পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫৪ দেখিতে দেখিতে চক্ষের নিমেষে বাড়িতে যে যেখানে ছিল আলিঙ্ক স্বকালে জন্ম হইল, বাৰা কাক হইতে আরম্ভ করিয়া বাড়ির দেড় বছরের ছেলেটা পৰ্যন্ত কেই বাদ গেল না। নিতাইবাৰু দেখিলেন মুহূর্তের আবিস্তুস্তকারিতার ফলে তাহার পলায়নের পথ একেবারে বন্ধ হইয়া গিয়াছে। তিনি ভালের উপর আর এক ধাপ উঠিয়া বলিলেন। কৰা হাতের চাবুক আস্ফালন করিয়া বলিলেন,— নিতাইবাৰু মাখ নাড়িয়া বলিলেন,—“নাম্ব না। কাক রুদ্র কণ্ঠে কহিলেন–শিগগীয় নেমে আয় বলছি হজমানের ৰা—’ বলিয়াই থামিয়া গেলেন। বাবা মুখ ফিরাইয়া হালি গোপন করিলেন। - নিতাইবাবু বলিলেন,--“আগে বল মারবে না, তবে নামৰ । মায়ব না? তোকে আজ জ্যান্ত মাটিতে পুতব। নাম্ निभं औब्र ' -

  • ङzव नोभव न ।’ ‘নামবি না? আচ্ছ, দাড় তবে । এই বুদ্ধ, সিং, গাছ পর চড়ে, কান পকড়কে উস্কোউতার লে আওr

নিতাইবাবুর কান পাকড়িয়া নামাইৰ আনিবার প্রস্তাবটা খুৰ মুখরোচক হইলেও বুদ্ধ সিং দরোয়ানের তাদৃশ উৎসাহ দেখা গেল না । তাহার মস্তকের কেশবিরল মধ্যস্থলটি ক্ষপারির মত ফুলিয়া উঠিয়াছিল, সে উৰ্দ্ধে একটি বক্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করির ক্ষীণভাবে বলিল,—“জী হুজুর ' নাগরা ও পাগড়ি খুলিয়া রাখিয়া ঘরোয়ান গাছে চড়িতে প্রবৃত্ত হইল। নিতাইবাৰু প্রমাদ গণিলেন। এবার ত चांब्र ब्रक नहेि । হঠাৎ তাহার মাথায় একটা বুদ্ধি খেলিয়া গেল। তিনি উপর দিকে উঠতে উঠতে বলিলেন,—’বুদ্ধ, সি, হুমার পাস আগুগে ত হামুভি এই চাকু মে খোচা দেঙ্গে ! তুম্ হাকোলেও বোলকে গালি দিয়া খ-হামুভি তুমকো মজা খোৰেঙ্গে। —বলিয়া মাথার ইন্ধিতে প্রকাও চাবটা দেখাইলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে নিজেই বিস্ময়ে নিৰ্ব্বাৰু হুইয়া ঘরোয়ান বানি ন লি লিম নালি । & TarunnoBot (আলাপ)tt “ SనలిEC) জাগিল; বলিল,—হসে নহি হোগা হুজুর । মখমচ্ছিকা খোতা হয়—জান চলা বাগা ' এই ক্ষুত্র বালকের কূটবুদ্ধি দেখিয়া সকলে স্তজিত ও কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া রছিলেন । * ওদিকে নিতাইবাবুও স্তজিত হইয়া মৌচাকের দিকে তাকাইয়া ছিলেন । এমন অভাবনীয় ব্যাপার যে ঘটিতে পারে তাহা কল্পনা করাও ছুষ্কর । অস্তমান স্বর্ষ্যের আলো পাতার ফাক দিয়া মৌচাকের উপর পড়িয়াছিল, মক্ষিকাপূৰ্ণ চাকটা অভ্রের মত আলোক প্রতিফলিত করিতেছিল। নিতাইবাৰু বিস্ময়বিস্ফারিত নেত্ৰে দেখিলেন, ঠিক তাহারই এক হাত দূরে স্কুল শাখার রুক্ষ গায়ে আটকাইয়া ঝুলিতেছে-বিন্দুর সেই হারানো সোনার হার ! সোনার উপর স্বৰ্য্যকিরণ পড়িয়া চিকচিক্‌ করিতেছে, চিনিতে নিতাইবাবুর এক মুহূৰ্ত্তও বিলৰ হইল না। ইহা সেই হার যাহা তিনি কয়েক দিন পূৰ্ব্বে গুড়ের বাটিতে ডুবাইয়া মাধুর্য্যমণ্ডিত করিয়া দিয়াছিলেন । এতক্ষণ কেবল ওই স্থানটা অন্ধকার ছিল বলিয়াই উহা চোখে পড়ে নাই। কাঠবিড়ালী, কাক, পিপীলিকা প্রভৃতি ইতরপ্রাণীর আচারব্যবহার সম্বন্ধে নিতাইবাবুর প্রগাঢ় অভিজ্ঞতা ছিল, স্বতরাং কি করিয়া হারছড়া বৃক্ষের উচ্চ শাখায় আসিয়া দোদুল্যমান হইল তাহ অনুমান করিতে র্তাহার কষ্ট হইল না । তিনি বুঝিলেন মিষ্টায়লুদ্ধ কোনো ইতরপ্রাণীই এই কুকাৰ্য্য করিয়াছে। বিস্ময়ের প্রথম ধাক্কাটা সামলাইয়া লইয়া নিতাইবাৰু বিজয়োল্লাসে হাস্ত করিলেন ; আজিকার যুদ্ধে এরূপ ভাবে ঘেরাও হইয়াও অবশুম্ভাবী পরাজয়কে তিনি যে অচিরাৎ সম্মানসূচক সন্ধিতে পরিণত করিতে পারিবেন তাহাতে জার সংশয় রহিল না । নিয়াভিমুখে তাকাইয়া তিনি বলিলেন,—‘একটু জিনিষ পেয়েছি, বলর না।’ কাক কথায় ভুলিবার লোক নয়, তিনি বলিলেন,— ‘বটে জিনিষ পেয়েছ । আচ্ছা, আগে গাছ থেকে নেমে এস ত দেখি ? জাগে বল মারবে না। বাৰা জিজ্ঞাসা করিলেন,—“কি জিনিষ পেয়েছিল ?