পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাদরটাকে টানিয়া গায়ে দিতে দিতে বীৰ বলি, ", खांखट्कद्र भङ !” ঐজিলা আর একটুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া কহিল, “এত হাস্বার কি হয়েছিল শুনি ?” বীণা আবার হালিয়া উঠিয়া বলিল, “বাজ পড়ার শব্দে ভয় পেয়ে ওকে জড়িয়ে ধরেছিলাম।” বীণার পিঠে সশকে একটি চপেটাঘাত করিয়া ঐন্দ্রিল আবার পাশ ফিরিয়া শুইল । অনেক ডাকাডাকি করিয়াও বীণা ইহার পর আর তাহার সাড়া পাইল না। তখন হাসিতে হাসিতেই বলিল, “জড়িয়ে ধরাটা আমার দিক থেকেই কেবল হয়নি, সেটাও তাহলে বলে রাখি।” ঐন্দ্রিল তবু সাড়া দিল না, কিন্তু অনেক রাত অবধি কি একটা ভয়ের মত আবেগে রহিয়া রহিয়া তাহার সর্বাঙ্গ কাপিয়া উঠিতে লাগিল। কি যে ব্যাপার বীণা কিছুই বুঝিয় উঠতে পারিল না। কিন্তু আজ কোনও কিছু লইয়াই খুব বেশীক্ষণ ভাব তাহার সাধা ছিল না, একটু পরেই নিদ্রার সঙ্গে পরিপূর্ণ বিস্মৃতি আসিয়া সব আড়াল করিয়া দিল । প্রভাতে বুকের মধ্যে এক অনাম বেদনার ভার লইয়৷ ঐন্দ্রিলার ঘুম ভাঙিল। ধেন দুঃস্বপ্ন দেখিয়া পীড়িত হইতেছিল, নিদ্রাভঙ্গে স্বপ্নের মূৰ্ত্তিটা তুলিম্ব গিয়াছে, বিভীষিকার অবশেষটুকু মনে আছে। পূবদিকের তিনটা জানালার একটা তাহারা সৰ্ব্বদাই খুলিয়া গুইত, কাল ঝড় বাদলের জন্ত সেটাও বন্ধ করিয়া গুইয়াছিল, তবু ঘরের মধ্যে সমস্ত-কিছু পরিস্ফুট হইয়াই চোখে পড়িতেছে। বুঝিল, মেঘ কাটিয়া গিয়াছে। কিন্তু উঠিয়া গিয়া বারান্দার দিকের দরজাটা খুলিয়া দিতে তাহার কেমন ভয় ভয় করিতে লাগিল । যেন সবকিছুর ঠিক সেই পূৰ্ব্বেকার মূৰ্ত্তি সে আজ আর দেখিতে পাইবে না ; আকাশ, পৃথিবী, মেঘ, রৌদ্র, জীবনের আলোয় চোখ মেলিয়া অবধি যাহাকিছুর সঙ্গে তাহার ঘনিষ্ঠতম পরিচয়, তাহদের সকলেরই মধ্যে কি যেন এক প্রচ্ছন্ন প্রবঞ্চন, আজ একমুহূর্তে এতদিনকার সেই প্রবঞ্চনা ধরা পড়িয়া যাইবে। অজয়কে সে ভালবালে না, অজয়ের ভালবাসারও কোনও মূল্য যে তাহার কাছে জাছে তাহাও নিজের মনে সে স্বীকার করিত না। তবু আজকে প্রথম পরিচয়ের দিন হইতেই সে "শুদ্ধ করিও। তাহার কারণ, সে বিশ্বাস করিত, অজয় মন , . هذ-س-sك অন্তৰাচরণ করে না। অজমের সমস্ত বাক, সমস্ত ব্যবহারকেল তাই একটি বিশেষ মূল্যে মূল্যবান করিয়া দেখিত। জাজ তাহার কেবলই মনে হইতে লাগিল, সে প্রবঞ্চিত হইয়াছে । তাহার মনের শ্রদ্ধাকে প্রথম হইতেই অজয় ফাকি দিয় । লইয়াছে। পৃথিবীর অপর যে-কোনও মানুষেরই যত নিজের আসল মুক্তিটি লুকাইয়া চলাই অজয়েরও স্বভাব। - বীণা ঘুমাইতেছিল,-অন্তদিনের মত আজ আর তাহাকে । সে ভাকিয় উঠাইল না। পরীক্ষার পড়ার তাড়া ছিল, তাড়াতাড়ি হাতমুখ ধুইয়া বই লইয়া বসিল। জোর করিয়া মনটাকে বাধিয়া ফেলিল। পৃথিবীতে শ্রদ্ধার যোগ্য মাছৰ যদি কেউ নাই থাকে ত তাহ লইয়া দুঃখ করিয়া হইবে কি ? পিতাকে দেবতার আসনে বসাইয়া পূজা করিত, কিন্তু শা এমন অবস্থার স্বষ্টি করিয়াছেন যে তাঁহাকে ভাবিতে রুদ্ধ তাহার এখন ভয় করে। মামাৰাৰু বাকী আছেন, সে । আশা করে শেষ পৰ্যন্ত র্তাহার প্রতি শ্রদ্ধাকে সে অটুট রাখিতে পারিবে । অজয়ের কথা কিছুতেই আর ভাবিশ্বে না, এই সঙ্কল্পকে ধরিয়া থাকিতে গিয়াই সমস্ত দিন সে অজয়কে ভাবিতে লাগিল । - - - হেমবালা সেদিন কন্যা এবং ভ্রাতু পুত্ৰী কাহারও সঙ্গেই ভাল করিয়া কথা কহিলেন না। এমন যে মন্দির, সেও কয়েকবার দিদিমাকে ডাকিয়, তাহার শাড়ীর আঁচল ধরিয়া টানিয়া সাড়া না পাইয়া মুখ কালো করিয়া তাহার আয়ার কাছে ফিরিয়া গেল। ঐন্দ্রিল এসমস্তই লক্ষ্য করিল, এবং সঙ্গেসঙ্গেই মন হইতে সব বাড়িয়াও ফেলিয়া দিল। কিন্তু বিকাল অবধি হেমবালাকে বার-পাঁচেক হৃষীকেশের মহলে আনাগোনা করিতে দেখিয় তাহার একেবারেই ধৈৰ্য্যুতি ঘটিল। বীণা রান্নার তদারকে ব্যস্ত ছিল, তাহাকে ছাতে ডাকিয়া লইয়া কহিল, “মা বোধহয় একটা কিছু গোল পাকাবার চেষ্টায় আছেন।” - বীণা কছিল, “কি করে বুঝলে ?” বীণা কহিল, ও তা ত জানিই। একবার ডেকেও পাঠিয়েছিলেন।” ..