H প্রবাসনী ; SOBO জর্জরি’ রহে চির-মৃত্যুর জরা, কালো হয়ে আসে আঁধারে আলোর ধরা ; ভেঙে চুরে দিয়ে দেহের দুয়ার উছলি উঠে না স্নেহের জুয়ার, কোথা সে হরষ প্রাণ-রসায়ন, পরশ পাগল-কর। কোথা সে অজানা খনির মণির ভাতি, রাথিতু বক্ষে বাহু-হারে যারে গাথি ; চারি-চক্ষের প্রথম চাওয়ার আলোক, পুলক মলয়-হাওয়ার, কোথা আজ সেই কিশোর-কালের বাসর-রাতির সাথী। বিজলী-উজল কোথা সে সজল হাসি ; অধর আদরতরে চির-উপবাসী । কোথা সেই রাগ, পুণ্য-পাপের লহে যাহা ভাগ তপের তাপের ; সব থেকে যা’র কিছু নাই সে যে নিজগৃহে পরবাসী । কাটে দিনধৰ্মী নিয়মের অতুগামী, আজ তুমি শুধু জায়, আমি শুধু স্বামী ; জানি ওগো জানি সে-দোষ আমার, তুমি এনেছিলে যা ছিল তোমার, ছিল বাহিরের বিনোদন রূপ, আমি ছিকু মধুকামী । ঝটিক-ভ্ৰকুটি অসহ আঁথিতে জাগে, কন্তু বিদ্রপ-বিদ্যুত আসি লাগে ; প্রতিদিবসের কুশ-অঙ্কুর, বেদন বাক্য-বিযশস্কুর ; স্তুতি-কুতি-মাঝে গুমরি গোপনে পরাজয় জয় মাগে । কোনো দিন যাহা লওনি ত সন্ধানি' আজ কেন সেই মমতার অভিমানী ? চোখে ছিল শুধু ঘুমের কাজল, জাগরণ-লোকে হয়নি সজল ; নাহি আঙ্গেয-বিশ্লেষ-রূপে কামনার কল্যাণী ! তবু একদিন এনেছিছু তোমা'তরে যা ছিল আমার উন্মুখ অস্তরে, আমার সত্য, আমার স্বপন, যা ছিল ব্যক্ত, যা ছিল গোপন, লাভ-ক্ষতি যাহা নবযৌবন-পশরাটি মোর ভরে । ছিল আনন্দ অমৃতগন্ধভরা, ছল" দুখ স্বথের স্পন্দহর ; ছিল অঙ্কুর আশার তরুর. — কোথা ছায়াটুকু মর্ত্য-মরুর ? তুমি ছিলে কোথা আপনার মনে আপনি স্বতন্তর । পথে খেতে লাগে পথের পঙ্ক-পুলি, আপন হারাষ্ট আপনার ভুলে ভুলি ; বালু-কঙ্করে জীবন উষর, প্রাণের পিয়াসী ধূলায় ধূসর, অয়ি স্বচরিতে, চরিতবিঙ্গীনে নিয়েছ কি বুকে তুলি ? করেছ কখনো মরণ শরণ হেসে ? দাড়ায়েছ কন্তু মরণ-হরণ-বেশে ? আপনারে-পাওয়া পরম সে-দান করে না ত যা’র সুথ-সাবধান ; নাওনি ত কেড়ে, দাওনি ত ছেড়ে আপনারে নিঃশেষে : তুমি ছিলে শুধু স্বরীতির অনুরাগী, আমি জেগেছিকু পরম পরিতি লাগি ; রত্বের দীপ গৃহ-ধরণীর জালে না ত, হায়, দেহ-আরণীর অগ্নিমস্থ-মন্ত্রে যে-শিখা অন্তরে রহে জাগি । এসেছিলে কহু অতল অশ্রতলে যেথা চিরদিন চিত্তের মণি জলে, বেদন-মথিত চেতনা-সাগর, যেথা অতন্দ্র স্বপ্ন-জাগর, মেরুসমুদ্র-সমান-নিথর আলোছায়া-শতদলে ?
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।