পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ు ৫ হয় না : ; ఏరిao . কারাগারে দেশবন্ধু ও স্বভাষচজকে দেখিয়া তিনি তাদের এই নারীকবির ভাবিবার কিছুই ছিল बा; নারীনিগ্রহের আত্মভাগের মহুত্বে মুখ হইরা দেশবন্ধুকে উদ্দেশ করিয়া বলিয়াছিলেন,— · - মতে বা চিন্তুীয় মাও যদি দিতে পারি পরিপূর্ণসার, छबू ठर शनटब्रब्र यश्प्रब्र चांम লভিয়াছ, অমৃত সে, করি ধ্যবাদ । বাইমে ও তারকেশ্বরে সভাগ্রহ তাহার চিত্তকে বিচলিত করিয়াছিল, আবার অসহযোগ প্রচারকের সত্যপথ হইতে খলন দেখিয় তাহাকে তিরস্কার করিতে ছাড়েন নাই, বলিয়াছেন, একি করিতেছ ? বিদেশী দাসত্ত্ব হতে উদ্ধারিতে হায় - নূতন দাস রুদ্ধ বাছি গলা! দেশসেবককে বিপথে যাইতে দেখিয়া ক্ষুব্ধ হুইয়াছেন, বলিয়াছেন, দেশের কাজ করিতে হইলে সন্ন্যাসী চাই, লোভীকে দিয়া কাজ হুইবে না, কাজ করিবে তারাই, - দেশের মামুষে যারা ভালৰাসে খাট,— . - দেশ তে মানুষ দিয়া, নহে দিয়া মাটি । দেশের ভক্তি কিন্তু তাহাকে কখনও গ্রেমের পথ হইতে, শাপ্তির পথ হইতে ভ্ৰষ্ট করে নাই । - নুতন যুগে প্রভাত নব। জাবার আমরা বাহির হৰ । গেয়ে নূতন গান ; দেশের সাথে মিলবে দেশ কালের খুচৰে কালে বেশ আলোয় ক’রে স্নান । পুনরায় বলিয়াছেন,— যুক্ত আছে সৰ্ব্ব লয়, দেশ দেশাস্তরে, যুক্ত আছে গত, বৰ্ত্তমান ; অন্ধ সে, যে এ বন্ধন জম্বীকার কয়ে, জালে হিংসা, আনে অকল্যাণ । স্বদেশীরে ভালবাসি, বিদেশীরে তাই নাছি মোর অগ্ৰীতি, ৰিজেৰ ; মানব সৰ্ব্বত্র দুঃখী মানষের ভাই, সৰ্ব্বত্র দায়িত্র্য, পাপক্লেশ । তাই তিনি ধরা দেবতা চাহিয়াছেন, বলিয়াছেন,— জিলিৰে দেবতা নাও যদি থাকে, ধরায় দেবতা মস্থিলে নয় । - " বর্তমান নারীজাগরণের যুগ। বহুভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক আলোলনের ভিতর দি, গত দশ বৎসরে ফে ভাবে নারীজাগরণ হইয়াছে ও হইতেছে তাহার সম্বন্ধে কি সংবাদ পাইয় তিনি কিভাবে ক্ষুব্ধ হইতেন ! বাক্যবণিককে তিনি দু-চক্ষে দেখিতে পারিতেন না, যারা কাগজে কলমে বক্তৃতায় গানে দেশ উদ্ধার—তথা নারীনিগ্রহের প্রতীক্ষার করিতে চায়, তাহাদিগকে তিনি ধিক্কার দিয়াছেন,লেখনী ও মসি দিয়া প্রেয়সীকে বাঁচান যাইবে না, তাহাদিগকে বঁাচাইতে হইলে বীৰ্য্য-আসি ও চরিত্রের তেজ চাই। দিতে হইবে জ্ঞানের আলোক, ন্যায় বিচার, দেহ প্রাণ দৃঢ় করিবার সকল স্বযোগ স্ববিধ, যাহাতে তাহারা চিরদিন ভয়েই না মরিয়া থাকে। নারীজাগরণে তাই তার মনে একটা উল্লাস জন্মিয়াছিল, বলিয়াছিলেন, এইবার নারী-আত্মা বুঝি জাগিল, জগদ্ধাত্রী জগন্মাতা রূপে নারী বুঝি সস্তানের আগে দাড়াইল, মুক্তিঅম্বুরাগে যজ্ঞবেদীর পুরোভাগে সে ঐ ছুটিয়াছে, শাসনের দড়িদড়, দাসত্বের হাতকড়া কিছুই তাহার গতিরোধ করিতে পারিল না। এই প্রসঙ্গে তাহার ঠাকুরমার চিঠি বিশেষ উল্লেখযোগ্য, তাহাতে সরলভাবে তিনি নারীর কৰ্ত্তব্যের বিভিন্ন দিক দেখাইতে চাহিয়াছেন। ঠাকুরম চাহিয়াছেন, ফ্যাশানের বাসনের বিষপানে মুগ্ধ না হইয়৷ নারী দেখুক তাহার কি বিশাল কৰ্ত্তব্যভার পড়িয়া রহিয়াছে, তাহার হাতে মানুষ হইবে যে ছেলে, সে প্রকৃতই মানুষ হইবে, আপন বোনের নিষ্কলঙ্ক মুখ মনে করিয়া পরের বোনের গামে পঙ্ক দিতে সে সঙ্কুচিত হুইবে । হাট ঘাট রাজপথ কৰ্ম্মক্ষেত্র করিলে গৃহ ষে লক্ষ্মীহার হইবে, পারিবারিক বন্ধন যে শিথিল হইবে । ঠাকুরমার এই কথার উত্তরে নাতিনীর জবাব আসিল, বিনা পুত্র পাত ভাবিবার নাহি কিছু ? নিজপুত্র হিতে সহস্র পুত্রের কথা না হয় ভাৰতে ? যে দেশ আমার দেশ, তাহার কল্যাণ শুধু গৃহকোণে বসি যদি করি ধ্যান, তাহাই যথেষ্ট হবে ? নবযুগের নারী যে নানা দিক দিয়া আত্মার বিকাশ চাহিতেছে তাহার দাবি এই, জায়, মাতা হতে সবে পারি কি না পারি । সৰ্ব্বাগ্রে জামরা নারী, সৰ্ব্বশেষে নারী। নাতবে অন্ত উত্তর দিয়াছেন,— জাগল কথাট এই-পুরবে যা চায়