পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবন্ধ শেষ করছি । সঙ্কলনের ভার র্যাদের উপর, তাদের কি রকম যোগ্যতা থাকা দরকার ? বলা বাহুল্য, এই কাজে বিভিন্ন বিদ্যায় বিশারদ বহু লোক চাই। তাদের মৌলিক গবেষণার খ্যাতি অনাবশ্যক, কিন্তু বাংলা ভাষায় দখল থাক একান্ত আবখ্যক । যে সমিতি সঙ্কলন করবেন, তু-এক জন সংস্কৃতজ্ঞ থাকা দরকার । এমন যিনি হিন্দী-উড় পরিভাষার খবর রাখেন । হিন্দীভাষী বিজ্ঞান-সাহিত্য-সেী সমিতিতে আরও ভাল হয় । তাদের মধ্যে লোকও চাই মূদি কোনে থাকেন তবে সৰ্ব্বোপরি আবশ্যক এমন গুণা-লোক যিনি শব্দের সৌষ্ঠব ও স্থপ্রযোজ্যত বিচার করতে পারেন, বিশেষতঃ সঙ্কলিত সংস্কৃত শব্দের । বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের আহবানে র্যার পরিভাস সঙ্কলন করেছেন তার সকলেই সুপণ্ডিত এবং - تتسمتناختتستتنتشتتناشتتتتس অনেকে একাধিক বিদ্যায় পারদর্শী। তথাপি বিভিন্ন সঙ্কলয়িতার ?Rrgc/F SfRE:U zgwzri R"rià I columnar, vitreous, adamantineএর প্রতিশব্দ একজন করেছেন--স্তিম্ভনিভ, কাচনিভ, হীরকনিভ’। আর একজন করেছেন- ‘স্তাম্ভিক, কাচিক, হৈরিক। শেষোক্ত শব্দগুলিই যে ভাল তাতে সন্দেং নেই। বিভিন্ন ব্যক্তি কর্তৃক প্রস্তাবিত শব্দের মধ্যে কোনটি উত্তম ও গ্রহণযোগ্য তার বিচারের ভার সাধারণের উপর দিলে চলবে না ; সঙ্কলন-সমিতিকেই তা করতে হবে । এনিমিত্ত সে বৈদগ্ধ আবশ্যক তা সমিতির প্রত্যেক সদস্থ্যের না থাকতে পারে, কিন্তু কয়েক জনের থাকা সম্ভব। অতএব, পরিভাস-সঙ্কলন বিভিন্ন ব্যক্তি দ্বারা সাপিত হলেগু শেষ নিৰ্ব্বাচন মিলিত সমিতিতেই হওয়া বাঞ্ছনীয় । সীমস্তিনী শ্ৰীসুশীলকুমার দে সুন্দরি, তুমি একদিন শুভরাতে এলে বধুবেশে সলঙ্গ-আঁখিপাতে ; চারিদিকে আলো, হাসি উতরোল, শানায়ের সুর, শঙ্খের রোল, সাপিতে সিঁদুর পরাষ্টম দিল্ল, রাথিতু হাতটি হাতে । মুগ্ধের মত, জানি না মুখে কি দুখে, মালাটি বদল করি কম্পিত-বুকে ; চাপার বরণে চেলি ঝলমল, হাতে কঙ্কন, পায়ে বাজে মল,--- তবুও ভাগ্য-ভীরু আমি চাহি মুখপানে উৎসুকে । ধূপধুমারুণ তরল তরুণ জাপি শুভদৃষ্টিটি আঁথিতে দিল কি আঁকি ? সাতটি পাকের কঠোর-মধুর আনিল কি মায়া-বাধন বধুর ? পড়ে গাঁটছড়া জীবনে জীবনে, প্রাণে প্রাণে পড়ে তা কি ? డ রস-পরিহাসে, ভূষণের ভঙ্গীতে, রক্ত-চরণে অলক্ত-ঈঙ্গিতে বাসরের রাতি আনে গৌরব ভাস্বর-ভাতি রূপ-সৌরভ,-- ভরিল জীবন এ কোন নূতন আনন্দ-সঙ্গীতে ? বাহিরে সে-দিন শ্রাবণের নতমেঘে ক্ষপ্তির স্থির ক্লান্তি রয়েছে জেগে ; ফোটে না জ্যোহ্মা, ডাকে না ত পিক, জাপারে এলায়ে পড়ে চারি দিক জাগি ক্ষণে-ক্ষণে বিদীর্ণ দুর বিদ্যুত-হাসি লেগে । ঘর ছাড়ি তুমি প্রভাতে চলিলে ঘরে, চোখে জল ঝরে, কনকাঞ্জলি করে ; মোর মুখে-দুখে- দুধে-আল তায় ডুবালে চরণ নব মমতায়, পড়ে কমলার আলিপনা বুঝি চিত্তের চত্বরে।