কাত্তিক १ जौशडिऔ S আত্মবিহীন আত্মদানের স্রোতে গৃহমন্দিরে হে চির-অনিন্দিতা, সেই স্থখহীন স্বখের উৎস হতে, মনোমন্দিরে হয়েছ কি বন্দিতা ? সরিল আবিল আবেগ যখন চেতন-বনের ঘন ছায়াতল ভরিল পূর্ণ প্রতি কি তখন চকিত আলোকে হয়েছে উতল ? দু’টি দেহ-তট ছাপি দু'টি প্রাণে ভাবের ওতপ্রোতে ? পঞ্চশরের খর ফুলশর দিয়ে রচিনি মিলন-রজনী আমরা, প্রিয়ে ; গৃহ-দেবতার পুণ্য সদন-- কবে বিদগ্ধ হয়েছে মদন ! স্বস্তির স্তির আলোক ঢেকেছে অজান অভাবনীয়ে । ভাষামাঝে তাই নাহি কিছু ভাযাতীত, আশামাঝে তাই নাহি কিছু আশাতীত ; গানে নাহি ছিল অজানা গমক, প্রাণে নাহি ছিল চকিত চমক ; গৃহ-দীপ তাষ্ট হয়নি আকাশ-প্রদীপ অকুষ্ঠিত। আঁকে শুধু তব নিপুণ গৃহিণীপন দেহু-দেহুলীতে আরাধন-আলপনা ; চাওনি বুঝিতে যাহা বুঝিবার, যাওনি খুজিতে যাহা খুঁজিবার ; হাতের নাগালে পাওয়া-মাঝে কোথা না-পাওয়ার কল্পনা ? ছিলে নিশিদিন সংসার-বিহবলা, সংশয়হীন হাসিতে ছিল না ছল ; ধরে ধীর-শোভা সিঁদুর সীথির, ভরে সম্ভার পূঞ্জ-আরতির, প্রাঙ্গণময় বহে নিৰ্ভয় বাতাসটি আলো-ঝল । পিতামহদের যাহা গচ্ছিত নিধি, যাহা শুভ, যাহা ধ্রুব জীবনের বিধি, স্নেহের দৃষ্টি পিতার মাতার, নীরব আশিস গৃহ-দেবতার, শিশুর কাকলি রহে ঘেরি’ তব কল্যাণ-সন্নিধি । ३ তমুর অতলে ভাব-তনু তব হয়েছে কি ছন্দিতা ? স্বপন-কৃপণ গৃহ-অঙ্গনতলে ছিলে অচপল গৌরব-শতদলে ; যাহা এলোমেলো, মাহা উচ্ছল রহে নিরাময় নিয়মে আচল ; শৃঙ্খল আনি লাধিলে আমারে স্বর্ণের শৃঙ্খলে । অস্তুরতলে ঘেথা ছিকু আমি এক সেথ আসি কহু দিয়েছিলে তুমি দেখা ? ঘেথ মুছে যায় লোক-চরাচর, অস্তবঘামী জাগে অগোচর, একেছ কি সেথ ব্যথার বর্ণে কত্ত্ব আলপন-লেখা ? মরমের পথে নহে, জীবনের পথে জয়ন্তী, এলে অনায়াস-জয়রথে ; কন্তু দুৰ্গমে রুদ্র-বিষাণ বাজেনি, ওড়েনি প্রেমের নিশান, জাগায়ে বহ্নি-বরণে দীপ্ত মনের সে-মন্মথে । ঋদ্ধির আর সিদ্ধির স্বথথরে বেদনাবিহীন আদরের অনাদরে, মাল-বদলের মালাটি গলায় কবে প’সে পড়ে পায়ের তলায়, অন্তর-ধন ডুবে বাহিরের ব্যর্থ আড়ম্বরে। দরদী সে কোথা, ঘরণী রয়েছে ঘরে ; প্রাণের পাত্র পঙ্ক-তলানি ভরে ; স্বথের ফাগুন বলে—“ৰাই ৰাই', বুকের আগুন হয়ে জাসে ছাই ; শুধু বাহিরের কল্যাণে কোথা কল্যাণ অন্তরে ?
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।