পূরে পুলিল কোর্টে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে না দেওয়া, এ সকল ত তোরই কীৰ্ত্তি। আমি যে উকীল ঠিক করেছিলুম, তিনি বলেছিলেন, মোকদম ডিফেও (সমর্থন) করলে সত্য ঘটনা প্রকাশ পাবে, তাতে কিশোরের কিছুতেই জেল হ’ত না, বড়জোর কুড়ি-পঁচিশ টাকু জরিমান হ’ত ” আমি একটু দমিয়া গয়া বলিলাম, “আমি এত সব বুঝি না। উপস্থিত ক্ষেত্রে আমি যা কৰ্ত্তব্য বলে বুঝেছি, তাই করেছি। তিনি আমার কথা ন শুনলেই পারতেন? শঙ্করবাৰু ত পিকেটিঙে যান নাই ।” 劉 দাদা বলিল, “কিশোর কি তা পারে রে ? সে যে এখন তোর জন্যে প্রাণ পৰ্য্যন্ত দিতে পারে ।” আমি বলিলাম, “যাও, আমি কারু প্রাণ-ট্রান চাই নে, আমি চাই আমার কৰ্ত্তব্য কোন রকমে করে যেতে।” - দাদ বলিল, “তুই জানিস্ তোর কর্তব্য হচ্ছে কিশোরকে বিয়ে করা। প্রথমতঃ, মায়ের মৃত্যুশয্যার আদেশ ; দ্বিতীয়তঃ, কিশোর তোকে ভালবাসে—” আমি বিরক্ত হইয়া বলিলাম, “তুমি থামে, থামে—বিয়ে বিয়ে ক’রে যদি আমাকে এ রকম জালাতন কর, তবে আমি এক দিকে চলে যাব।” “বটে কোথায় যাবি ?” “আমি কাক গলগ্রহ হয়ে থাকতে চাইনে। আমি কারু র্তাবে থাকব না। আমি নিজের পাম্বে নির্ভর করে দাড়াতে চাই ।” "এ বুঝি তোর সেই নারীপ্রগতি দলের সঙ্গে মেশার ফল। এত দিনের পড়াশুনো, বি-এ পাস কর, এসব বুঝি চুলোয় যাবে ?” “আমি প্রাইভেট ষ্টুডেন্ট হয়ে বি-এ পরীক্ষা দেব। এ-সব মত ত আমার চিরদিনই আছে তুমি জান। মা আমার এক বন্ধন ছিলেন, সে-বন্ধন ছিন্ন হয়েছে। এখন আমি অসীম গগনের উন্মুক্ত বিহঙ্গম।” “কিন্তু মা তোকে যে-বন্ধনে বেঁধে গেছেন, লেরঞ্জ