পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহার প্রদেশের একটি অখ্যাতনামা সবভিবিসনের ডাকবাংলায় সেদিন রাত্রে ধাহারা আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল, তাহাদের মধ্যে মিঃ ক্রিড, ডাগর পত্নী ও আমাকেই উল্লেখযোগ্য বলা যাইতে পারে । অপ্তান্ত সকলে আমাদেরই সাঙ্গোপাঙ্গ ; কেহু চাপরাণী, কেহ থানসাম, কেহ চাকর । আমরা বিকালের ডাকগাড়ীতে এখানে পৌছিলাম, কিন্তু লটবহর লইয়। আস্তানায় পেছতে প্রায় সন্ধ্য হইয় গেল। সাহেবী কেতায় এতটা যাত্রার পর এক কাপ চ ন হইলে চলে না, বিশেষতঃ কাহারও বৈকালিক চা-ও হয় নাই, কাজেই ডাকবাংলার বারান্দায় টেবিল পাতিয়া মাখন ও রুট সহযোগে উষ্ণ পানীয় গলাধঃকরণ করিতে আরম্ভ করা গেল । ক্রিড, বলিল, দেখ চ্যাটাজ্জা, এখানকার চারিদিকে কেমন একটা অপূৰ্ব্ব আত্ম-সমাধির ভাব রহিয়াছে ; মনে হয়, যেন সমস্ত দিক আপনার ভাবে আপনি বিভোর । আমি দিগন্তে চাহিয়া ছিলাম। সম্মুখে কিছুদূর পর্যন্ত সবুজ মাঠ ; হয়ত ধানের, ঠিক বুঝা যাইতেছিল না। তাহার ওপারে বন ; তাহারও ওপারে বহুদূরে হিমালয়ের হিম-শিখর অস্পষ্ট হইতে অস্পষ্টতর হইয়া আসিতেছিল । শীতের প্রারম্ভ ; সান্ধ্য বাতাসে অদূরের মাঠে ঈষৎ কম্পন লাগিয়াছে। ডাকবাংলার সম্মুখে দুই একটি নামহীন ফুলের গাছে রঙীন ফুল ফুটিয়াছে ; গন্ধ নাই, বর্ণ আছে। বাহিরের দৃশ্য দেখিতেছিলাম সত্য, কিন্তু তাহা মনে কোনও রূপ রেখাপাত করিতেছিল না। বলিলাম, তা সত্যি। ক্রিঙ-পত্নী নিজের জন্ত চ ঢালিতেছিল, বলিল, জান চ্যাটাগী, আমার ঐ টেরিয়ারট। ১৯৩. সনের লগুন শো'তে "জনিতাম সাহেবের সঙ্গে কথা হয় টেরিয়ার, নয় আবহাওয়া, "lag show': 'Hower show, নয় নারী-প্রগতিতে সমাপ্তি লাভ করিখে দিলন্ত ভাই ন-ৰি । శిశిష్ఠిత: যে হাউওটা দেখচ, ওটার বংশমর্যাদার কথা শুনিলে তুমি অবাক হইবে। ওটার বাপ ছিল হুইটজারল্যাণ্ডে, মা আমেরিকায়। বাপের নামটা হয়ত चान-बिक'১৯২৪ সালে প্যারিসের শোতে প্রথম প্রাইঞ্জ পর লর্ড রিবন উহাকে কিনিয়া লয় পাঁচশত পাউণ্ডে। . . . . . ক্রিডের বিবরণে অবাক না হই আকৃষ্ট হইতেছিলাম। একবার তাহার মুখের দিকে চাহিয়া হাউণ্ডটির জাপার্ক মস্তক লক্ষ্য করিলাম। ছুচলে মুখ, দীর্ঘ জবাব-উচ্চে, তিন ফুট কি সাড়ে তিন ফুট—অদ্ভুতভাবে লাফাইরা চলে— একান্ত নিঃশব্দে। পিতৃপুরুষের আভিজাতের চর্চায় । ইহার প্রতি সশ্রদ্ধ হইয়া উঠতেছিল কি-না বলিতে পারি ; তবে মনে হইতেছিল, ইহাকে যেন এই জখৰ্ব্ব জারঞ্জৰে মানা না। যেখানে মাহুষের আহার্ঘ্য প্রতিদিন ছাঁ গঙ্গ বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত সেখানে পথিপাশ্বের কঙ্কালসার গান্ধক্ষে ফুলকেই যেন যথাযোগ্য বলিয়া মনে হয়। কথা বেশী জমিল না। একে শ্রান্তি তাহার উপর চিন্তা। ক্রমে অন্ধকার হইয়া আসিল। এখানকার জাঙ্কাশের পরিধি বড়–অন্ধকার যেন আরও খনঘোর। হয়ত কৃষ্ণপক্ষের পরিপূর্ণতা আসিয়া পৌছিয়াছে। অন্ধকারের সমগ্রভাৱ আমাদের ডাৰবাংল, অদূরের বন, ওপারের হিমালয়-সমস্ত একাকার হইয়া গেল। আকাশে তারার -সারি , নীচের । অন্ধকারের মুখ চাহিম আকুল হইয়া উঠিল ; আমরা যে যাহার ঘরে ঢুকিয়া পড়িলাম । - - :: পরদিন সন্ধায় কাজ হইতে ফিরিতে দূর হইতেই ক্রিডদম্পতিকে ডাকবাংলর বারান্দায় দেখা গেল । ধূসরতার সমস্ত অস্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। কাছে আসিতেই ক্রিত ছুট৷ জলিয়া বলিল, চাটাঙ্গী, আমার সর্বনাশ হুইয়াছে। : হাত কিছু আঁচ করিতে চেষ্টা করিতেছিলাম। কিন্তু কিছুই ৰরিতে হইল না। ক্লিভপী শাসিা প্রা কান্ধি কেলিল ।