পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_অগ্রহায়ণ_ আছে, “মহামায়া প্রভাবেশ সংসারস্থিতিফরিঞ্চ " তারপর নারীর অপরাধ যতই হউক না কেন তাহারা যে সৰ্ব্বদাই ক্ষমাই তাহার সাক্ষ্য দিতেছেন তন্ত্রশান্ত্র, "গ্ৰীণাং শতাপরাধেন পুষ্পেনাপি ন তাড়য়েই ।” সুতরাং নারীর উপর যে-কোন অবস্থায়ই অত্যাচার চলিতে পারে না-ইহা নিছক সত্য । ধর্ষিতা নারীকে সমাজে পু গ্রহণ সম্বন্ধে শাস্ত্রের প্রমাণ খুজিলে আশা করি অনেক প্রমাণই পাওয়া যাইবে । কিন্তু আমি এখানে শাস্ত্রীয় প্রমাণ উদ্ধৃত না করিম পুরাতন সমাজের দুই-একখানি চিত্র অঙ্কিত করিতেছি । সকলেই বোধ হয় অবগত আছেন, বাংলার রাঢ়ী শ্রেণীর কুলীন ব্রাহ্মণগণের মধ্যে তেত্রিশটি মেলবন্ধন আছে। হরিকবীন্দ্র বিরচিত ‘মেলবন্ধন কারিকা’য় লিখিত আছে, নানা দোষের একত্র মিলনহেতু মেলের উৎপত্তি। পূৰ্ব্বে কুলীনসমাজে অসংখ্য দোষ প্রবেশ করিয়াছিল । গুণের পরিবর্তে ব্রাহ্মণসমাজে দোষেরই সমধিক প্রাবল্য ছিল । হোসেন শাহের রাজত্বকালে দেবীবর মিশ্র আবিভূর্ত হন। তিনিই দোষে দোষে মিলাইয়া কুলীনদের কুলবন্ধন করেন, ইহারই নাম মেলবন্ধন । দোষ নাই যার । কুল নাই তার ॥ “দোষানমিহ মেলনাং সমুদিত কুলঞ্জেন বৈ” (কুলতত্ত্বার্ণব ৫৯৪) আমি এখানে তাহারই দুই-একটা দৃষ্টান্ত দেখাইতেছি, যথা—“ফুলিয়ামেল” এই মেলে নাদ, ধাধ , বারুইহাট ও মুলুকদূরী দোষ আছে। ধাধা নামক খালের নিকট হাসাই নামক এক থানাদার থাঙ্কিত। শ্ৰীনাথ চট্টের (চট্টোপাধ্যায় ) দুই অবিবাহিত কন্য সেই খালে জল আনিতে যায়। হাসাই তাহাদিগকে ধরিয়া বলাংকার করে। ঐ কন্যান্বয়ের একজনকে গদাধর বন্দ্যোপাধ্যায় বিবাহ করেন। “জনাখ শ্ৰীনাথ স্বত ধাৰাঘাট স্বলে গতা । হামাই থানাঙ্গারেণ ঘবনেন বলাৎকৃত ॥” ( মেলমালা) শ্ৰীনাথ চট্টের ধাধা দোষ । বারুইহাটি গ্রামের ব্রাহ্মণ কস্তাগণের অবারিত মুসলমান সংশ্ৰবহেতু ঐ গ্রামে কেহ বিবাহ করিলে পতিত হইত। দেবীবর মিশ্রের কল্যাণে বাইহাটর ব্রাহ্মণগণ কুলীন গণ্য হইলেন। “গৰ্ব্বানীমেল” রাঘব গাজুলীর (গঙ্গোপাধ্যায়) কত لا الإمسجسحاذيه ७ जाग्नौब्र हॉम - श्रबियाश्छिा अवशबकवर्ड कर्बुरू इंटे श्छe पञ्चब्र बाश्द्रि হইয়া যায়। গোবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ‘কস্তাকে বিবাহ করেন। রাঘব গাঙ্গুলীর সঙ্গে সৰ্ব্বানন্দের , কুলবন্ধন হয় । “পণ্ডিতরীমেল" স্বৰ্য্য ঘোষালের কন্যাগণ অবিবাহিতা অবস্থায় নীচজাতি সংশ্রব ও ভ্রুণহত্যা পাপে দুষ্ট হয়। লক্ষ্মীনাথ যে-কন্যাকে বিবাহ করেন সে অবিবাহিত অবস্থায় নীচজাতির এক পুরুষের সহিত দুষ্ট হয়। পণ্ডিত্তরত্নের পিতামহ (বিষ্ণু) উহাদের সহিত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। এইরূপ ভুরি ভূরি প্রমাণ আছে। স্বতরাং দেখা যাইতেছে, পূৰ্ব্বে ঐরুপ করা হইত বলিয়াই হিন্দুজাতি আজও বিদ্যমান আছে । কিন্তু এখন সমাজে গোড়ামী এত অধিক বৃদ্ধি পাইয়াছে যে, স্ত্রীকে যদি একজন মুসলমান বা অন্ত কোন জাতি একবার ঘরের বাহির করিতে পারে, তাহা হইলেই সমাজ আর তাহাকে গ্রহণ করেন না। কাজেই অহিন্দু জাতিরাও স্বযোগ বুঝিম্বা হিন্দুনারীকে ফুসলাইতে অথবা অপহরণ করিতে বিন্দুমাত্রও দ্বিধাবোধ করিতেছে না। কারণ " তাহারা জানে, হিন্দুসমাজে ধধিতার স্থান নাই। ফলে এইরূপ অবস্থাই দাড়াইয়াছে যে, প্রায় প্রত্যহই দুই-একটি হিন্দুনারীহরণের সংবাদ পাওয়া যাইতেছে। মৌলৰীবাজারের ( শ্রীহট্ট ) অন্তর্গত উত্তরভাগ গ্রামের yপ্যারী দামের কন্যা অপহৃত শ্ৰীমতী প্রতিভাবালা দামকে অনুসন্ধান করিতে । গিয়া কুলাউড়া যুবকসঙ্ঘের প্রযুক্ত স্বধীরকুমার পালচৌধুরী প্রায় ত্রিশটি অপহৃত হিন্দুরমণীর সংবাদ দিয়াছেন। এই সমস্ত স্ত্রীলোককে মুসলমানবসতিবছল স্থানে রাখা হইয়াছে । ইহাদের অধিকাংশকেই ফুসলাইয়া অথবা অপহরণ করিয়া মুসলমানের লইয়া গিয়াছে। অনেকে হয়ত স্বেচ্ছায়ই বাহির হইয়া গিয়াছে। নারীহরণের কারণ অনুসন্ধান করিলে দেখা যায়, অধিকাংশ স্থলেই পারিবারিক উৎপীড়নের জন্ত স্ত্রীলোকেরা নিতাস্ত অনিচ্ছাবশতঃও স্বামিগুহ ত্যাগ করে, এবং সুযোগ বুঝিয়া অহিন্দুরাও ফুসলাইয়া অথবা হরণ করিয়া তাহাদের সৰ্ব্বনাশ করে। তাহারা যখন দেখিতে পায়, হিন্দুসমাজ ধর্বিতাদিগকে তাহাদের গৃহ অথবা প্রকাগু বাজারে আশ্রয় লইবার উপদেশ দেন, তখন দ্বিগুণ উদ্যমে নারীহরণ করিতে আর সঙ্কোচ করে না। কিন্তু আমরা দেখাইতে পারিন্থে গুঞ্জেী १83