পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮

& gf<ti>il $; ফুলশয্যার লজ্জামধুর হাসি, ফুলমাঝে যেন ফোটে ফুল একরাশি ; কুজন-আভাস অজানা গানের, "ফুটন-ম্ববাস অচেনা প্রাণের দীপহীন গৃহে স্বমন্দ বায়ে স্বগন্ধে রহে ভাসি । অভিশাপ-মাঝে এল কি স্বস্তিবাণী ? প্রলাপের মাঝে এল রাগিণীর রাণী ? মুখতারা এ কি ভাগ্য-নিশির ? নিদাঘের বুকে নিটোল শিশির ? আশা-নিরাশায় করে উন্মন বালিকার মূখপানি । উথনে সাঙ্গ হয়নি পুতুল-খেল ; ( এখনো কি শেষ হয়েছে ?- কাটে সে বেলা ! ) আলুথালু বেশ, কোথায় ভূষণ, চরণে লুটায় মাথার বসন, কুষ্ঠাবিহীন লঘুগতি, শুধু খুগস্যের শেষ । চাহ মুখপালে বিস্মিত স্মিতমুখে, মুক্ত বেণীটি দোলে পিঠে, দোলে বুকে , চোখে ছিল শুধু চোথের আদর, চুমায়ু তখনে ভরেনি অধর, স্পনিত নহে সারা দেহ-মন ছন্দিত-মুখে-দুপে । তারপর এলে ফাল্গুন-পুম্পিত, রাগ-রশ্মির চুম্বনে চমকিত ; জানি না সে-দিন করিল চয়ন কি মাধুরী-মোহ মুগ্ধ নয়ন, ছিলে মধুময়ী মাধবীমাসের বাসনায় বাস্থিতা । নবযৌবন-গরব সে-দেহখানি বেঁধে রাখি দেহ-বন্ধনে বুকে টানি ; অঁাগি পরে আঁখি, অধরে অধৱ, দুটি কথা লাগি প্রবণ কাতর, স্থবাসে আতুর করে সে-তমুর প্রফুল্ল ফুলদানি । নববধূ তুমি তরুণী লজ্জাবতী, অঙ্গে তোমার অনঙ্গ লভে রতি , শুধু রাগহীন মৃদু গুঞ্জন, শুধু বাণীহীন মধু-ভুঞ্জন, - কলকৌতুক-ঝলকে ঝরণা চলে একটান গতি । হেরি আমি শুধু অপদ-ভঙ্গিম, - চারু-চরণের রূপময় রঙ্গিম, কনের দুলটি অলক জড়ায়, চুলের ফুলটি পুলক ছড়ায়, হেরি বিমোহন নগ্ন গ্রীবাম সরমের আরুণিম | ছিলে না মরমী, ছিলে না ব্যথার ব্যর্থী ; ছিলে বুকে শুধু মধুরী মূৰ্ত্তিমতী ; তবু অপরূপ রূপ-মহিমায় জাগে না ত দেহ দেহের সামায়,- - কোথ! আনন্দ বন্ধনহার। স্বেচ্ছা-ছন্দ-গতি । রূপ-রচনায় কোথা রস-মূছন, স্বধার ক্ষুধায় করে মা ত উন্মান ; জাগে না অতঙ্ক তন্ত্র-অঙ্গুরাগ, মর-কুস্কমের অমর পরাগ, স্নেহরসহীন দেহু-দীপে কোথা দীপক-উন্মাদন । বে-বিধাতা রচে ক্ষণ-খেয়ালের ভরে বর্ণের শত খেলা অকৃপণ করে, তাহারি কি তুমি ক্ষণ-কৌতুক, শূন্যের জলধন্থ-যৌতুক, রঙীন রূপের জল-বুদ্বুদ আলস্ক-অবসরে ? জাগিল না তাই মুখে কথা, বুকে ব্যথা ; ছিল মোহ, তবু নাহি ছিল ব্যাকুলত ; নদীজলে ঝরা আলোর মতন রূপ-রঙে ঢাকে অতল চেতন ; শাস্তি সে নহে, ক্ষস্তির শুধু অচপল স্বস্থত,