পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iS BBB BB BBB BBB BB BBBB BB BBBB BB BBB DB BB D DD কাছে আসিল, কছিল, “কেমন, যমরাজার ঘরবাড়ী লাগল কেমন ? বাব, এতরকম বিপদও না নিজের জন্যে আপনি বাধাতে পারেন ।” বালিশে কচুয়ের ভর দিয়া উঠিতে চেষ্টা করিয়া অজয় ক্ষীণশ্বরে কেবল কহিল, “আপনি !” স্বভদ্র তাড়াতাড়ি তাহাকে শোয়াইয়া দিল । বীণা দুইহাত কোমরে রাখিয়া রুথিয় দাড়াইবার ভঙ্গি করিয়া বলিল, “স্থা আমি। তার কি ?” অজয় বলিল, “আপনি কেন এলেন কষ্ট করতে ?” বীণা কৃত্রিম কোপ প্রকাশ করিয়া বলিল, “কষ্ট সবটাই প্রায় করা হয়ে গিয়েছে, কাজেই সে সম্বন্ধে কিছু করা এখন স্বার আপনার সাধ্যে নেই। আরও কষ্ট যাতে না করতে হয় এখন দয়া করে সেই ব্যবস্থাটা করুন। একটু তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন।” অজয় কি বলিবে ভাবিয়া পাইল না । ভাবিবার ক্ষমতাও তাহার আর ছিল না। কিন্তু যে-সমস্তার স্বত্রপাত মাত্র দেখিয়া ভয়ে সে জ্ঞান হারাইয়াছিল, তাহা যে বেশ জালের মত নিবিড় হইয়া খিরিয়া আসিতেছে, এবং সেই জালের মধ্যে লে ষে নিরুপায় হইয়া জড়াইতেছে, ইহা বুঝিতে পার সেঅবস্থাতেও তাহার কিছুমাত্র কঠিন হইল না। কিন্তু দেহমন ভরিয়া আজ তাহার এমন গভীর ক্লাস্তির জড়ত, যে আজ আর ইহা লইয়া ভয়ও সে পাইল না। চৌকা চেয়ারগুলির একটাকে টানিয়া লইয়া বীণা অজয়ের বিছানার পাশে বসিবার উদ্যোগ করিতেছে দেখিয়া স্বভদ্র বলিয়া উঠিল, “বস্ছেন যে বড় ? ওদিকে খাবার 'বসিয়ে এসেছেন উকুনের ওপর, মনে আছে ?” “ওই যাঃ, একেবারে ভুলে গিয়েছিলাম, বলিয়া বীণা ছুটির ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল। স্বভঙ্গ বলিল, “তোমার ভাগ্য ভাল, তাই আমার মত চিকিৎসক আর বীণা দেবীর মত নাস একসঙ্গে পেরেছ।” অজয় বলিল, “সেত হল, কিন্তু ওঁর সামনে বিছানায় গুয়ে খাৰুতে স্বন্ধ আমার লঙ্গ করছে। ওঁকে কেন তোমরা স্বভত্র বলিল, “আমরা আসতে দিলাম মানে ? উনিই ত খাকাতে অপরাধটা কি হয়েছে ? সেই থেকে যা উনি করছেন তোমার জষ্ঠে * বীণার পায়ের শব্দ আবার শুনিতে পাওয়া গেল } দরজার চৌকাট পার হইতে হইতে সে বলিল, “আমায় ত খুব তাড়া দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন, জিনিষটা ঠিক হল কিনা আপনার গিয়ে দেখবার কথা ছিল তা বুঝি ভুলে গেছেন ?” স্বভদ্র আসন ছাড়িয়া উঠিয়া বলিল, “ঠিক কথা, চলুন ষাচ্ছি।” কিন্তু বীণা পরিত্যক্ত চেয়ারটিতে বেশ করিয়া গুছাইয়া বসিল, বলিল, “থাক, আর যেতে হবে না। আমি নামিয়ে রেখে এসেছি।” একটা তোমালেতে মুখ মুছিতে মুছিতে বিমান আসিয়া ঘরে ঢুকিল। ডানহাতের উন্ট পিঠে অজয়ের জর পরীক্ষা করিয়া বলিল, “বেড়ে আছে অজয়। বর্ষা আর-একটু ভাল করে নামুক, ঠিক করেছি, রোজ রাত্তিরে জলে ভিজব।” বীণা বলিল, “আর কিছু লাভ না হোক, আপনার গলাটা তাহলে একটু ভাঙে।” বিমান বলিল, “নিতান্ত ভগবান রসনায় ধার দেননি, তাইত গলার জোরটা অভ্যেস করেছি।” বীণা বলিল, “ভগবানের এমন অপবাদ আপনি ছাড়া কেউ দেবে না।” স্বভদ্র বলিল, “ছুদিন বেচারা না খেয়ে আছে ওকে খেতে দিয়ে দিলে হয় না ?” বীণা বলিল, “দিচ্ছি, জুড়োক। এইমাত্র ত উকুন থেকে নামল।” 概 অজয় বুঝিল, একটুক্ষণের জন্যও তাহার কাছছাড় হইতে ঠিক তখনই বীণার ইচ্ছা করিতেছে না। কৃপা-পরবশ হইয়া কহিল, “একটু দেরি হলে কিছুই এসে যাবে না। তাছাড়া এইমাত্র ত ওষুদ্র খেয়েছি।” স্বভদ্র কিছুই বুঝিতে পারিল না, কিন্তু সে অবাক হইতেছে লক্ষ্য করিয়া বীণা এরপর উঠিয়া পড়িল, এবং ট্রেতে করিম ধূমায়িত খাবারের বাটি, ফিডিং কাপ, জলের গেলাস ইত্যাদি জানিয়া পরম স্বত্ত্বে আজকে श्रांशं★ कब्राहेण । - বিকালে পাচটার একটু জাগে বীণা জাবার একবার